Connect with us

আইন-বিচার

বেনজীর দম্পতির আটটি ফ্ল্যাট ও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ

Avatar of author

Published

on

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। এই ফ্ল্যাটগুলো ঢাকার বাড্ডা ও আদাবরে এবং জমি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ বিষয়ে দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বাড্ডা ও আদাবরে থাকা আটটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, বান্দরবানে ২৫ একর ও উত্তরায় তিন কাঠা জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট ও জমি দেখভালে কোন সংস্থাকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর তা জানা যাবে।

এর আগে, গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। তার আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়কও নিয়োগ দেন আদালত।

Advertisement

এর আগে বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের এসব সম্পদের মধ্যে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দায়িত্ব দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে তাদের যেসব কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা দুটির কৃষি কর্মকর্তাদের। একই সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণীর খামার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলার প্রাণিসম্পদবিষয়ক কর্মকর্তাদের।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তিনি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি)ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এএম/

Advertisement

আইন-বিচার

খালাস পেলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই, দুই কেয়ারটেকারকে দণ্ড

Published

on

দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই মাদকের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তবে তার বাড়ির দুই কেয়ারটেকারকে দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) আদালতের পেশকার তানভীর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন। ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পেশকার বলেন, গত ১৩ জুন আদালত এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে নবীন মন্ডল ও পারভেজ নামে দুই আসামির ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গুলশানের বাসা দেখাশোনা করতেন। রায় ঘোষণার সময় নবীন মন্ডল ও পারভেজ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের দুটি বাসায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদসহ নবীন মন্ডল ও পারভেজ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মদ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক এস এম সামসুল কবীর বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী। তবে আজিজ মোহাম্মদ ভাই দীর্ঘদিন পরিবারসহ বিদেশে অবস্থান করছেন। ধারণা করা হয় তিনি থাইল্যান্ডে রয়েছেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল না নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

Published

on

এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে, গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, ফেরি ও রোডে চলাচলের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে টোল আদায় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে পদ্মা সেতুতে চলাচলে টোলের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয় মেনে চলতে হবে।

সোমবার (১ জুলাই) এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচলে টোল নেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, গেলো ৭ মে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আদালতে  রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিও করেন তিনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদের জামিন আবেদন

Published

on

হাইকোর্ট

ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত।

সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এর আগে গেলো ২৭ জুন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন একই সংগঠনের সাবেক এক নেত্রী। ইডেন কলেজের সাবেক ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কক্সবাজারে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর একাধিকবার ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক।

এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, ইডেন কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদী ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরীয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত