Connect with us

চট্টগ্রাম

কান্নাকাটি করায় সন্তানকে হত্যা করে খালে ফেলে দিলো মা

Avatar of author

Published

on

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

কান্নাকাটি করায় শিশু নুসরাত জাহান তিথি নামে ৬ মাস বয়সী এক কন্যা শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক মা। হত্যা করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি, মরদেহ ফেলে দিয়েছেন পাশের একটি খালে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বড়িশ্বল গ্রামে।

সোমবার (১ জুলাই) রাতে খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত ওই শিশুর মা স্বপ্না বেগম ও পিতা জিল্লুর রহমানকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, জিল্লুর ও স্বপ্না দম্পতি প্রতিদিনের মত শিশু নুসরাতকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। সোমবার সকালে স্বপ্না বেগম তার শিশু নুসরাত নিখোঁজ হয়েছে বলে চিৎকার শুরু করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ বাড়ির পাশের একটি খালে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে। নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে শিশুটির মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন।

স্বীকারোক্তিতে ওই শিশুর মা জানান, রাতে চিৎকার ও কান্নাকাটি করায় শিশুটির মুখে ওড়না ঢুকিয়ে দেন তিনি। এতে শিশুটি মারা যায়। পরে তার স্বামী মরদেহটি খালে ফেলে আসতে বলেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আকটকৃত বাবা ও মা শিশুটিকে হত্যা ও মরদেহ গুমের পেছনে জড়িত বলে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

Advertisement

 

এসি//

Advertisement

চট্টগ্রাম

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

Published

on

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময়ে ফাঁকা সড়কে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়েন কিছু শিক্ষার্থী।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।  দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

কুবির রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা এক শতাংশও নেই। তাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। কোটার কারণে মেধাবীরা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। একটি দেশে এটি চলতে পারে না।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সানজিদা, কাজী ফাহমিদা ও রাবেয়া ভূঁইয়া অন্তু বলেন,তাঁরা নারী কোটা চান না। মেয়েরা এখন মেধায় অগ্রসর। বিশ্ববিদ্যালয়েও মেয়েদের আসন ছেলেদের প্রায় সমান। উচ্চ শিক্ষায়ও মেয়েদের সংখ্যা বেশি। মুক্তিযোদ্ধা দেশে এখন তেমন জীবিত নেই। তাদের জন্য এত বেশি কোটা থাকা বৈষম্যমূলক।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাস্তা বন্ধ থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স ও প্রবাসীদের গাড়িকে পার করে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

রামুতে হাত-পা বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার

Published

on

উদ্ধার

কক্সবাজারের রামু রেললাইন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে রশিদ নগর খাদেম পাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকালে এলাকার লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি থানায় এনে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

ঝিলংজা ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রশিদ বলেন, নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ মামুন। সে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া ঘাটপাড়ার মৃত মোহাম্মদ নবীর বড় ছেলে।

মামুনের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সেলিম বলেন, শহরের ঝাউতলা এলাকায় ভিশন শো-রুমে মামুন কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাত ৮ টায় শো-রুম বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। কিন্তু রাত ১২ টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোনে কল দিয়েও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আজ রোববার সকালে তার নিখোঁজের বিষয়ে সদর থানায় একটি জিডি করে পরিবার। জিডি করার পর খবর আসে রামু রশিদ নগর এলাকার রেললাইনের পাশে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি আসলে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা মামুন হত্যার বিচার চাই।

এদিকে মামুনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি, ১ বিজিপি সদস্য টেকনাফে

Published

on

মিয়ানমারের মংডু শহরে ফেরার সময় নাফ নদীর ওপারে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে বিজিপির এক সদস্য সাঁতরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের তীরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে কিছু গোলাবারুদ ছিল। বিজিবি সদস্যরা গোলাবারুদসহ তাকে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ট্রলারটি মংডু শহরের দিকে যাচ্ছিল। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে কিছু গোলাবরুদ নিয়ে বিজিপির এক সদস্য শাহপরীর দ্বীপের তীরে ওঠে। পরে অস্ত্রসহ বিজিবি তাকে হেফাজতে নেয়।

জানা গেছে, ট্রলারটিতে বিজিপির পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তাৎক্ষণিক অপর চারজনের খবর জানাতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমারের বিজিপির ওই সদস্যকে সকাল ৯টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। এ সময় আশেপাশে কোনো লোকজনকে ভিড়তে দেয়নি বিজিবি সদস্যরা।

Advertisement

এদিকে, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ওপার শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।

বাসিন্দারা বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়। রাতভর শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের ওপারে কখনও শান্ত আবার কখনও থেকে থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাতভর শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত