Connect with us

পরামর্শ

চোখের পাতা কাঁপে কেন? আসল কারণ জানুন

Published

on

হঠাৎ চোখের পাতা লাফাচ্ছে আর আপনি ভাবলেন চরম বিপদ আসছে। আসলেই কি তাই? চিকিৎসা বিদ্যা বলছে এটি একটি কুসংস্কার। কিন্তু কেন চোখের পাতা লাফায়, সেই কারণটা অনেকেই জানেন না। প্রধানত পেশীর সংকোচনের ফলে চোখের পাতা লাফায়। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটির নাম Myokymia। দিনে দু-একবার হলে সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর পেছনে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ আছে। তা হলো

১। মানসিক চাপ
কঠিন মানসিক চাপে থাকলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

২। ক্লান্তি
পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও কারণে ক্লান্ত থাকলে চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। এর জন্য দরকার ঘুম। 

৩। এলার্জি
যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা অনবরত চোখ চুলকান। ফলে চোখের পানির সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এর কারণে চোখ কাঁপে বলে অনেকে মনে করেন।

Advertisement

৪। ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই এসব বর্জন করাই শ্রেয়।

৫। চোখের শুষ্কতা
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।

৬। পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা
পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ

শীতের খুসখুসে কাশির ঘরোয়া পাঁচ চিকিৎসা

Advertisement

ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমাতে চান?

৭। দৃষ্টি সমস্যা 
দৃষ্টিগত কোনও সমস্যা থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ টিভি, কম্পিউটার, মোবাইলফোনের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সূত্র- এই সময়

এস

Advertisement

পরামর্শ

চা-কফির সঙ্গে যে খাবার খেলে সারাদিন অস্বস্তিতে কাটবে

Published

on

দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করার কথা বলেন। সারা দিনের কাজের ব্যস্ততায় আর দৌড়ঝাঁপে আলাদা করে শরীরের খেয়াল রাখার সময় হয় না। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তাই ভালো করে খাওয়াদাওয়া করা উচিত।

ঘুম থেকে উঠেই অনেকে গোসলে ঢুকে পড়েন। বিছানায় বসে মৌজ করে চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দেয়ার সুযোগ হয় না। অনেকেই তাই জলখাবার খাওয়ার সময় চায়ে গলা ভিজিয়ে নেন। কিন্তু চায়ের সঙ্গে অনেক খাবারই খাওয়া ঠিক নয়। তাতে শরীরের ক্ষতি হয়। কোন খাবারগুলি জেনে রাখলে বিপদ এড়ানো যাবে।

ভাজাভুজি

অফিস থেকে ফিরে চপ, শিঙা়ড়ার সঙ্গে দুধ চা খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু দুধ চা আর তেলেভাজার যুগলবন্দি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজাভুজিতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। দুধ চায়ের সঙ্গে সোডিয়াম মিশে গিয়ে হজমের গোলমাল বাধাতে পারে। বিপাকহারও খানিকটা ধীর হয়ে যায়।

চিজ়

Advertisement

পিৎজ়া কিংবা বার্গারের সঙ্গে ভুলেও দুধ চা খাবেন না। কারণ এই ধরনের জাঙ্কফুডে চিজ়, মেয়োনিজ থাকে। ফলে দুগ্ধজাত খাবার দুধ চায়ের সঙ্গে না খাওয়াই শ্রেয়। চিজ়, মেয়োনিজ় আর দুধ চা এই তিনটি একসঙ্গে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সাইট্রাসজাতীয় ফল

দুধ চা খাওয়ার আগে কিংবা পরে ভুলেও টকজাতীয় কোনও ফল খাবেন না। দুধ চা আর ফল কয়েক মুহূর্তের তফাতে খেলে মারাত্মক বদহজম হতে পারে। কারণ, ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তার সঙ্গে দুধ চা খেলে অম্বল হয়।

ওট্‌স

স্বাস্থ্য সচেতন, তাই ওট্‌স দিয়ে তৈরি মুখরোচক ‘টা’ খেয়ে থাকেন কফির সঙ্গে। খাসির মাংসের মতোই ওট্‌সের মধ্যেও জিঙ্ক রয়েছে। তাই এই খাবারটিও ব্রাত্য।

Advertisement

ডিম

ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলেও জিঙ্কের পরিমাণ কম নয়। তাই পুষ্টিবিদেরা এই খাবারটিও কফির সঙ্গে খেতে বারণ করেন। সকালে অনেকেই ডিমসেদ্ধ খান। সেক্ষেত্রে কফি এবং ডিমসেদ্ধর মধ্যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে যে খাবার

Published

on

বাড়ি যাওয়ার সময়ে অফিসের মেঝের দিকে তাকালে অনেকেরই বুক কেঁপে ওঠে। সাদা পাথরের মেঝেয় কালো চুলের ছড়াছড়ি। এ দৃশ্য রোজের। শুধু অফিস কেন, সকালে গোসল করে বেরোনোর সময়ও ছড়ানো চুলের গুচ্ছ দেখতে মোটেই ভালো লাগে না। আর এভাবেই চুলের মোটা গোছা ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। সেই পাতলা হয়ে যাওয়া চুল পনিটেল করে বাঁধলে অনেকেই আবার ব্যঙ্গ করে ঘোড়ার লেজের সঙ্গে তুলনা টানেন। এর আগে দামি শ্যাম্পু মেখেও লাভ হয়নি বিশেষ। তাই এ বার কোমর বেঁধে নেমেছেন। কড়া ওষুধ খেয়েই চুলের পুরনো গোছ ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু ওষুধ আদৌ কাজ করবে তো? ওষুধ খেয়েও সুফল পাননি, এমন উদাহরণ রয়েছে বহু। তা হলে উপায়? রাস্তা একটাই। ওষুধের বদলে খান এমন কিছু খাবার, যেগুলি সত্যিই চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে। জেনে নিন তেমন কয়েকটি খাবারের তথ্য।

আমলকির রস

চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। রোজ একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস চুল ঝরা রোধ করতে দ্রুত সাহায্য করে।

গাজর

এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ফলে গাজর চোখের জন্য খুব ভালো। শুধু চোখ নয়, মাথার তালুর পুষ্টির জন্য আর চুলের গোড়া শক্ত করতেও গাজরের কোনও বিকল্প নেই। রোজ একটি করে কাঁচা গাজর খেতে পারলে ভাল।

Advertisement

কড়াইশুঁটি

গরমের বাজারে মটরশুঁটি দুর্লভ। তবে খুঁজলে পাওয়া যেতেই পারে। চুল পড়ার সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে কড়াইশুঁটি উপকারী। এতে নানা রকমের ভিটামিন তো আছেই, তার সঙ্গে আছে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন, জিঙ্কের মতো কিছু খনিজ। এগুলি চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলে পড়ে যাওয়া কমায়।

ওট্‌স

ওট্‌স কি শুধু পেট আর হৃদ্‌যন্ত্রের উপকার করে? একেবারেই না। ওট্স চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এতে আয়রন, জিঙ্ক, মিনারেলসের মতো উপাদান তো আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে ওমেগা-৩। এই উপাদান ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগায়। চুল ঝরার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসে।

চিংড়ি

Advertisement

চুল পড়া কমাতে রেড মিট বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে খেতে পারেন চিংড়ি। তবে চিংড়ি খেলে শুধু যে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে, তা নয়। এর পাশাপাশি চুল পড়ার আশঙ্কাও কমবে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

চোখের জ্যোতি বাড়ে যে ৫ খাবারে

Published

on

সারা দিন ল্যাপটপে কাজ। মাঝেমধ্যে সfমাজিকমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেয়া। আর বিনোদন বলতে বাড়ি ফিরে স্মার্ট টেলিভিশন কিংবা মুঠোফোনে সিরিজ় কিংবা সিনেমা দেখা। রোজের এই রুটিনে অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। এর মাঝে যদি চোখ থেকে পানি পড়ে, মাথা ধরে কিংবা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে, তা আর অস্বাভাবিক কী? ছোট লেখা পড়তে যদি অসুবিধে হয় তা হলে বুঝতে হবে নাকের ডগায় চশমা চলে এসেছে। চোখে চালশে পড়তে আজকাল আর চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। তবে এ সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকলে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা যায়। এমন কিছু শুকনো ফল এবং বাদাম রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। সেগুলি কী কী?

১. কাঠবাদাম

বয়স বা চোখের স্নায়ুজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে কাঠবাদাম। এই বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে কোনও ধরনের বাদামেই ভিটামিন ই রয়েছে। তবে, কাঠবাদামে এই ভিটামিনের পরিমাণ বেশি।

২. আখরোট

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখের কোষের মেমব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত আখরোট খেলে সেই আশঙ্কাও কমে।

Advertisement

৩. পেস্তাবাদাম

মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত ‘ব্লু লাইট’ থেকে চোখের ক্ষতি রুখে দিতে পারে পেস্তাবাদাম। ‘লুটেইন’ এবং ‘জ়িজ়্যানথিন’ নামক বিশেষ দু’টি উপাদান রয়েছে পেস্তাবাদামে। যা চোখের বয়সজনিত রোগ ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

৪. কাজুবাদাম:

দৃষ্টিশক্তি জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল জ়িঙ্ক। রেটিনা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা আগে থেকে রোধ করা যায় নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে।

৫. কিশমিশ

Advertisement

কিশমিশে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা দু’টি চোখের উপর ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব পড়তে দেয় না। ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত