Connect with us

ক্রিকেট

এগারো বছরের ট্রফি খরা ঘুচলো ভারতের

Avatar of author

Published

on

ভারত সবশেষ আইসিসি ট্রফি জেতে ২০১৩ সালে। একবার মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, সেটা ২০০৭ সালে। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো উপমহাদেশের এই দেশটি।

পুরো ম্যাচটি অনেকরকম পরিস্থিতির জন্ম দিল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে তা ফসকে যায়। ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের মারমুখী জুটি বলে দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের ক্ষুধা। তবে মিলারকে একা করে ২৭ বলে ৫২ রানে যখন ক্লাসেন ফিরলেন, সেসময় আশার পালে যেন বিপরীত হাওয়া এসে লাগল।

সেই হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি প্রথমবারের মতো আইসিসি ফাইনাল খেলা দলটির। তবুও মিলার ছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হলেন মিলার, ১৭ বলে ২১ রানে তার এই বিদায়েই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়ে যায় ভারত। পুরো ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি আসে, এছাড়াও আরও একটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ৩১ বলে ৪৬ রান, শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে অনেকটুকু এগিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৭ রানের। দলটি দলীয় ১২ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের জুটিতে সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা। স্টাবস ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষরের শিকার হয়ে। আর ডি ককের ইনিংস থেমেছে ৩১ বলে ৩৯ রানে আর্শদ্বীপের ডেলিভারিতে। ডি কক যখন ফেরেন, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।

Advertisement

এরপর মিলার ও ক্লাসেন মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। আর সেই জুটিতে বল আর রানের সমীকরণ সমান করে ফেলেন দুই ব্যাটার। তাদের ২২ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে ক্লাসেনের উইকেট পতনে। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন এই ব্যাটার। এতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফানুস একেবারেই মিইয়ে যায়। পরের ব্যাটাররা আর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় ডেথ বোলারদের সামনে। পরাজয়কেই সঙ্গী করতে হয় মার্করামের দলকে।

ভারতের পক্ষে বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।

Advertisement

ক্রিকেট

ডাম্বুলার হারের দিনে উজ্জ্বল মোস্তাফিজ

Published

on

জিততে পারলো না মোস্তাফিজুর রহমানের দল ডাম্বুলা সিক্সার্স। একই দলে আছেন বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) টানা দুই ম্যাচ হারলো ডাম্বুলা। আজকের ম্যাচে জাফনা কিংসের বিপক্ষে অবশ্য বোলিংয়ে দারুণ করেছেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

ডাম্বুলা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯১ রান। যেখানে কুশল পেরেরা একাই করেন ১০২ রান। এমন লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়ে অনেকখানি নির্ভার থাকার কথা ছিল ডাম্বুলার। কিন্তু তা আর হয়নি।

প্রতিপক্ষ জাফনা অবশ্য ৩৬ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। এরপর আভিস্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কার ১৩৪ রানের জুটিতে ম্যাচ বাগে নিয়ে আসে ক্যান্ডি। আসালাঙ্কা ৩৬ বলে ৫০ এবং ফার্নান্দো ৩৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন।

কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এদিকে হৃদয় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি, ফিল্ডিংয়ে একটি সরাসরি থ্রোতে একটি রানআউট করেছেন।

শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন জাফনা।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কবে হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

Published

on

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ এ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মার্চের ১ তারিখ, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের জায়গা থাকে ক্রিকেটে। এই ম্যাচের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও আলাদা নজর থাকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানের আয়োজন যদি ঠিকঠাক থাকে- তবে মার্চের ১ তারিখেই কাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

ঠিকঠাক থাকা বা না থাকার প্রশ্ন আসে- কারণ ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি না, তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। এরমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসিতে টুর্নামেন্টের সূচি পাঠিয়েছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক কিছু জানা যায়নি।

ভারতীয় সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা শেষ করে বিসিসিআই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে টুর্নামেন্টটি।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা নিলেন পান্ডিয়া

Published

on

প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়া জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে। এই অলরাউন্ডার দুই ধাপ এগিয়ে শ্রীলঙ্কা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পেরিয়ে উপরে উঠেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কেবল এক ধাপ এগিয়ে এখন পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছেন।

বিশ্বকাপে ১৫১ স্ট্রাইক রেট, ৪৮ গড় নিয়ে ১৪৪ রান করেছেন পান্ডিয়া। এছাড়াও সংগ্রহ করেছেন ১১ টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ২০ রান দিয়ে সংগ্রহ করেছেন ৩ উইকেট। যে ম্যাচে ভারত ৭ রানে জয়ী হয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সেরা পারফরম্যান্স করেন তিনি, ২৭ বল খেলে অপরাজিত ৫০ রান সংগ্রহ করেন।

পান্ডিয়ার সতীর্থ জাসপ্রীত বুমরাহর র‍্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছে। বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন এই বোলার। তিনি ১২ ধাপ এগিয়ে ১২তম অবস্থানে আছেন এখন তিনি। বিশ্বকাপে শিকার করেছেন ১১ টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।

শুধু বুমরাহ নন, ভারতের অন্য বোলারদেরও উন্নতি হয়েছে। বাঁহাতি লেগ স্পিনার কুলদীপ যাদব বিশ্বকাপে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তিনি ৩ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে অষ্টম অবস্থানে আছেন। পেসার আর্শদ্বীপ সিং, যিনি যৌথভাবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকার করেছেন, মোট ১৭ টি- তিনি ৪ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৩তম অবস্থানে আছেন।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত