Connect with us

রংপুর

রমেক এর ডরমেটরি থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

Avatar of author

Published

on

রংপুর-মেডিকেল-কলেজ,-চিকিৎসকের-মরদেহ-উদ্ধার

রংপুর মেডিকেল কলেজের শেখ রাসেল পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডরমেটরি ভবন থেকে আক্তারুজ্জামান (৫০) নামে একজন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই চিকিৎসকের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রংপুর মেডিকেল কলেজের শেখ রাসেল ডরমেটরি ভবনের ৫ম তলার ৬ নম্বর কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) আরিফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আক্তারুজ্জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (পিজি) নিউরোসার্জারি বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর মেডিকেলে পোস্ট গ্রাজুয়েটের একজন শিক্ষার্থী এবং তিনদিন আগে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আসেন তিনি।

পুলিশ ও অন্যান্য শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজের শেখ রাসেল ডরমেটরি ভবনের ৫ম তলার ৬ নম্বর কক্ষ থেকে পচা গন্ধ বের হয় এবং দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দরজার তালা ভেঙে চিকিৎসক আক্তারুজ্জামানের উলঙ্গ মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, আক্তারুজ্জামান এর আগেও ৮ বার পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। কোনোভাবেই উত্তীর্ণ হতে পারছিলেন না। তাছাড়া তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। ডা. আক্তারুজ্জামান রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকেই এমবিবিএস পাস করেন।

এ বিষয়ে নিহত ডা. আক্তারুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার জানান, আক্তারুজ্জামান পোস্ট গ্রাজুয়েট পরিক্ষা দেয়ার জন্য রংপুরের এসেছিলেন। তিনি লিভার ও পায়ের ব্যাথাসহ কয়েকটি রোগে ভুগছিলেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালি জোন) আরিফুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ডা. আক্তারুজ্জামান পোস্ট গ্রাজুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। সকালে ডরমেটরি থেকে জানানো হয়, আক্তারুজ্জামানের রুম থেকে গন্ধ আর রক্ত আসছে। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে জানাই। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

 

Advertisement

এসি//

Advertisement

রংপুর

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর সন্তান প্রসব

Published

on

নড়বড়ে-বাঁশের-সাঁকোর-ওপর-সন্তান-প্রসব

গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় প্রসূতিকে নিয়ে পায়ে হেঁটেই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছিলেন স্বজনরা। এক সময় সাঁকোর ওপরে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রসুতি মা। সেখানেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নবজাতকের নাম রাখা হয় স্বপ্না।

শনিবার (৬ জুলাই) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী বেড়িবাঁধের খাটিয়ামারী-রৌমারী সড়কে সুতিরপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সন্তান প্রসব করা ওই নারীর নাম বিলকিস বেগম। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর গ্রামের সাইজুদ্দিনের স্ত্রী।

প্রসূতি বিলকিস খাতুনের ভাই শাফি আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, শুধুমাত্র সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে আজ আমার বোন পথেই সন্তান জন্ম দেয়। এটা বড় দুঃখের বিষয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই ভাঙা চোরা সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগে আছি স্থানীয়রা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মিলছেনা। দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ কারণে আজ এক প্রসূতি মা সেখানে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের জন্য মেরামত করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মনছুরুল হক বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সড়কের বিষয়টি আমার জানা নেই।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে যায় সড়কের একাংশ। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজারও মানুষকে। এতে প্রায় ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা।

উল্লেখ, ২০১৪ সালে বন্যায় পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। পরে চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। স্থানীয়রা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি ব্রীজ নির্মাণর জন্য দাবি করেন। কিন্তু সেখানে আজও কোনো স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে বন্ধ ষোষণা ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Published

on

কুড়িগ্রামে-বন্যা,-শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান-বন্ধ

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও। এদিকে বন্যার পানি ওঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসী মানুষের মাঝে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, বন্যার পানি ওঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বন্যা কবলিত নয়, এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।

Advertisement

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, বন্যা মোকাবেলায় ৩১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন মা

Published

on

লালমনিরহাটে মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মা।  গেলো ৫ দিন থেকে তাদের খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলামিন নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের হাত ধরে পালিয়ে যান ওই নারী।

পলাতক নারী কাকলি রানীর স্বামী অমল ভুইমালি এ ঘটনায় শনিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন-নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক আলামিন উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, আলামিন নামের ওই শিক্ষক অমল ভুইমালির দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে অমল ভুইমালির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী অমল ভুইমালি সপ্তাহ দুই আগে ওই শিক্ষককে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করে দেন। এরপর গেলো ২ জুলাই সন্ধ্যার পর ওই শিক্ষক আলামিন কাকলি রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে, হিন্দু বিবাহিত নারীকে নিয়ে মুসলমান ছেলে নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভুক্তভোগী অমল ভুইমালি বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেট শিক্ষক পালিয়েছে। বিষয়টি আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত