Connect with us

ক্রিকেট

বিদায়ী ম্যাচেও জেতা হলো না বাংলাদেশের

Avatar of author

Published

on

সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত জয়ও নিশ্চিত করা যায়নি।

আফগানরা শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। এই লক্ষ্যমাত্রা ১২.১ ওভারে পেরোতে পারলে সেমি খেলা হতো টাইগারদের। তা হয়নি। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচও ফসকে গেছে হাত থেকে। ম্যাচে বৃষ্টির বাঁধায় বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ১৯ ওভারে ১১৪ রান। বাংলাদেশ দল ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। এতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আফগানরা।

বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম শুরু করেন লক্ষ্য তাড়া করতে। শুরু থেকেই একটা মারমুখী ভঙ্গি চোখে পড়ে। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তানজিদ হাসান। একপাশ আগলে পড়ে থাকেন লিটন।

নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান কেউই সঙ্গ দিতে পারলেন না লিটনকে। সৌম্য সরকারও ফিরলেন ১০ বলে ১০ রান করে, রশিদ খানের দারুণ এক ডেলিভারিতে। ততক্ষণে দুইবার বৃষ্টি হানা দিয়েছে খেলায়। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে দুইটি বাউন্ডারি আসে। বড় শট খেলতে গিয়ে এই ব্যাটারও ফিরে যান।

মাঠে কেবল তখনো ছিলেন লিটন। আর অন্যপাশে মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেনকে পরপর দুই বলে ফিরিয়েছেন রশিদ। তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ যথাক্রমে ১০ ও ৯ বল সঙ্গ দেন লিটনকে। তাতে কি! বাংলাদেশের প্রয়োজন মেটেনি।

Advertisement

লিটন একপ্রান্তে অপরাজিত থাকলেন ৪৯ বলে ৫৪ রানে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলো আফগানিস্তান। ওপেনিং জুটিতেই সংগ্রহ করে ৫৯ রান। ২৯ বলে ১৮ রান করা ইব্রাহিম জাদরানকে রিশাদ হোসেন ফিরিয়ে দিলে ভেঙ্গে যায় জুটি। এরপর তিনে খেলতে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ১০ রানে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।

দলীয় ৮৮ রানে ৫৫ বলে ৪৩ করা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন রিশাদ। ওই ওভারেই ফিরে যান গুলবদিন নাইব। পরের ওভারে তাসকিনের শিকার হন মোহাম্মদ নবী।

শেষ দিকে করিম জানাতের ৭ ও রশিদ খানের ৩ ছক্কায় ১৯ রানের সুবাদে ১১৫ রানের সংগ্রহ পায় দলটি।

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

রোনালদোকে উত্ত্যক্ত করতে মেসির জার্সি  

Published

on

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে উত্ত্যক্ত করার কি এক অস্ত্রই না পেয়েছে প্রতিপক্ষের ভক্তরা।  লিওনেল মেসির নাম স্মরণ করিয়ে দিলেই চেতে যান পর্তুগিজ মহাতারকা।  যার প্রভাব পড়ে মাঠের খেলায়।

স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচেও দেখা গেলো সেই চিত্র। রোনালদোকে উত্যক্ত করতে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের জার্সি নিয়ে হাজির একাধিক স্লোভেনিয়া ভক্ত। এমনকি মাঠে ‘মেসি মেসি’ ধ্বনিও তোলে তারা।

মেসির জার্সির প্রভাবে হোক বা যে কারণেই হোক, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দিনটা ভালো ছিলো না রোনালদোর জন্য। একের পর এক ফ্রি কিক নিয়ে কাজে লাগাতে পারেননি আল নাসর তারকা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মিস করেছেন পেনাল্টিও।

দলের জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপ কতোটা পুড়িয়েছে রোনালদোকে তা প্রকাশ পেয়েছে খেলার মাঝেই। অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে ছোট বাচ্চার মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন।

যদিও পর্তুগিজ গোলরক্ষক ডিয়াগো কস্তার ‘অতিমানবীয়’ পারফর্ম্যান্সে ম্যাচে ফলাফল এসেছে পর্তুগালের জয় হয়েই।

Advertisement

রোনালদোকে মাসনিক ভাবে শন্তিশালী হিসেবেই চেনে ফুটবল বিশ্ব। নিজের খারাপ দিনে এভাবে কান্নার কারণ সিআরসেভেন জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে,

‘মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে। দল যখন আমার কাছে কিছু চাচ্ছে, আমি তখন পতনের নিচে অবস্থান করছি। প্রথমের কান্নাটুকু কষ্টের, এরপর আনন্দের। একই ম্যাচ, অথচ আমার দুইরকম অনুভূতি হলো- আনন্দ ও বেদনার। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো আনন্দ উপভোগ করা। আমার সতীর্থরা দারুণ খেলেছে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সবাই লড়াই করেছি। জয়টা আমদেরই প্রাপ্য ছিল। কারণ পুরো ম্যাচে আমরাই ভালো খেলেছি।‘

কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। ২০১৬ ইউরোতে ফাইনালে এই ফ্রান্সকে হারিয়েই আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন রোনালদো।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

রোহিতের ইচ্ছাতে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচ ছিলেন দ্রাবিড়

Published

on

ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এই ভারতীয় কোচের মেয়াদ ছিল সবশেষ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত। যে টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রোহিত শর্মার দল। অধিনায়ক রোহিত চেয়েছিলেন দ্রাবিড় থাকুক। এই চাওয়া কোচ রেখেছেন এবং আরও কিছুদিন থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যা সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বর্ধিত ছিল।

জীবনের এই পর্যায়ে এসে রোহিতকে ধন্যবাদ দিতে পারেন দ্রাবিড়, দিলেনও তিনি। এখন বিশ্বকাপ-জয়ী কোচ হিসেবে নাম উঠেছে তার। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দ্রাবিড় বলেন, ‘রো (রোহিত), অনেক ধন্যবাদ নভেম্বরে আমাকে ডেকেছিলে আর চালিয়ে নিতে বলেছিলে।’

‘আমি মনে করি এটা অনেক সম্মানের এবং আনন্দের, এখানের সবার সাথে কাজ করা। কিন্তু রো, তোমার সময়ের জন্য ধন্যবাদ। এখানে অনেক সময় আছে আমাদের গল্প করার জন্য, আমরা আলোচনা করব, আমরা একমত হব, আমরা মাঝেমধ্যে দ্বিমত হব। তবে তোমাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ জানাই।’

কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না দ্রাবিড়। এমন দিনের মতো দিন যে তার জীবনে এসেছে, তার জন্য তিনি অনেক বেশি আনন্দিত- যা বারবার তার কথায় প্রকাশ পাচ্ছিল।

শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের সাথে ভারতের কোচিংয়ের সম্পর্ক। কোথায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে যেখানেই যান, ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার এই মধুর স্মৃতি তো সবসময় আঁকড়ে থাকবেন তিনি।

Advertisement

 

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পিচের মাটি মুখে নেওয়া প্রসঙ্গে জানালেন রোহিত

Published

on

বার্বাডোজের পিচ থেকে মাটি নিয়ে মুখে দিলেন রোহিত শর্মা। আইসিসি থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেল তা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে রোহিতের আবেগ যেন ঠিকরে বের হয়েছে নানাভাবে। পিচের মাটি মুখে নেওয়া সেই আবেগের অংশ সন্দেহ নেই। তবুও সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রোহিত।

কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ভারতীয় দলের অনেকরকম আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। খেলোয়াড়দের অশ্রু আর আনন্দে মাখামাখি ছিল সবকিছু।

রোহিত তো মাটিতে শুয়ে পড়লেন ম্যাচ জয়ের পরপর। একটা সময় গিয়ে পিচের কাছে বসলেন। যে পিচে খেলা হয়েছে, সেই পিচের মাটি মুখে নিলেন। সবকিছু যেন একেকটা মুহূর্ত তৈরি করে দিচ্ছিল।

এ বিষয়ে রোহিত বলেন, ‘আসলে এই জিনিসগুলো, আমার মনে হয় না আমি বর্ণনা করতে পারব, কারণ এর কিছুই লেখা ছিল না। এটা হচ্ছে, আপনি জানেন, যা একেবারে মুহূর্তে চলে আসে, আমি সেই সময়টা অনুভব করছিলাম- যখন আমি পিচের কাছে গেলাম। কারণ এই পিচ আমাদের এটা দিয়েছে, আমরা এই ম্যাচটা জিতেছি।’

ভারতীয় অধিনায়ক যোগ করেন, ‘নির্দিষ্ট করে বললে এই মাঠেও। আমি সারা জীবন এই মাঠের কথা মনে রাখব, এই পিচকেও। তো আমি চেয়েছিলাম এই পিচের কিছু অংশ নিজের সাথে নিতে। হ্যাঁ এই মুহূর্ত অনেক অনেক বিশেষ। এবং এই জায়গা, যেখানে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি এর কিছু নিতে চেয়েছিলাম। এর পেছনে এই অনুভূতিই ছিল।’

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত