বরিশাল
শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আফিয়া আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ।
সোমবার (১ জুলাই) বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আফিয়া আক্তার ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর গ্রামের শিক্ষক আমির হোসেনের মেয়ে। তার মা ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন। তারা ঝালকাঠি সদর উপজেলা কোয়ার্টারে বসবাস করেন।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মনিং শিফটের শিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার সকালে বিদ্যালয়ে আসে। পরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
বরিশাল
অন্যের বউ ভাগিয়ে নেয়া সেই যুবলীগ নেতা বহিষ্কার
অন্যের বউকে ভাগিয়ে নেয়ায় বাউফল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে আরিফুজ্জামান খান রিয়াদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বাউফল উপজেলা যুবলীগ। এর আগে এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা রিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারীর স্বামী মাইনুল ইসলাম।
গেলো শুক্রবার (৫ জুলাই) উপজেলা যুবলীগের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রিয়াদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরিফুজ্জামান রিয়াদ খানের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন ও ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। যা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে। এ জন্য তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাউফল উপজেলা যুবলীগের দপ্তরে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে মামলায় বাদী জানান, অভিযুক্ত রিয়াদ তার স্ত্রীকে (২৩) বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে তিনি জোরপূর্বক তার স্ত্রীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ছবি তুলেন এবং ওই ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। গেলো ১৩ জুন ভোরে তার স্ত্রীকে রিয়াদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তার শাশুড়ি দেখতে পান।
এ সময় তিনি চিৎকার করলে রিয়াদ তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় হৃদয় নামের এক যুবক তাদের পালাতে সহায়তা করেন। বর্তমানে রিয়াদ খান মাইনুলের স্ত্রীকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বহিষ্কারের বিষয়ে কোন চিঠি পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রিয়াদ। বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন বলে দাবি করেন।
আই/এ
বরিশাল
কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে নিজ ঘরের মেঝেতেই মাকে দাফন!
ভোলার দৌলতখানে কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে জবেদা খাতুন (৮৫) নামের এক বৃদ্ধাকে নিজের ঘরের মেঝেতেই দাফন করা হয়েছে। জবেদা খাতুন দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আজিমদ্দি সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এলাকাবাসী মিলে কবরটি ওই স্থানে থাকতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য বাউন্ডারি ওয়াল করার কাজ শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত জবেদা খাতুনের ছেলে রফিজলের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই রফিকের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত রোগে জবেদা খাতুন মারা যাওয়ার পর ছেলে রফিজল মাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে গেলে চাচাতো ভাই রফিক বাধা দেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা এসে রফিকসহ তাদের পরিবারের সবাইকে অনুরোধ করে জবেদা খাতুনকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার জন্য। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রফিক ও তার পরিবারের লোকজন এতে সম্মতি দেয়নি।
এমন ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শোয়েব, মনির ও মামুনসহ কয়েকজন এলাকাবাসী গণমাধ্যমে বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। জায়গাজমি না থাকায় আজ এই বৃদ্ধ মাকে তার নিজ ঘরের মেঝেতেই স্বজনরা দাফন করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এ ছাড়া কবরটি যাতে এখানে ভালো থাকে সেজন্য আমরা এলাকাবাসী মিলে বাউন্ডারি ওয়াল করে দেব।
উল্লেখ্য, পরবর্তীতে বুধবার (৩ জুলাই) ছেলে রফিজল নিরুপায় হয়ে ঘর-ভিটা ছাড়া তাদের আর নিজস্ব কোনো জায়গা-জমি না থাকায় ঘরের মেঝেতেই মাকে দাফন করতে বাধ্য হন। এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
এএম/
বরিশাল
ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মায়েরও
অ্যাম্বুলেন্সে ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন পুষ্প বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা। এ ছাড়া দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার (৩৫) নিহত ও অপর আরোহী হাসান মিয়া (৪০) আহত হয়েছেন।
রোববার (৩০ জুন) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ডাক্তার বাড়ি নামক এলাকায় কুয়াকাটা-পটুয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন গণ্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার। শনিবার (২৯ জুন) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছেলের লাশ নিয়ে মা পুষ্প বেগম রোববার সকালে গ্রামের বাড়ি নিশানবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুষ্প বেগমের লাশ উদ্ধার করেন। তিনটি লাশকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নের লাশ নিয়ে বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মোটরসাইকেল ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আমার বোন মারা গেছেন। বোনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া আমার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুটি মরদেহসহ তিনটি মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এসি//
- ঢাকা5 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- অপরাধ7 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- ঢাকা7 days ago
স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
- ফুটবল6 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
- দুর্ঘটনা6 days ago
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- রংপুর6 days ago
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
- ব্যাংক6 days ago
সোমবার বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন
- পরামর্শ6 days ago
প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও