Connect with us

শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

Avatar of author

Published

on

এইচএসসি-পরীক্ষা

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল রোববার (৩০ জুন)। গেলো ২ এপ্রিল এই পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় কোরআন মাজিদ বিষয় এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসির (বিএম/বিএমটি) বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। এবার মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।

তবে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট অঞ্চলের চারটি জেলার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই থেকে এসব জেলায় পূর্বঘোষিত সময়সূচি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি পরবর্তীতে প্রকাশ করবে স্ব স্ব বোর্ড। একই সঙ্গে ৮ জুলাইয়ের পর আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না বলেও জানিয়েছে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

এদিকে, গেলো কয়েক বছরের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের পুনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisement

এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতি বছরের মতো এবারও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেগুলো হলো,

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। কোনো কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ রেজিস্ট্রারে লিখে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল)।

Advertisement

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রেখেছে সরকার।

Advertisement

শিক্ষা

দ্বিতীয় দিনেও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

Published

on

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত-উপাদানকল্প ১৯৮ কলেজের শিক্ষার্থী ও সেবাপ্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া।

এ শিক্ষক নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম কোনোভাবেই প্রত্যাশার বিষয় নয়। কখনো কোনো আইন এভাবে কেউ পাস করে? কৌশলে রাতারাতি একটি আইন তৈরি করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য না।

এদিকে চলমান এ আন্দোলনে বিপাকে পড়েছে ঢাবিতে আসা সেবা প্রত্যাশিরা।

Advertisement

মেহেদী হাসান বাপ্পি নামে ঢাকা কলেজের এক ছাত্র জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য এসেছেন। তাদের ফরম ফিলআপের ডেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্ত এখানে এসে দেখেন তালা মারা সবরুমে।

আসলাম হোসেন নামে আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, আজকেসহ তিনদিন এসে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তবুও সনদ তুলতে পারেননি। তাঁর ৪ জুলাই ভাইভা রয়েছে চাকরির,তাঁর সনদ খুবই প্রয়োজন। খুব বিপদে আছি।

এমন পরিস্থিতিতে অন্তত মার্কশিট, সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট শাখা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশিরা।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

বৃষ্টি-বন্যার মাঝেই বুধবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

Published

on

প্রাথমিক-বিদ্যালয়, স্কুল খোলা

ফুরিয়ে এসেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টানা ২০ দিনের ছুটি। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন এ লম্বা ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল বুধবার (০৩ জুলাই) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে চলছে ভরা বর্ষা, মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। তবে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ছুটি আর বাড়ানোর চিন্তা নেই বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

উল্লেখ্য, গেলো ১৩ জুন শুরু হয় চলতি বছরের ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে আজ ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামীকাল ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে। এর আগে শিখন ঘাটতি পোষাতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গেলো ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হয়েছে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবারের পাশাপাশি এখন থেকে শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির অনুমোদন

Published

on

শিক্ষা-মন্ত্রণালয়-লোগো

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি। দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি) হবে, তাতেও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু সংশোধনী আনার পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সংশোধনীগুলো যুক্ত হলেই তাতে সই করবেন তারা। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক নম্বর থাকছে। এসএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণের বিষয়টিও থাকছে।

জানা যায় ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ অনুযায়ী- ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে নতুন পাঠ্যক্রম। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এ পদ্ধতি। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এটি চালু হবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত