Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় ২০ হাজারের বেশি শিশু নিখোঁজ

Avatar of author

Published

on

গাজা

টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজা উপত্যকায় ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে, অনেককে আটক করা হয়েছে, অনেককে আবার অচিহ্নিত কবরে সমাহিত করা হয়েছে আবার অনেকেই তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিশ্বজুড়ে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য সামনে এনেছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এই দাতব্য সংস্থা বলেছে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল নিরলসভাবে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে তথ্য সংগ্রহ এবং তা যাচাই করা ‘প্রায় অসম্ভব’। তবে গাজায় কমপক্ষে ১৭ হাজার শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আনুমানিক ৪ হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে এবং বিভিন্ন গণকবরেও অসংখ্য শিশুকে সমাহিত করা হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, ‘অন্যান্যদের জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, যার মধ্যে অজ্ঞাত সংখ্যক শিশুকে আটক করা হয়েছে এবং জোরপূর্বক গাজা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া তাদের পরিবারের কাছে তাদের অবস্থান এখনও অজানা।’

সেভ দ্য চিলড্রেনস-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর মিডল ইস্ট জেরেমি স্টোনার বলেন, ‘পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জন কোথায় অবস্থান করছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। কোনো অভিভাবককে যেন তাদের সন্তানের মৃতদেহ খুঁজে বের করার জন্য ধ্বংসস্তূপ বা গণকবর খুঁড়তে না হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো শিশুর একা ও অরক্ষিত অবস্থায় থাকা উচিত নয়। কোনো শিশুকে আটকে রাখা বা জিম্মি করাও উচিত নয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসকে নির্মূলের যুদ্ধের নামে ইসরায়েল গেলো আট মাসে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি এই আগ্রাসন গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

কেএস/

 

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে প্রথম দফার ভোট শেষের পথে, ম্যাক্রোঁ-বিরোধীদের জয়ের আভাস

Published

on

ফ্রান্সে পার্লামেন্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষের পথে রয়েছে। আর কিছুক্ষণ পরেই দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। তবে প্যারিসের মতো বড় শহরগুলোতে আরও দুই ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ রোববার (৩০ জুন) সকাল ৮টায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে রেকর্ড প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর কিছুক্ষণ পরই দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। তবে বড় বড় শহরে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।

ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশিত হওয়া শুরু করবে। তখন থেকেই নির্বাচনে কোন দল কেমন করলো, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। যদিও ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সামগ্রিক চিত্র জানা যাবে।

এরপরও বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এবারের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) দলের নেতা মেরিন লে পেন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দলটি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা।

এবারের নির্বাচনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ দল অর্ধেকের বেশি আসন হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে করা জরিপে দেখা গেছে, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট ২০ থেকে ২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

Advertisement

অবশ্য এটাও মাথায় রাখতে হবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বেশ জটিল। ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে কে কত আসন পাবে, তা আগে থেকে অনুমান করা বেশ কঠিন। এই জন্য ৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হলেই চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে তড়িঘড়ি করে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন দেন। গেল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্সের ডানপন্থী আরএন দল ৩২ শতাংশ ভোট পেলেও ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ দল পায় মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহ আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়

Published

on

লেবাননের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে আরব বিশ্বের দেশগুলোর জোট আরব লীগ।

শনিবার আরব লীগের সহকারী মহাসচিব ও মিসরীয় কূটনীতিক হোসাম জাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সংসদীয় উপদলের নেতা মোহাম্মদ রাদের সাথে বৈরুতে এক বৈঠকের পর ওই ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট বলছে , হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব লীগ। কারণ এই গোষ্ঠীটি বর্তমান রাজনীতি ও লেবাননের ভবিষ্যতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে আরব বিশ্বের বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম এখনও নীরব রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

শিশুটির আঘাত পায়ে, অস্ত্রোপচার হলো গোপনাঙ্গে!

Published

on

প্রতীকী চিত্র

৯ বছর বয়সী একটি ছেলে শিশু পায়ে আঘাত পেয়েছিল । তারপরই শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায় তার পরিবার। পরামর্শ দেওয়া হয় অস্ত্রোপচারের। পরিবারও চিকিৎসকের কথায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অস্ত্রোপচারের  দিন  চিকিৎসক পায়ের বদলে শিশুটির গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেছেন। এমন অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। অভিযোগের পর তদন্ত শুরু করেছেন থানে সিভিল হাসপাতালের সিভিল সার্জন।

টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মহারাষ্ট্রের শাহাপুর এলাকার স্থানীয় এক হাসপাতালে এই ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার শাহাপুর থানায় ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের দিন চিকিৎসক ওই শিশুটি ছাড়া আরও তিনজনের অন্ত্রোপচার করেন। আর এই কারণে বিভ্রান্তিতে পড়ে পায়ের আঘাতের স্থানের পরিবর্তে ওই শিশুটির গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন।

তবে চিকিৎসকদের দাবি,তারা পায়ে অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি সঠিকভাবে শিশুটির খৎনা করে দিয়েছেন। কারণ ছেলেটির পুরুষাঙ্গের আবরণ ত্বকে সমস্যা ছিল।

শাহাপুরের সারাভালি গ্রামে বসবাস করে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার। স্কুলগামী শিশুটির বাবা দিনমজুর এবং মা গৃহকর্মীর কাজ করেন।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত