Connect with us

আন্তর্জাতিক

৪৯ হজযাত্রীর মৃত্যু, তিউনিসিয়ার ধর্মমন্ত্রী বরখাস্ত 

Avatar of author

Published

on

হজ

হজে অংশ নেওয়া ৪৯ তিউনিসিয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তিউনিসিয়ার ধর্ম বিষয়কমন্ত্রী ব্রাহিম চাইবিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার প্রেসিডেন্ট অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেকর্ড পরিমাণ তিউনিসিয়ান হজ যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ধর্মমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট অফিস বলছে, সৌদি আরবে গত সপ্তাহে প্রচণ্ড গরমে অন্তত ৪৯ তিউনিসিয়ান মারা গেছেন। তিউনিসিয়ার পরিবারগুলো এখনো নিখোঁজ বেশ কয়েকজনকে খুঁজছে।

সৌদির সরকারি প্রশাসন, মক্কার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি মৃত হজযাত্রীদের সংখ্যাগত টালি থেকে জানা গেছে, এবার পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ৯২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত হজযাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের কারণে মারা গেছে। এছাড়া এখনো বহু হজযাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।

গত ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। সৌদির আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

মৃত হজযাত্রীদের বেশিরভাগই মিসরের নাগরিক। এ পর্যন্ত অন্তত ৬০০ মিসরীয় হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মক্কার প্রশাসন।

এদিকে সৌদি আরবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৭ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে নতুন যুদ্ধের দামামা

Published

on

ইসরাইলে -হামলা

নতুন আরেক যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। টানা প্রায় ৯ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। আর এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

সম্প্রতি সেই উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যকার এই উত্তেজনার মধ্যেই ৭টি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে লেবাননে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়তে বলা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল এবং লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে সাতটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচটি দেশ তাদের নাগরিকদের এই সময়ে লেবাননে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

বৈরুতের সৌদি দূতাবাস শনিবার (২৯ জুন) লেবাননে অবস্থানরত তার নাগরিকদের ‘অবিলম্বে লেবানিজ ভূখণ্ড ত্যাগ করার’ আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখার’ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে গেলো শুক্রবার (২৮ জুন) অত্যন্ত অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকদের লেবাননে ভ্রমণ না করতে ‘দৃঢ়ভাবে পরামর্শ’ দিয়েছে। অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লেবাননে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ানদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকদের লেবাননে ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে যারা সেখানে বসবাস করেন তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু থাকা অবস্থায়ই দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে এবং লেবাননে অবস্থানরত তার নাগরিকদের দেশটি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। জার্মানি জোর দিয়ে বলেছে, ‘ইসরাইল ও লেবাননের সীমান্তে পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।’

কানাডিয়ান সরকারও লেবাননে তার নাগরিকদের লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দেশে এবং বিদেশে কানাডিয়ানদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাই কানাডার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

এদিকে লেবাননে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে উত্তর মেসিডোনিয়াও রোববার (৩০ জুন) তার নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশটি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।

Advertisement

এর আগে কুয়েত গেলো ২২ জুন তার নাগরিকদের লেবাননে ভ্রমণ এড়াতে এবং ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে’ দেশটির অভ্যন্তরে থাকা ব্যক্তিদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা করে। এরপরই একে একে এসব সতর্কতা ও নির্দেশনা দেয়া হয়।

নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে না যেতে বলছে যেসব দেশ

গেলো ৫ জুন বৈরুতের মার্কিন দূতাবাস লেবাননে অবস্থানরত আমেরিকান নাগরিকদের ইসরাইল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভ্রমণ করা এড়িয়ে চলতে দেয়। এছাড়া যুক্তরাজ্যও গেলো বুধবার (২৬ জুন) তার নাগরিকদের লেবাননে ভ্রমণ না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছে।

দেশটির ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকির কারণে এফসিডিও লেবাননে সকল ধরনের ভ্রমণের এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছে।’

এছাড়া লেবাননে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার রুদাকভ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে ভ্রমণ করা থেকে রাশিয়ান নাগরিকদের অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে ‘গুরুতর আতঙ্কের কোনো কারণ নেই’ বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিনি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিক মিশন স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দূতাবাসের কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

আইরিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও লেবাননের নির্দিষ্ট এলাকায় ভ্রমণের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছে এবং বর্তমানে দেশটিতে থাকা আইরিশ নাগরিকদের চরম সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া গত শুক্রবার জর্ডান তার নাগরিকদের এই অঞ্চলে চলমান ঘটনাবলীর কথা উল্লেখ করে লেবাননে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

মূলত গাজায় যুদ্ধের জেরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত জুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় করছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা তার মিত্র হামাসকে সমর্থন করতে এবং লেবাননে আক্রমণ চালানো থেকে ইসরায়েলকে নিবৃত্ত করতে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করছে।

লেবাননে গেলো আট মাসে আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, লেবানন থেকে চালানো হামলায় সীমান্তে ১৪ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এই হামলায় উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

গেলো কয়েক মাস ধরে হিজবুল্লাহর এসব হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। হিজবুল্লাহ যেন সীমান্ত এলাকায় আর হামলা না চালাতে পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ নিয়ে বর্তমানে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Advertisement

মূলত হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এটিই ইসরাইল-লেবানিজ সীমান্তে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগ

Published

on

মালদ্বীপের-প্রেসিডেন্ট,-কালো-জাদু

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর ‘কালো জাদু’ প্রয়োগের অভিযোগে দেশটির একজন মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মন্ত্রীর নাম ফাতিমা শামনাজ আলি সালিম। তিনি দেশটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। গেলো বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ গ্রেপ্তরের কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোববার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম পাকিস্তান অবজার্ভার’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের পুলিশ জানায়, ফাতিমা শামনাজ আলি সালিমসহ আরও দুই কর্মকর্তাকে গেলো রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, শামনাজকে এক সপ্তাহের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।

এদিকে মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু প্রয়োগ করার কারণে ফাতিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ এই প্রতিবেদনের সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি।

Advertisement

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম। সে জন্য ফাতিমার মন্ত্রণালয়টি দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ দেশটি কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালদ্বীপে জাদুবিদ্যার চর্চা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে ইসলামি আইনে দেশটিতে জাদুবিদ্যাচর্চার দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড হওয়ার বিধান রয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে মালদ্বীপের মানাধু অঞ্চলে কালো জাদু প্রয়োগের অভিযোগে তিন প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬২ বছর বয়সি এক নারী। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারী জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ভারত মহাসাগরের মাঝে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটি বিশ্বের ব্যস্ততম পূর্ব-পশ্চিম শিপিং লেনগুলোর একটি। ফলে ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে দিল্লি ও বেইজিং নিজ নিজ বলয় প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশটিতে।

গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি রাজধানী মালের মেয়র ছিলেন। তার জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৫ জুন। যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। পুলিশ ও সামরিক বিদ্রোহের পর মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার পতনের পর গঠিত ঐক্য সরকারের আবাসনমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নির্বাচন থেকে বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আসন্ন নির্বাচনী দৌড় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

রোববার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে চার বছরের মধ্যে গেলো সপ্তাহে প্রথমবারের মতো একে অন্যের মুখোমুখি হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন-ট্রাম্পের প্রথম সেই বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের পারফরম্যান্সের পরে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

আর সেই উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আসন্ন প্রেসিন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। জো বাইডেনের বর্তমান বয়স ৮২ বছর এবং আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬ বছর। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।

‘দেশের সেবা করার জন্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে আসা উচিত’ শিরোনামে এক সম্পাদকীয়তে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড যুক্তি দিয়ে বলেছে, আমেরিকান জনসাধারণকে আরেক মেয়াদের দাবি পূরণের ক্ষমতা সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন জো বাইডেন।

Advertisement

নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘তবে (বিতর্কে) যা সরলভাবে দেখা গেছে তা ভোটাররা উপেক্ষা করবে বলে আশা করা যায় না: জো বাইডেন আর চার বছর আগের মতো সেই ব্যক্তি নন।’

সম্পাদকীয়টিতে বাইডেনকে তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পরিকল্পনা প্রকাশ করতে এবং রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানি মোকাবিলায় বিতর্কের সময় বাইডেনের সংগ্রামকেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে সেই ধরনের ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যারা ট্রাম্পের আরও শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারবেন। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পুনরায় নির্বাচন না করার বিষয়ে ঘোষণা দিতেও সম্পাদকীয়তে অনুরোধ করা হয়েছে।

অবশ্য বাইডেনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও আগামী নভেম্বরে শেষ পর্যন্ত বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে তাকেই সমর্থন করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার সিএনএন-এ তাদের প্রথম লাইভ বিতর্কে মুখোমুখি হন। বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স দ্বিতীয় মেয়াদে তার বয়স এবং ফিটনেস সম্পর্কিত উদ্বেগ দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই কারণে তার এই বিতর্ক পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

Advertisement

বিতর্কে বাইডেনকে তার বয়স সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬ বছর। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জবাবে বলেন, একসময় তিনি সবচেয়ে কমবয়সী আইনপ্রণেতা বলে সমালোচনার শিকার হতেন এবং ট্রাম্প তার চেয়ে ‘তিন বছরের ছোট এবং অনেকটাই কম যোগ্য’।

বাইডেন আরও বলেন, ‘রেকর্ড দেখুন। দেখুন তিনি (ট্রাম্প) যে ভয়ানক পরিস্থিতি রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত