Connect with us

ক্রিকেট

বাবরের সেঞ্চুরির রেকর্ডের দিনে শেষ বলে পাকিস্তানের জয়

Published

on

ওয়ানডে ক্রিকেটের আরো একটি রেকর্ড নিজের দখলে করে নিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তার রেকর্ডের দিনে শেষ ওভারের শেষ বলে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেলো পাকিস্তান। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ফিলকুয়াওয়ের শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানে প্রয়োজন ৩ রান তখনো হাতে ৪ উইকেট। কিন্তু রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ ওভারে শেষ বলে গিয়ে জয় পায় সফরকারীরা। ফিলকুয়াওয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে কোন রান না পেলেও পাকিস্তান হারায় শাদাব খানের উইকেট। কিন্তু পঞ্চম বলে দুই রান আর শেষ বলে ১ রান নিয়ে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটের জয় এনে দেন ফাহিম আশরাফ।

শুক্রবার সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে আগে ব্যাট করে ভ্যান ডার ডুসানের অভিষেক সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে। ডুসান দুই ছয় ও ১০ চারে ১৩৩ বলে ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ডেভিড মিলার করেন ৫০ রান।

পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ দুইটি করে উইকেট নেন।
 
২৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফাখার জামান ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ইমামউল হক ও অধিনায়ক বাবর আজমের সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ দলকে জয়ের পথেই রাখে। বাবর আজম ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন ইমামউল হক। এ সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে বাবর আজম ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৩ সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েন। 

৭৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭৬তম ইনিংসের ১৩টিই শতক পাকিস্তান অধিনায়কের। যা হাশিম আমলার আগের রেকর্ডের চেয়ে ৭ ইনিংস কম। ৮৩ ইনিংসে ১৩টি সেঞ্চুরি করেছিলেন আমলা। যেখানে কুইন্টন ডি কক, বিরাট কোহলিদের লেগেছে ৮৬ ইনিংস করে।

Advertisement

বাবর আজম ১০৪ বলে ১৭টি চারের সাহায্যে ১০৩ রান করে আউট হন। অন্যদিকে ইমামউল হক ৭০ রানে আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪০) ও শাদাব খানের (৩৩) রানের উপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে পাকিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে নর্টজে ৪টি ও ফিলকুয়াওয়ে দুইটি উইকেট নেন।

ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন বাবর আজম। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারী পাকিস্তান।

এএ

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

ঘোষণা করা হলো বিশ্বকাপের সেরা একাদশ

Published

on

বিশ্বকাপের সেরা একাদশ গঠন হয়ে গেছে। যেখানে জায়গা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দল ভারতের ৬ ক্রিকেটারের। তবে রানার্সআপ দল দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটার নেই একাদশে।

রোহিত শর্মাকে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বভার। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আফগানিস্তান থেকে ৩ ক্রিকেটার জায়গা নিয়েছেন সেরা একাদশে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে একজন ক্রিকেটার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার আনরিখ নরকিয়াকে ১২ নম্বরে রাখা হয়েছে।

রোহিতের সাথে ওপেনিংয়ে রাখা হয়েছে আফগান রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। গুরবাজকে দেওয়া হয়েছে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব। তিন নম্বরে রাখা হয়েছে উইন্ডিজ পুরানকে। এরপর সূর্যকুমার যাদবের জায়গা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টইনিস, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া- দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছেন একাদশে।

সাত নম্বরে আছেন অক্ষর প্যাটেল। যার স্পিনের পাশপাশি, ব্যাটিংটাও দারুণ কার্যকর হয়ে উঠেছিল এই বিশ্বকাপে। এরপর আফগান অধিনায়ক রশিদ খান রয়েছেন আরেক স্পিনার হিসেবে। তিন পেসার রাখা হয়েছে; জাসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদ্বীপ সিং ও ফজল হক ফারুকী।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত।

Advertisement

 

বিশ্বকাপের সেরা একাদশ:  রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), নিকোলাস পুরান, সূর্যকুমার যাদব, মার্কাস স্টইনিস, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রশিদ খান, জাসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদ্বীপ সিং, ফজল হক ফারুকী।

দ্বাদশ: আনরিখ নর্কিয়া।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পিচের মাটি খেয়ে রোহিত শর্মার উদযাপন

Published

on

জয় নিশ্চিত হবার পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছুটে যান বার্বাডোজে ২২ গজের পিচে।  পিচের কাছে গিয়ে শান্ত হয়ে বসে আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে পিচের ছোট্ট একটু মাটি তুলেন তিনি।  আঙুল দিয়ে সেই মাটি একটু নাড়িয়ে মুখে দেন। এরপর আরেকটু মাটি তুলে আবারও মুখে দেন রোহিত।

কিছুক্ষণ আগেই এই পিচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে ভারত।  তাই পিচের মাটি মুখে নিয়ে রোহিতের এমন উদযাপন।  ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়কের সেই উদযাপনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে আইসিসি।

কেনসিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় বিরাট কোহলিরা।  রান তাড়ায় নেমে নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে ফসকে যায় প্রোটিয়াদের হাত থেকে।  শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয় লাভ করে ভারত।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

এগারো বছরের ট্রফি খরা ঘুচলো ভারতের

Published

on

ভারত সবশেষ আইসিসি ট্রফি জেতে ২০১৩ সালে। একবার মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, সেটা ২০০৭ সালে। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো উপমহাদেশের এই দেশটি।

পুরো ম্যাচটি অনেকরকম পরিস্থিতির জন্ম দিল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে তা ফসকে যায়। ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের মারমুখী জুটি বলে দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের ক্ষুধা। তবে মিলারকে একা করে ২৭ বলে ৫২ রানে যখন ক্লাসেন ফিরলেন, সেসময় আশার পালে যেন বিপরীত হাওয়া এসে লাগল।

সেই হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি প্রথমবারের মতো আইসিসি ফাইনাল খেলা দলটির। তবুও মিলার ছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হলেন মিলার, ১৭ বলে ২১ রানে তার এই বিদায়েই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়ে যায় ভারত। পুরো ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি আসে, এছাড়াও আরও একটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ৩১ বলে ৪৬ রান, শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে অনেকটুকু এগিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৭ রানের। দলটি দলীয় ১২ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের জুটিতে সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা। স্টাবস ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষরের শিকার হয়ে। আর ডি ককের ইনিংস থেমেছে ৩১ বলে ৩৯ রানে আর্শদ্বীপের ডেলিভারিতে। ডি কক যখন ফেরেন, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।

Advertisement

এরপর মিলার ও ক্লাসেন মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। আর সেই জুটিতে বল আর রানের সমীকরণ সমান করে ফেলেন দুই ব্যাটার। তাদের ২২ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে ক্লাসেনের উইকেট পতনে। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন এই ব্যাটার। এতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফানুস একেবারেই মিইয়ে যায়। পরের ব্যাটাররা আর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় ডেথ বোলারদের সামনে। পরাজয়কেই সঙ্গী করতে হয় মার্করামের দলকে।

ভারতের পক্ষে বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত