Connect with us

আইন-বিচার

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড : দোষ স্বিকার করলেন মোস্তাফিজ

Avatar of author

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর পলাতাক থাকা অবস্থায় গেলো গেলো ২৬ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড় থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মুস্তাফিজ।  জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

এর আগে  খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম।

গ্রেপ্তারের পর ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান জানান, এমপি আজীম খুনে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সরাসরি অংশ নেন। হত্যার জন্য আনারকে অচেতন করতে চেতনানাশক দিয়েছিলেন ফয়সাল। আর চেয়ারে বেঁধে রাখার কাজটি করেছিলেন মোস্তাফিজসহ কয়েকজন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, আজীম খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। তারা খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। শিমুল ধরা পড়লেও এতদিন পলাতক ছিলেন এই দুজন। শেষ পর্যন্ত তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারের পর দুজনের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

আই/এ

Advertisement

আইন-বিচার

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে: আইনজীবী খুরশিদ আলম

Published

on

দুদক-আইনজীবী-খুরশীদ-আলম-খান,-বেনজীর

জমি দখলসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মআইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। বললেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

রোববার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।

খুরশিদ আলম খান জানান, অনুসন্ধান শেষ হলে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া আরেকটি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর জন্য ২১ দিনের সময় দেয়া হয়েছে।

দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ, তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা, তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসার নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

Advertisement

দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, বেনজীরের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ২৪ কাঠা জমির ওপর বেনজীরের দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়িটি জব্দ করে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নেয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া গোপালগঞ্জে বিশাল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট, রাজধানীর গুলশানে ১০ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট (চারটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে), বান্দরবানে ২৫ একর বাগানবাড়িতে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে তত্ত্বাবধানে নেয় প্রশাসন।

গেলো ৩১ মার্চ থেকে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গেলো ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ অনুসন্ধান শুরু হলে গেলো মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে ২০৫টি দলিলে ৭০২ বিঘা জমি (৩৩ শতকে এক বিঘা হিসাবে), ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে বলে সন্ধান পায় দুদক। এরপর গত ২৩ ও ২৬ মে এবং ১২ জুন আদালতের নির্দেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসব সম্পত্তি গড়েন বেনজীর।

Advertisement

উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান বেনজীর। এরপর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী অবসরে যান তিনি।

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস: বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

Published

on

হাইকোর্ট

বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। এইচএসসি পাসের নিচে কেউ সভাপতি হতে পারবেন না, এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। আর একই ব্যক্তি পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না। গেলো ৯ মে এ ব্যাপারে গেজেট জারি করেছে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ‘ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪’ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তা না হলে কেউ সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যু, মালিক পলাতক

Published

on

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় দারোয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানা একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গাড়ির মালিক মফিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তিনি সাবেক বিআইডব্লিউটির ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান।

নিহত ফজলুল হক ১৯/এ,১৯/১ পূর্ব রাজাবাজারের বাসাটিতে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, পূর্ব রাজাবাজারের সেই বাসার মালিক গাড়ি বের করার সময় দারোয়ান ফজলুল হক গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গ্যারেজের দরজায় ধাক্কা লাগে। গ্যারেজের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফজুলল হকের ওপরে এ সময় গাড়িটি উঠে যায়, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় উঠে এসেছে। মালিক পলাতক রয়েছেন।

মফিদুল ইসলামের গাড়ির চালক গণমাধ্যমে বলছেন, গাড়ির ব্রেকপ্যাড ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। স্যার সেটা চেক করতে গাড়িতে উঠে পা দিয়ে একসেলেটর চাপ দেন, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি হয়তো থামাতে গিয়ে ব্রেকে পা না দিয়ে ভুলে একসেলেটরে আরও জোরে চাপ দেন। এতে গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গেট ভেঙে বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায়।

Advertisement

উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি ভুক্তভোগীর স্ত্রী করেছেন। এতে একমাত্র আসামি হলেন গাড়ির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মফিদুল। তবে এখনো পলাতক থাকায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত