জাতীয়
মোদির ভোজসভায় যেসব খাবার দিয়ে আপ্যায়িত হলেন শেখ হাসিনা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-88.gif)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আয়োজিত ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতার বিরিয়ানি, সুগন্ধি বাসমতি চাল এবং কলকাতার স্টাইলে রান্না করা ও স্বাদযুক্ত শাকসবজি এবং অন্যান্য স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে ভোজসভার আয়োজন করা হয়।
জানা যায় স্থানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে
দই ফুচকা (ভারতীয় রাস্তার খাবারের সুস্বাদু-ক্রিস্পি পাফড বল যা দই এবং রাস্তার খাবারের মশলা দিয়ে স্টাফ করা হয়, মিষ্টি এবং টক স্বাদযুক্ত পানি দিয়ে পরিবেশন করা হয়); মাতর অর বাজরে কা শোরবা (একটি বিদেশি সবুজমটর এবং মুক্তার বাজরার ঝোল পুদিনার স্বাদযুক্ত, বাদামের দুধ দিয়ে তৈরি); ছানার পাথুরি (বাঙালি উপাদেয় কুটির পনির দিয়ে তৈরি এবং নারকেল, সবুজ আম, মরিচ এবং সরিষার পেস্ট দিয়ে কলা পাতায় মোড়ানো, ভাপানো চালের বিছানায় পরিবেশন করা হয়); এবং সুবজ কিমা এবং থাইম সিঙ্গারা (চূর্ণ করা আলু, ফেটা, ফুলকপি, চিনাবাদাম এবং থাইম “সামোসা” প্যাস্ট্রিতে ভরা)।
এছাড়া আরও ছিল আমরান্থ কোফতা গুলবদন (ভারতীয় কোফতা তরকারিতে সিদ্ধ করা আমরান্থ ভেজিটেবল ডাম্পলিং) অন্তর্ভুক্ত ছিল; পাঁচমেল নি সবজি (জিরা, পেঁয়াজ এবং টমেটো স্লিভারসহ মৌসুমি সবজি, একটি গুজরাটি উপাদেয়); দই পনির (ট্যাঞ্জি দই এবং ভারতীয় মশলা দিয়ে রান্না করা ম্যারিনেট করা কুটির পনির স্টেকস); শুকতো (বাঙালি মিক্স ভেজিটেবল কারি); এবং বাঙালি মসুর ডাল (বাঙালি মসুর ডাল)।
খাবার শেষে মিষ্টি আইটেমের মধ্যে, পান রসমালাই কুলিস (পান কুটির পনির ডাম্পলিং পান, পান এবং গুলকন্দ, জাফরান ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়); গুদ জালেবি অর আম কুলফি (গুড়ের শরবতে ভেজানো ক্রিস্পি প্রিটজেল এবং আমের স্বাদযুক্ত বাড়িতে তৈরি ভারতীয় আইসক্রিম মিষ্টি ভার্মিসেলি এবং টুকমালাঙ্গা বীজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়); ঋতুর খোদাই করা ফল; এবং রোস্টেড কফি / মাসালা চা / কেহওয়া।
আই/এ
জাতীয়
হজের প্রাক-নিবন্ধন বন্ধের মেয়াদ বাড়লো
![হজ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/01/হজ.jpg)
আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত হজের প্রাক-নিবন্ধন বন্ধ থাকবে। এর আগে সংস্কার কাজের জন্য গত ১২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এখন নিবন্ধন বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, হজ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনিক প্রয়োজনে রিকন্সিলিয়েশনের উদ্দেশ্যে হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধের সময়সীমা আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। তবে হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কোটার থেকে ৪২ হাজার হজযাত্রী কম ছিল।
এএম/
জাতীয়
আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪১ লাখ: আইনমন্ত্রী
![আইনমন্ত্রী,-জাতীয়-সংসদ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আইনমন্ত্রী-জাতীয়-সংসদ.jpg)
দেশের বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগ খাতে বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য যারা ছাঁটাই প্রস্তাব করেছেন, তারা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আজকের হিসাব হচ্ছে ৪১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৫টি মামলা আদালতে আছে।
বিচারক সংকটের কথা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, যতগুলো মামলা আছে তার নিষ্পত্তি করার জন্য বিচার বিভাগে যে বিচারক আছে তা অপ্রতুল। কিন্তু তুলনা করতে হবে কী ছিল, কী হয়েছে। ২০০৯ সালে জুডিশিয়ারির সক্ষমতা ছিল ৮০০ বিচারক। আজকে সেই জুডিশিয়ারির সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার বিচারক। আমরা আরও আদালত বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। ১৫৮টি আদালত খুব শিগগিরই বেড়ে যাবে।
মামলার জট কমাতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নিয়ে ৬৪ জেলায় এ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেসি ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেসি আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা নেন। তার মধ্যে ৪১টি হয়ে গেছে, ২৩টি হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই হয়ে যাবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, যদি আজ থেকে ১৭ বছর আগের কথা যদি বলা হয়, ২০০৭/০৮ সালে মামলা জট কিন্তু এর থেকে কিছুটা কম ছিল। ৩৫ লাখ বা ৩২ লাখের মতো ছিল।
জাতীয়
হত্যার হুমকী নিয়ে যা যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/সুমন.jpg)
আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ তাদের থেকে আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে। বললেন সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে জানান, সিরিয়াল কিলারের একটি গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। তারা আমাকে হত্যা করতে চান। আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তিনি আমকে কল করে জানান গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেনো আমি একটি বসি। পরে শুক্রবার বাড়ি যাবার পর শুরু দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২/৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান যে, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে একটি কন্ট্রাক কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে এক্টিভ।
তিনি আরও বলেন, পরে ওসি তার ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে আমাকে কথা বলায় দিলেন। তখন আমি কথা বলেছি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায় যে, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং এই হত্যা তাকে করতে হবে তখন তিনি এই কাজে অস্বীকৃতি জানান বা না করেন দেন। কারণ তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন তাই তিনি রাজি হননি।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক আরও বলেন, এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসয়ের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসলিভাবে আমলে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এরপর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
সুমন আরও বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোন এক মাধ্যমে জেনেছেন যে আমার লাইফ রিস্ক আছে তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভোগাস সেটিতো আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে ফেলা উচিত ছিল। আমাকে কেনো জিডি করতে হলো। আমার প্রশ্ন হলো আমার থ্রেট তো আমি জানি না। আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেবেন। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে এই থ্রেটটা রিয়েল অথবা ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা তো নিজেরেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই
তিনি বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে, হবিগঞ্জের শাহ এএমএস কিবরিয়া মারা গেছেন। আমরা তো তাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আর আমার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে- পুলিশ একটি অপমৃত্যু রেকর্ড করার জন্য বসে আছে।
জেএইচ
- পর্যটন2 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম2 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- অপরাধ2 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া4 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি3 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর3 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়3 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- ক্রিকেট2 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা