Connect with us

চট্টগ্রাম

ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি-চোরাকারবারি গোলাগুলি, নিহত ১

Published

on

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইব্রাহিম নামে চোরকারবারি দলের এক রোহিঙ্গা মারা গেছেন। এ ছাড়া গোলাগুলিতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গভীর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ইব্রাহিম কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত সৈয়দ আলমের ছেলে।

বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালানের খবর পেয়ে অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও গুলি চালালে তারা মিয়ানমারের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।’

Advertisement

গোলাগুলিতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান অধিনায়ক আলী হায়দার।

এএ

Advertisement

চট্টগ্রাম

যে কারণে সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নিলো সেনা ও রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার

Published

on

দুর্যোগের মুখে পড়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ভিড়েছে মিয়ানমারের সেনা ও রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার। এতে ৩১ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে আছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দুই সদস্য। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সেনা ও রোহিঙ্গাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ট্রলারটি দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম অংশের সৈকতে এসে ভিড়ে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এসব রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যরা দ্বীপের উত্তর সৈকতের একটি রিসোর্টে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন। ৩১ রোহিঙ্গার মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ১১ শিশু রয়েছে। সশস্ত্র বিজিপি সদস্যদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন ও অন্যজন সার্জেন্ট।

আশ্রিত রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যদের বরাত দিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, গেলো ৪ জুলাই বিকেলে মিয়ানমারের মংডু শহর থেকে সমুদ্র পথে ট্রলারটি রওনা হয়। মিয়ানমারের জলসীমায় থাকা দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজে ওঠার কথা ছিল তাদের। পরে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তারা সিত্তওয়ে শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কিছু দূর আসার পর ট্রলারটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি সেন্টমাটিনের উত্তর-পশ্চিম অংশের সৈকতে চলে আসে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবেদার সানোয়ার হোসেন জানান, ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাসহ ৩৩ জন এসেছেন। তাদেরকে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

দুই সেনাসহ ও ৩১ রোহিঙ্গার সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ

Published

on

মিয়ানমারের দুই সেনাসহ ৩১ জন রোহিঙ্গা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ করেছে। রাখাইন রাজ্যের মংডুতে নতুন করে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওায় এ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে ৩৩ জন যাত্রীবোঝাই ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

মুজিবুর রহমান জানান, টানা কয়েক দিন ধরে মংডুতে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে আজ ভোরে ৩৩ জন যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার মংডু থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে। বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জানানো হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদীতে অবস্থান জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

মর্গের পাশে পড়ে আছে উপহারের অ্যাম্বুলেন্স

Published

on

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের দেয়া লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে মর্গের পাশে। প্রয়োজনীয় গতি তুলতে না পারা এবং আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত হলেও  পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগী বহনে কাজে আসছে না এটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)  সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২১ সালে কোভিড মহামারির সময় উপহার হিসেবে বিশেষ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখান থেকে এটি গত ১৭ নভেম্বর ২০২১ সালে  কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে দেয়া হয়। যদিও অ্যাম্বুলেন্সটি চিকিৎসায় ব্যাপক অবদান রাখবে বলা হলেও এটি রোগী পরিবহনের কোনো কাজে আসেনি। গত ৩ বছরে অ্যাম্বুলেন্সটি ভিআইপি ডিউটিসহ ১৪ বার ব্যবহার করা হয়েছে।

ওসমান গণি নামে এক রোগীর স্বজন জানান, তার চাচার খুবই খারাপ অবস্থা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু লাইফ সাপোর্ট সংযুক্ত কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে চাচাকে নিয়ে তিনি ঢাকা যাচ্ছেন।

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসেন জানান, সাধারণত জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স ১০০ থেকে ১২০ এ চালাতে হয়। কিন্তু এ গাড়িতে গতি ওঠে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫। তাই এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে গাড়ি সচল রয়েছে।

Advertisement

হাসপাতালের মুখপাত্র ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, নামে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হলেও এর মধ্যে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। হাসপাতালে থাকা কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে এটিকে আইসিইউ এম্বুল্যান্সে পরিণত করার চেষ্টাও তাঁরা করেছিলেন। কিন্তু সফল হন নি। ফলে এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জরুরি সেবা দেয়া সম্ভব নয়।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মং টিংঞো  বলেন, লাইফ সাপোর্ট সুবিধা সম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্সটির খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পরিপূর্ণ একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তার কিছু নেই এটিতে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিশেষায়িত স্ক্যান ও আইসিইউ সেবা চালু করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত