Connect with us

জাতীয়

মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন: কাদের

Avatar of author

Published

on

ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে। চালু হওয়ার পর থেকে মেট্রোরেলের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। এখন মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নোত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

রাজধানীতে বাস রুট রেশনালাইজেশন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশনের (পুনর্বিন্যাস) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন রঙের নয়টি ক্লাস্টার, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মাঝে ছয়টি ক্লাস্টার নগর পরিবহন ও তিনটি ক্লাস্টার শহরতলী পরিবহন। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঘাটার চর-কাঁচপুর রুটে পরীক্ষামূলক ঢাকা নগর পরিবহন উদ্বোধন করা হয়। ওই সেবায় বিআরটিসির ৩০টি বাস চলছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঘাটারচর-স্টাফ কোয়ার্টার ও ঘাটারচর-কমদতলী থানা রুটে নগর পরিবহন চালু করা হয়।

সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে। প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক লিখিত প্রশ্নোত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের ১৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহন থেকে মোট ১ হাজার ৬৩১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নোত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এক বছরে জুলাই থেকে চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের তিনটি সেতু (যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু, ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু এবং পদ্মা সেতু) থেকে টোল আদায় হয়েছে মোট এক হাজার ৪৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে পদ্মা সেতু থেকে ৮১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৬৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় ৪ হাজার ১৬৬টি সেতু রয়েছে। সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিআরটি প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট এলাকা যানজটমুক্ত এবং সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আনতে ছয়টি স্থানে সাতটি ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুরের চৌরাস্তায় আরেকটি ফ্লাইওভার আগামী আগস্ট নাগাদ শেষ হবে। গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হলে এই সড়কে ট্রাফিকের চাপ কমবে।

এএম/

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

Published

on

রাষ্ট্রপতি

বর্ষায় প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে হ্রদ পাহাড়ের জনপদ রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত তিনি রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ শফি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ জেলার সব দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র থেকে জানা গেছে, ৮ জুলাই সকালে হেলিকপ্টার যোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাঙ্গামাটি যাবেন। পরে আরণ্যক রিসোর্টে রাত্রী যাপন করবেন। এরপর ৯ জুলাই হাউজবোটে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করে কাপ্তাই উপজেলায় যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি নয়নাভিরাম আসামবস্তি সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটিতে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ১০ জুলাই সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি ত্যাগ করবেন। রাঙ্গামাটি অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি পাহাড়িদের কোমর তাঁতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মার্কেট পরিদর্শন করবেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেল যে বাহিনী

Published

on

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন হাতিরঝিল এলাকায় এখন থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা। রাজউকের চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার আনসার বাহিনীর কাছে হাতিরঝিল এলাকার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর হাতিরঝিল ব্যাবস্থাপনা ভবনে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়।

এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, হাতিরঝিলের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরেকটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দেয়া হলো। নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১১টার পর দর্শনার্থীদের হাতিরঝিল ত্যাগের অনুরোধও জানান রাজউক চেয়ারম্যান। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আনসার বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হাতিরঝিলকে পরিচ্ছন্ন রাখবে।

হাতিরঝিলকে ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ করা হবে জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাতিরঝিল থেকে বনানী এবং কালাচাঁদপুর পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সির রুট বাড়ানো হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, হাতিরঝিলের অবৈধ পকেট গেট তদারকিসহ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে আনসার বাহিনী।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পদ্মা সেতু পরিচালনায় গঠিত হচ্ছে সরকারি কোম্পানি

Published

on

পদ্মা-সেতু

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য  আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানির মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

পদ্মা সেতু এখন সরকারের সেতু বিভাগের সম্পদ। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে যে আয় হচ্ছে, তা জমা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে। নতুন কোম্পানি গঠিত হলে এই সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চলে যাবে কোম্পানির অধীন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। এই বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন। তারা জনবল কাঠামো ঠিক করবে। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

Advertisement

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে কোম্পানির অধীন যাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

২০২২ সালের ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

এদিকে ২০০৯ সালে শুরু হওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্পটির মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে ৩০ জুন। প্রায় ১৫ বছর ধরে চলার পর প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলো।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত