Connect with us

পরামর্শ

প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও

Avatar of author

Published

on

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন যে কেউ। কী কী অসুবিধা হতে পারে? দেখুন-

নানা কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিরভাগ মানুষকেই অনিদ্রার সমস্যায় পড়তে হয়। অনিদ্রা এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ঘুমান বা একেবারেই ঘুমান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

কম ঘুমের অসুবিধা

একজন মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে তার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জেনে নিন কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয়।

মস্তিষ্কের উপর প্রভাব: বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ঘুমের অভাব আপনার মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। আপনি হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা: ঘুমের অভাব পরিপাকতন্ত্রেও প্রভাব ফেলে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয়, তাদের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে: আপনি যদি প্রতিদিন কম ঘুমোন, তবে কখনও কখনও আপনি হঠাৎ ঘুমিয়ে যেতে পারেন। গাড়ি চালানোর সময় বা অন্যান্য বিপজ্জনক কাজ করার সময় যদি এই ঘুম চলে আসে, তবে আপনার সঙ্গে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

চোখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন। তবে সাবধান, কারণ এটি আপনার চোখের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কম ঘুমালে চোখের সমস্যা হতে পারে।

মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বেশিরভাগ মানসিক সমস্যা ঘুমের অভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি যদি খুব কম পরিমাণে ঘুমোন তবে আপনাকে মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

এইসব মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থাকে: গবেষণা অনুসারে, যারা প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন না, তাদের ক্যানসার, হার্ট স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Advertisement

জেএইচ

Advertisement

পরামর্শ

কম ওজন নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন বাড়ানোর উপায়

Published

on

ওয়েট বা ওজন এমন একটি ব্যাপার যা বেশি হলে সমস্যা, আবার কম হলেও সমস্যা। প্রতিটি মানুষের বয়স, হাইট অনুযায়ী একটি আর্দশ ওজন থাকে। সেই স্বাভাবিক ও আদর্শ ওজন মেনটেইন করা সবার জন্য জরুরি। আমরা সাধারণত অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকি, কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটাও চিন্তার বিষয়।

অনেকে মনে করেন, বেশি পরিমাণে খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কম ওজন নিয়ে যারা টেনশনে আছেন, আজকের ফিচারটি তাদের জন্য। সহজ ও কার্যকরী টিপস জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

ওজন কম কেন হয়?

বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ব্যবহার করে খুব সহজেই বোঝা যায় হেলদি ওয়েট রেঞ্জে আপনি আছেন কিনা। উচ্চতা ও ওজন দিয়ে আপনি বডি মাস ইনডেক্স বের করতে পারেন। বডি মাস ইনডেক্স ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে থাকলে সেটি হেলদি রেঞ্জ হিসেবে ধরা হয়। এক্সপার্টদের মতে, বডি মাস ইনডেক্স ১৮.৫ এর কম হলে সেটি আন্ডার ওয়েট হিসেবে কাউন্ট করা হয়। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ওজন কম হওয়ার কারণগুলো কী।

# ইটিং ডিসঅর্ডার বা অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা (ধীরে ধীরে খাওয়ার ইচ্ছা কমতে থাকে, ওজন কমতে থাকে)

Advertisement

# সিলিয়াক ডিজিজ (জন্মগত সমস্যা, যাতে রোগীর পরিপাকতন্ত্র গ্লুটেনের প্রতি অতিসংবেদনশীল থাকে)

# থাইরয়েড সমস্যা

# টাইপ ১ ডায়াবেটিস

# বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন

# ড্রাগ, অতিরিক্ত স্ট্রেস

Advertisement

# জেনেটিক্স

ওজন বৃদ্ধি করার দারুণ কিছু উপায়

১. ক্যালরি কাউন্ট খেয়াল রাখা

ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে ওজন বৃদ্ধি করা যায়। যেমন আপনার এখন যতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন তারচেয়ে বেশি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। ক্যালরি ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে কতটুকু ক্যালরি বার্ন করা প্রয়োজন জানতে পারবেন। যদি আপনি ধীরে সুস্থে ওজন বাড়াতে চান, তাহলে ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি রাখতে হবে, আর যদি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ৭০০-১০০০ ক্যালরি বেশি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে প্রোপার ডায়েট প্ল্যান নিতে পারেন।

২. প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা

Advertisement

পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন (বিশেষ করে উদ্ভিজ প্রোটিন) ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ মাসল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হেলদি ওয়েট গেইনের জন্য হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাংস, মাছ, ডিম, ডেইরি আইটেম, বাদাম ইত্যাদি আপনার ফুড চার্টে ইনক্লুড করে ফেলুন।

৩. হেলদি ফ্যাট ও ফাইব্রাস কার্ব ইনক্লুড করা

ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন, এর জন্য বেশি বেশি কোক, জাংক ফুড, বিরিয়ানি খাচ্ছেন? এগুলো খেলে ওজন হয়তো বাড়বে, কিন্তু তার সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যকর কিন্তু ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর, এমন খাবারগুলো প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। রিফাইন্ড ও প্রসেসড কার্বহাইড্রেট এড়িয়ে চলা বেটার। হেলদি ফ্যাট আপনাকে চুজ করতে হবে। পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ, ভেজিটেবল অয়েল, অ্যাভোকোডা, মাংস, চিজ, পিনাট বাটার, স্যামন ইত্যাদি ডায়েট চার্টে রাখুন।

৪. প্রোটিন স্মুদি খাওয়া

প্রোটিন স্মুদি ওজন বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকর। বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস, নাটস দিয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন স্মুদি। ঘরে সহজে তৈরি করা যায় এখন স্মুদির রেসিপি দেখে নেই চলুন-

Advertisement

একটি কলা, এক চামচ চিয়া সিডস, হাফ কাপ মিষ্টি দই ও এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার- সবগুলো উপাদান মিক্স করলে পেয়ে যাবেন সুস্বাদু বানানা প্রোটিন স্মুদি।

দুই কাপ ফুল ফ্যাট মিল্ক, কয়েকটি নাটস (আমন্ড, কাজু), দু’টি খেজুর, এক চামচ কোকোয়া পাউডার, এক স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিম- সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে তৈরি করে নিন চোকো ভ্যানিলা স্মুদি।

৫. ব্যায়াম করা

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যায়াম ক্ষুধা বাড়াতে, খাবার ভালোমতো হজম করতেও সাহায্য করে।

৬. এনার্জি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

Advertisement

বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন, কাঠবাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া কিসমিস, খেজুর, ফুল ফ্যাট টকদই, চিজ, ক্রিম, অ্যাভোকাডো অয়েল, অলিভ অয়েল, ওটস, ব্রাউন রাইস, চিকেন, বিফ, মিষ্টি আলু, আলু, ডার্ক চকলেট, নারকেল দুধ ইত্যাদি খাবারগুলো এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

কিছু কুইক টিপস

১। খাবারের পূর্বে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২। সারাক্ষণ পেট ভরে রাখার ট্রাই করুন।

৩। ফুল ক্রিম দুধ পান করুন।

Advertisement

৪। বড় খাবারের প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৫। কফি পান করার অভ্যাস থাকলে, এতে ক্রিম ব্যবহার করুন।

৬। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভ্যাস করুন।

আন্ডার ওয়েট প্রবলেম যাদের তাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারা যাবে। তার পাশাপাশি হেলদি লাইফস্টাইল মেনটেইন করাও খুব জরুরি।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

সকালের ৭টি অভ্যাস দূর করবে পেটের মেদ

Published

on

পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে সবার আগে মেদ জমে। এর ফলে পছন্দের পোশাকগুলো পরতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে। পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের ৭টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো মেনে চললে পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করা কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে।

পেটে মেদ জমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-

অপর্যাপ্ত ব্যায়াম

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস

স্ট্রেস

Advertisement

অতিরিক্ত মদ্যপান

কম ঘুম

বংশগত কারণ

পেটের মেদ কমাবে যে ৭টি অভ্যাস

বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য এই ৭টি কাজ প্রতিদিন সকালে করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে পেটের মেদ কমতে শুরু করছে।

Advertisement

১. এক গ্লাস পানির সাথে হোক দিনের শুরু

ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো দিনভর হাইড্রেটেড থাকা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করা হলে তা আপনাকে সারাদিন এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনারা চিয়া সিড সারারাত ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন অথবা আজওয়া ভিজিয়ে রেখে সেটাও পান করতে পারেন। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সেটিও পেটের মেদ কমাতে উপকারে আসবে। এগুলো কেবল শরীরকে হাইড্রেট করে না, বরং হজমেও সহায়তা করে। তবে আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২. মেডিটেশন করুন

দিনের শুরুতে ১০ মিনিট রাখুন মেডিটেশনের জন্য। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন বেশ কার্যকর। স্ট্রেস ওজন বিশেষ করে পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন স্ট্রেস হ্রাস কমাবে এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে।

৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করুন

Advertisement

কথিত আছে, সকালের নাস্তা রাজার মত করতে হয়। সত্যিই তাই। আমাদের দিনভর এনার্জেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাস্তা তো করতেই হবে। সকালের নাস্তার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার ক্রেভিং হবে না, আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম, দই বা প্রোটিন স্মুদির মতো খাবার সকালের নাস্তার তালিকা রাখতে পারেন।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য করতে পারেন সহজ কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা। মর্নিং ওয়াক, জগিং, ইয়োগা অথবা এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট করুন। দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরকে অ্যাকটিভ করে তারপর ব্যায়াম করুন। এটি দ্রুত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য রাখুন।

৫. মিল প্ল্যানিং করুন আগেই

সারাদিন কী কী খাবেন তার একটা প্ল্যান সকালেই করে ফেলুন। সকালের এই প্ল্যানিং আপনার সারাদিনের জাংক ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়াকে কন্ট্রোল করবে।

Advertisement

৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান

সকালের নাস্তাটা প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার দিয়ে করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই ফাইবার আছে এমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি বেছে নিন।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ইমব্যালেন্স করে দেয়, খাবারের রুচি বাড়ায় এবং পেটে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। কম ঘুম স্ট্রেসও বাড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও পেটে মেদ জমে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভালো ঘুম সারাদিন কাজের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অব্যশই আপনার ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলুন ৮টি খাবার

Published

on

ত্বক

প্রায়ই আমরা বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যতই নামী-দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি মেনটেইন করা না হয়, তাহলে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। আজ আপনাদের জানাবো এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে।

ত্বক সুন্দর রাখতে যা যা খাবেন না

আমাদের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। স্কিনকেয়ার করে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ত্বককে সুন্দর করা যায়, তবে গভীর থেকে স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পেতে হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হজমের সমস্যা, ইনফ্ল্যামেশন, একনে ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা আমাদের ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ ধরনের খাবার খেলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের অকালে বয়সের ছাপও পড়তে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশ সতর্ক।চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে ৮টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-

লবণ

আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।

Advertisement

দুগ্ধজাত খাদ্য

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়।

চিনি

চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।

চকলেট বা ক্যান্ডি

Advertisement

কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে। এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিত।

সোডা ও কোমল পানীয়

খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন।

ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

কফি

বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

তো এই ছিলো ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ ত্বকের জন্য সবার আগে দরকার সঠিক খাদ্যাভাস এবং পরিমিত মাত্রায় খাবার গ্রহণ। আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পায় তবে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখাটাও হবে বেশ সহজ।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত