Connect with us

বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টায় ভৈরবে ৪ খুন!

Published

on

গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভৈরবের পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলায়ও একজন খুনের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১১ জন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১০/১২ টি বাড়ি। 

নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।নিহতরা হলেন- ফারুক খানঁ, লিটন মিয়া, শরীফ মিয়া (২৫), মগবুল মিয়া (৪০) ও পাভেল (২২)। 

আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গাজিরটেক এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত নামা বস্তাবন্দি এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করে জানায় নিহতের নাম শরীফ মিয়া। তিনি শহরের ঘোড়াকান্দায় একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত ২ দিন আগে তিনি কাজে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। শনিবার সকালে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এ ছাড়া উপজেলার আগানগরের লুন্দিয়া ও খলাপাড়ায় জমির ধান ভাঙানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের তিন ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খলাপাড়া গ্রামের মোতালিব মিয়ার পুত্র মকবুল ও লুন্দিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পাভেল (২২) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরো ২০ জন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তের টোল প্লাজার অদূরে মন্দিরের কাছে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফারুক খান নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ফারুক খান ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের খা বাড়ির সালাম খার ছেলে।

Advertisement

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন। সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে মাঠে নেমেছে।

এছাড়াও কুলিয়ারচরের লালপুরে আম কুড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া (৪৫) নামে এক যুবক নিহত ও উভয় পক্ষের ১০/১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত লিটন মিয়া ওই গ্রামের আব্বাছ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।

শুভ মাহফুজ

Advertisement

আইন-বিচার

আপাতত বহালই থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা

Published

on

হাইকোর্ট

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো। শুনানির জন্য আবেদনটি বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গেলো ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ কোটা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সচিব সভা আজ

Published

on

সচিব সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ।‌ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সব সচিবদের নিয়ে এ সভা হবে। এতে অংশ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পাঠানো হয়েছে।

যখন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খুবই জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে, তখন সব সচিবের অংশগ্রহণে সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সচিব সভায় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। কারণ আলোচ্য সূচিতে শুদ্ধাচার ও সুশাসনের বিষয়টিও রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি দ্বিতীয় সচিব সভা। সর্বশেষ গেলো ৫ ফেব্রুয়ারি সচিব সভা হয়ে। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগের সচিব সভাগুলোতে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত