Connect with us

আইন-বিচার

আর সময় পাচ্ছেন না বেনজীর: দুদক আইনজীবী

Avatar of author

Published

on

দুদক-আইনজীবী-খুরশীদ-আলম-খান,-বেনজীর

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ আগামী রোববার (২৩ জুন) দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হলে তাকে আর সময় দেয়া হবে না। দুদক আইন ও বিধিতে দ্বিতীয়বার সময় দেয়ার এখতিয়ার নেই।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান জোরেশোরে চলছে। তার বিরুদ্ধে আরও অপরাধলব্ধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান দুদক আইনজীবী।

গেলো ৬ জুন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন তারিখ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৩ জুন তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

দুদক সচিব বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দুদক তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ২৩ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুদক।

Advertisement

গেলো ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৫ জুন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চান। দুদকের উপ-পরিচালক বরাবর সময় চেয়ে আবেদনটি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ তারিখ দেয়া হয়েছে।

বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গেলো ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে।

 

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

চার বছরেও শেষ হয়নি লঞ্চডুবিতে ৩৪ প্রাণহানির বিচার

Published

on

চার বছর আগে ২০২০ সালের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ। এতে মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রী মারা যান। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তদন্ত শেষে ২০২১ সালে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে নৌ পুলিশ। ঘটনার চার বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার।

বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ শেখ হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার।

এ আইনজীবী জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলার ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি শেষ হয়। সাক্ষ্যে একটা বিষয় মোটামুটি উঠে এসেছে ময়ূর-২ লঞ্চটি দ্রুত গতিতে ঘাটে যাওয়ার সময় মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মর্নিং বার্ডকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়েছে। এ কারণে এতগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, সাক্ষ্য গ্রহণে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ উঠে আসেনি। মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর কেউ বলতে পারেননি, কোন লঞ্চ কাকে ধাক্কা দিয়েছে। বড় লঞ্চ ছোট লঞ্চকে ধাক্কা দিয়েছে কেউ বলেনি। তারা শুধু ডুবতে দেখেছেন। সব আসামি সাফাই সাক্ষী দেবে। আসামীরা এ মামলায় খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পরে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করে নৌ-পুলিশ।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার-প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জন বরখাস্ত

Published

on

বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটে করে চার আসামি পালানোর ঘটনায় ডেপুটি জেলার ও প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। তারা হলেন- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।

পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে জানান, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে গেলো মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, বগুড়া কারাগার অনেক পুরাতন। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। কারাগার ভবনের অনেক স্থান নাজুক। কারাগারের ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না বলে জানা যায়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Published

on

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী তহুরা বেগমের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন।

গেলো ১ ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরবর্তীতে আয়কর আইনে কাজী মাহমুদুর রহমানের আয়কর ফাইল প্রাপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গেলো ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী।

পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আদালতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পর গেলো ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৬টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত