Connect with us

আন্তর্জাতিক

আসামে বন্যায় ৩৮ জনের প্রাণহানি  

Avatar of author

Published

on

ভারতের আসামে চলমান বন্যায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ১৯টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আসামের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

আসামে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, সুবানসিরি, দিখৌ, দিসাং, বুড়িদিহিং, জিয়া-ভারালি, বেকি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ৫ জুলাই পর্যন্ত আসামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

বন্যায় রাজ্যের ২৮টি জেলা জুড়ে ১১ লাখ ৩৪ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে লখিমপুর, দাররাং এবং গোলাঘাট, যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধুমাত্র লখিমপুরে, এক লাখ ৬৫ হাজার ৩১৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপরে দাররাংয়ে এক লাখ ৪৭ হাজার ১৪৩ এবং গোলাঘাটে এক লাখ ৬ হাজার ৪৮০  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বর্তমানে রাজ্যটিতে ৪৮৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

Advertisement

এনএস/

Advertisement

এশিয়া

তিস্তার পানি নিয়ে আবারও তোপ দাগলেন মমতা

Published

on

“তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়া হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানি পাবেন না। এখানে মূল পক্ষ আমরা। অথচ আমাদের জানানো হল না। বলছে তিস্তার পানি দেবে বাংলাদেশকে। পানি রয়েছে যে দেবে?”  বললেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (৮ জুলাই) কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও গঙ্গা চুক্তির পুনর্নবায়ন নিয়ে এসব কথা বলেন মমতা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  গঙ্গার ভাঙনে যে বাড়ি তলিয়ে গেছে, সেগুলো করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭০০ কোটি টাকার তহবিল আজ পর্যন্ত দেয়নি। ফারাক্কা চুক্তির পুনর্নবায়ন করা হলে বিহারও ভাসবে।

মমতা বলেন, তাদের না জানিয়ে ফারাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে। বাংলায় বর্ষা বেশি। নদীমাতৃক দেশ। এখানে নদ-নদী, সমুদ্র, পুকুর বেশি। অনেক পুকুর কাটা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যায় ভাসছে। সিকিমে বৃষ্টি। ধস নেমেছে।

তিনি বলেন, গঙ্গার ভাঙন কেন্দ্রের দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফারাক্কার ড্রেজিং করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন কথা ছিল, বাংলাদেশে যে জল যাচ্ছে,পশ্চিমবঙ্গের যাতে সমস্যা না হয়, ড্রেজিং করা হবে।

Advertisement

এর আগে, গেলো জুনের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল শিগিগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে  প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ এক চিঠি  লেখেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ায় গেলেন নরেন্দ্র মোদি

Published

on

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। তিনি মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বজায় রাখা এবং পশ্চিমা নিরাপত্তা সম্পর্কের আরো ঘনিষ্ঠতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু এবং গেলো মাসে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মোদির প্রথম সফর এটি।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো সোমবার বিকেলে নিশ্চিত করে, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি সরকারি সফরে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন।

মোদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সব দিক পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের অপেক্ষায় আছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চাই।’

মস্কো বর্তমানে ভারতে কম দামের তেল ও অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী। তবে পশ্চিমাবিশ্ব থেকে ক্রেমলিনের বিচ্ছিন্নতা এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব মস্কো ও নয়াদিল্লির অংশীদারকে প্রভাবিত করেছে।

চীন ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে বাঁধা দিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমা শক্তিগুলো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে রাশিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে দেশটিতে চাপ দিয়েছে।

Advertisement

এনএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনপন্থী শাবানা যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী আইনমন্ত্রী

Published

on

প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন একজন মুসলিম নারী। দায়িত্ব পাওয়া ব্যারিস্টার শাবানা মাহমুদ যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত।

শাবানা মাহমুদ যে শুধু যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী তাই নয়, তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী যিনি ‘লর্ড অব চ্যান্সেলর’ নামক প্রাচীন পদ গ্রহণ করেছেন। আগামী ১৭ জুলাই পার্লামেন্ট শুরুর আগে রয়্যাল কোর্ট অব জাস্টিসে লর্ড চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন।

শাবানার জন্ম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তবে তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তবে শাবানা মাহমুদের শৈশব কেটেছে সৌদি আরবের তায়েফে। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ও মিরপুরি ভাষায় কথা বলতে পারেন। খবর আরব নিউজের।

পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার আগে শাবানা যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত দুই বছর ধরে উপনির্বাচনের সময় লেবার পার্টির নির্বাচনি প্রচারণার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে শাবানা লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনের জন্য দলের ইশতেহার তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

Advertisement

অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট এই নারী রাজনীতিক ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো লেবার পার্টির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তখন থেকেই জয়ী হয়ে আসছে। এবারের নির্বাচনে তিনি ১৫ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত