বাংলাদেশ
ক্যাটরিনার নায়ক ছিনিয়ে নেন সোনাক্ষী!
বর্তমানে বলিপাড়ার অভিনেত্রীদের মধ্যে উপার্জনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। কিন্তু টিনসেল নগরীর তারকাদের মধ্যেও সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠার প্রতিযোগিতা চলে। ক্যাটরিনার সঙ্গে শত্রুঘ্ন-কন্যা সোনাক্ষীর সম্পর্কের রসায়ন লক্ষ করলেই নাকি তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বলিপাড়ায় বহু দিন ধরে দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে আসছে। কেউ বলেন, সোনাক্ষী বলি-তারকার উত্তরাধিকারী হলেও তার চেয়ে সফলতার মাপকাঠিতে অনেক এগিয়ে ক্যাটরিনা। তাই ক্যাটরিনার কর্মজীবনে প্রভাব ফেলার জন্য তার কাজ নাকি কেড়ে নিতেন সোনাক্ষী।
ক্যাটরিনা যখন বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন তখন তার জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ এসেছিলেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমন খান। শোনা যায়, অভিনেত্রীকে বহু সিনেমায় কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। ক্যাটরিনার কাজের প্রশংসা করতেন বলিউডের সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকের কাছে।
পরবর্তী কালে ক্যাটরিনা সিদ্ধান্ত নেন, তিনি স্বাধীনভাবে বলিউডে কাজ করবেন। আর তাই সালমনের পর বলিউডের বহু নামকরা অভিনেতাদের সঙ্গেই কাজ করেছেন ক্যাটরিনা। কিন্তু সালমন-ক্যাটের পর বড় পর্দায় ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তার জুটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একের পর এক নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছিলেন তিনি। কিছু বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ‘ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ হয়ে উঠেছিলেন ক্যাটরিনা।
কিন্তু বলিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে, সোনাক্ষী বলিউডে পা রাখার পর প্রতিযোগিতা শুরু হয় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে ।
২০১০ সালে সালমন খানের হাত ধরে ‘দাবাং’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন সোনাক্ষী। শুধু সালমনই নন, অক্ষয় কুমারের সঙ্গেও বড় পর্দায় জুটি বাঁধেন শত্রুঘ্ন-কন্যা।
ক্যাটরিনা যে বিজ্ঞাপনগুলিতে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করে আসছিলেন, তার অধিকাংশ চলে আসে সোনাক্ষীর কাছে।
কানাঘুষো শোনা যায়, সালমনের সঙ্গে সোনাক্ষী কাজ করছিলেন বলে ক্যাটরিনার বদলে সকলে সোনাক্ষীকেই কাজের সুযোগ দিচ্ছিলেন।
বলিপাড়ার অনেকেরই দাবি ছিল, সোনাক্ষী ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর ক্যাটরিনার কাছ থেকে কাজ ছিনিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
সোনাক্ষীর মা এই প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এগুলো সবই গুজব। সোনাক্ষীও নেটমাধ্যমে ক্যাটরিনার উদ্দেশে পোস্ট করে জানান, ‘এগুলি সবই মনগড়া কথা।’
কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, এই ধরনের কোনও মন্তব্যই করেননি সোনাক্ষী। বরং এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই অভিনেত্রীর পিআর দলের সদস্যরা।
২০১২ সালে সোহেল খানের স্ত্রী সীমা খান একটি স্পা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের পার্টি দেন। খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনাক্ষীও। শোনা যায়, এই অনুষ্ঠানে দুই অভিনেত্রীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয়। এরপরই নাকি দু’জনের ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়।
এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানান, বলিউডের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্যাটরিনা অন্যতম। তার সঙ্গে ক্যাটরিনার সম্পর্ক ভালই। শুধু তাই নয় ক্যাটরিনা এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ বলে তিনি যথেষ্ট গর্ববোধও করেন।
এসি
অপরাধ
সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।
র্যাব জানায়, সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।
প্রাথমিকভাবে র্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।
এএম/
অপরাধ
৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২
ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।
পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।
মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।
এএম/
- আইন-বিচার7 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি7 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- অপরাধ7 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন