Connect with us

জাতীয়

হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেল যে বাহিনী

Avatar of author

Published

on

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন হাতিরঝিল এলাকায় এখন থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা। রাজউকের চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার আনসার বাহিনীর কাছে হাতিরঝিল এলাকার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর হাতিরঝিল ব্যাবস্থাপনা ভবনে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়।

এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, হাতিরঝিলের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরেকটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দেয়া হলো। নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১১টার পর দর্শনার্থীদের হাতিরঝিল ত্যাগের অনুরোধও জানান রাজউক চেয়ারম্যান। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আনসার বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হাতিরঝিলকে পরিচ্ছন্ন রাখবে।

হাতিরঝিলকে ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ করা হবে জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাতিরঝিল থেকে বনানী এবং কালাচাঁদপুর পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সির রুট বাড়ানো হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, হাতিরঝিলের অবৈধ পকেট গেট তদারকিসহ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে আনসার বাহিনী।

এএম/

Advertisement

জাতীয়

সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

Published

on

কোটা-আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহবাগ ছাড়ার আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার (০৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, শুধু শাহবাগ মোড় নয়, রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন।

এ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।

Advertisement

এর আগে, কোটা বাতিলের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো শনিবার বিকেলে অন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিলে নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে আসেন তারা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।

Advertisement

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পার্কে প্রবেশে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবি : পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন

Published

on

সবধরনের উদ্যান ও উন্মুক্ত জনসমাগমস্থলে (পাবলিক প্লেস) জনপ্রবেশ অধিকার যত সংকুচিত হবে দেশে হাসপাতাল ও কারাগারের সংখ্যা তত বাড়বে৷ সংরক্ষিত সব মাঠ, পার্ক, উদ্যান এবং খেলার মাঠে বিনা ফিতে সর্বসাধারণের প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শনিবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সরকার জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসাবে পরিচিত ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্ক ও ময়মনসিংহ মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশ মূল্য এক লাফে ৫ গুণ বৃদ্ধি করেছে (২০ থেকে ১০০ টাকা)। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ কর্তৃক জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন ধ্বংসাত্মক, জনবিরোধী ও নিন্দনীয়৷

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জনসমাগমস্থল (পাবলিক প্লেস) সীমিত। সেখানে বিভিন্ন লেক, পার্ক, উদ্যান কিংবা খেলার মাঠ ক্রমশ সাধারণের প্রবেশ বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে নানাভাবে মারাত্মক নেতিবাচক সমাজে পড়ছে৷ বিশেষ করে, নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও অবারিত শারীরিক এবং মানসিক স্বস্তির স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ায় সামাজিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

শিশু-কিশোরসহ সকল প্রকার সাধারণ মানুষ একাকী হয়ে পড়ছে৷ যা জনসাধারণের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ৷ এসব কারণে মোবাইল আসক্তি, নেশাগ্রস্ত হওয়া, মুটিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে৷ সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিনোদনের অভাবে শিশু-কিশোররা ‘কিশোর গ্যাং’ এর মতো ধ্বংসাত্মক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে৷

Advertisement

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের মানুষকে গাছ ও উদ্যান, পার্কমুখী করা প্রয়োজন, শরীর চর্চা ও বিনোদনের সুযোগ অবারিত রাখা প্রয়োজন, সেখানে প্রবেশ ফি আরোপ ও বৃদ্ধির মতো বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও গবেষক, সাধারণ মানুষ ও দরিদ্র জনগণকে উদ্যানবিমুখ করে তুলবে৷ বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসাবে নাগরিকের যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার নিশ্চিত করবে৷

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে কিশোর-তরুণদের মোবাইলসহ যন্ত্রের প্রতি আসক্ত ও একাকীত্বে ভোগার প্রবণতা বাড়তে পারে উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, তাদের যদি গাছের গুরুত্ব বোঝানো যায়, প্রকৃতি-জীববৈচিত্র-পরিবেশের প্রতি আগ্রহী করে তোলা যায়, খেলাধুলা ও সুস্থ ধারা বিনোদনের প্রতি আগ্রহী করা যায় তাহলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ইতিবাচক এবং সামাজিক হয়ে উঠবে৷ কিশোর গ্যাংয়ের মতো ধ্বংসাত্মক কাজে যুক্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে৷ প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং খেলাধুলার প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলা আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷

এএম/

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা বাতিলের দাবিতে আজও আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

Published

on

কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে বকশি বাজার মোড়-পলাশী-ইডেন কলেজ-নীলক্ষেত হয়ে শাহবাগে যেতে চান বলে জানা গেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি হলপাড়া হয়ে টিএসসি ঘুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছে।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’; ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, —ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

কোটা বাতিলের দাবি, ঢাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা, অবস্থান নিতে চান শাহবাগে

উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল ও সব ধরনের চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত