Connect with us

জাতীয়

মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কোনো চাপে নেই: হারুন

Avatar of author

Published

on

মিন্টু

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোনো চাপে নেই। বললেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন তিনি।

আদালতে স্বীকারোক্তিতে গ্যাস বাবু বলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে কোথাও ছুড়ে ফেলেছেন, এই মোবাইলগুলো উদ্ধারে ডিবি পুলিশ কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত নষ্ট করার তথ্য আমরাও জিজ্ঞাসাবাদে পেয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে একটি চিঠি দিয়েছি। যেহেতু গ্যাস বাবুর মোবাইলে ডিজিটাল এভিডেন্স রয়েছে তাকে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং মোবাইলগুলো কোথায় ফেলে দিয়েছেন সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করবো।

হারুন বলেন, মিন্টুর রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে ডিবি। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা যখন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখন তার সেটিসফেকশনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে আপাতত দৃষ্টিতে আর কিছু জানার নেই তিনি সকল কিছু জানতে পেরেছেন তখন তিনি আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠাতে পারেন। তবে আবার যদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেন ওই আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন তখন তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও বলেন, মতিঝিলের টিপু হত্যা, কামরাঙ্গীচরের শিল্পপতি হত্যাকাণ্ড ও ফারদিন হত্যাকাণ্ডসহ অনেক হত্যাকাণ্ড কিন্তু ঢাকা শহরে ঘটেছে। ডিবির চৌকস টিম কিন্তু প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বের করেছে। এমপি আনার কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করতে ডিবি পুলিশের দল রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের টিম নেপালে গেছে এবং আমাদের তথ্যের ভিত্তিতে নেপালে সিয়াম গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়া কলকাতায় গিয়েও আমরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি আলামত উদ্ধারে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়াসহ আরও অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এরমধ্যে চারজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা যদি চাপ অনুভব করতাম তাহলে এই মামলায় আমাদের এত এচিভমেন্ট হত না।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন কোনো চাপ নেই এই মামলার তদন্ত কাজে। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করা হয়। ডিবি নিরপেক্ষভাবে এ মামলার তদন্ত কাজ করছে। এ মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না এবং কাউকে অযথা ডাকাডাকি করা হবে না। সুস্পষ্ট তত্ত্বের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

আখতারুজ্জামান শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কাজ অনেকটা কনক্লুসিভ পর্যায়ে, আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। কিছু কিছু নাম আমরা পেয়েছি তাদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের একটা বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে সেহেতু আমরা ভারতীয় পুলিশকে বলেছি যেন তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমরা টিম নিয়ে গিয়ে কথা বলেছি।

এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের এমসিবি শাখার মাধ্যমে আমরা ইন্টারপোল কে চিঠি দিয়েছি। শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সকলেই কাজ করছি। আরও এক-দুইজন আসামি বাকি রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি হবে।

এমপি আনারের মেয়ে ডরিন ডিএনএ নমুনা দেয়ার জন্য কলকাতায় যাওয়ার কথা কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, ভারতীয় পুলিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ডরিনকে জানিয়েছে ভারতে যাওয়ার জন্য। ডরিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে সে মনে হয় কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছে। তার স্বাস্থ্য ভালো হলে তিনি শিগগিরই ভারতে যাবেন।

কেএস/

Advertisement

 

Advertisement

জাতীয়

সাইন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

Published

on

সাইন্সল্যাব-মোড়ে-ঢাকা-কলেজ-শিক্ষার্থীদের-অবরোধ

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবরোধ করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে নীলক্ষেত থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এর ফলে মুহূর্তেই যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘চাকরি পেতে, স্বচ্ছ নিয়োগ চাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা বাতিল ঘোষণা করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ছাত্র সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ শ্রেণিকে যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

তারা আরও বলেন, এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। এর আগেও আমরা টানা চারদিন কলেজের মূল ফটকে অবস্থানসহ কোটাবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের দাবি একটাই। সেটি হচ্ছে কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে সমতা রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে, গতকাল শনিবার (০৬ জুলাই) হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ (৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ‘বাংলা ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেলো ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পরে গেলো বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করায় লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সময় নষ্ট করার যৌক্তিকতা নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোটা বাতিল করেছিলাম। কিন্তু এতে লাভ কী হলো। অনেক মেয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক জেলার মানুষও বঞ্চিত হয়েছে। এরকমই একজন মামলা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদের কতজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কতজন পাশ করেছিল তার একটা হিসাব বের করা দরকার। তারা (মেয়েরা) দেখাক পরীক্ষা দিয়ে বেশি পাশ করেছিল কিনা। মেয়েরা প্রমাণ করুক তারা বেশি পাশ করেছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মন্ত্রী-কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না :কাদের

Published

on

ওবায়দুল-কাদের

দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয় সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। মন্ত্রী সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (০৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টটেন্স, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএ এবং সড়ক বিভাগে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। আগে এক সময় লেনদেন হতো, তার বিনিময়ে বদলি হতো। সেটা অনেক অংশে বন্ধ হয়েছে। তবে মিরপুর ইকুরিয়াসহ বেশ কিছু জেলায় কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অপকর্ম করে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই বিলিভ সো আই হোপ সো। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারছি না। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যে কোন সময় সমাধান হয়ে যাবে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত