Connect with us

ঢাকা

মামুনুল আমাকে অবৈধভাবে আটকে রাখে: ঝর্ণা

Published

on

হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ‍বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

মামলা দায়েরের পর চলে যাওয়ার সময় থানা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঝর্ণা বলেন, ‘আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমি ভালো আছি। আমার সবশেষ কথা আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে (মামুনুল হক)। আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

জান্নাত আরা ঝর্ণা আরও অভিযোগ করেন, ‘উনি (মামুনুল হক) আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন।’

মামলার এজাহারে ঝর্ণা বলেছেন, ‘আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আমাকে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে নিয়ে গিয়ে তার পরিচিত বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে রাত্রীযাপন ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার যৌন লালসা চরিতার্থ করে। আমি বিয়ের কথা বললে সে আমাকে করব-করছি বলে নানান অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে।’

গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হন মামুনুল।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়েন। তখন তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় তার। যে খানে মামুনুল বলেন- জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্নাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। আসলে ঐ ঝর্না হাফেজ শহিদুলের স্ত্রী।

১৮ এপ্রিল মামুনুল গ্রেফতার হলে জিজ্ঞাসাবা রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলে। জানা যায়- পরের দুই নারির সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিক সম্পর্ক করেন মামুনুল। এরপর জান্নাত আরা ঝর্নাকে মামুনুলের বোনের মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। দেয়া হয় বাবার জিম্মায়।

হেফাজত নেতা মামুনুল হক বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন। পাকিস্তানি জঙ্গিসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তার ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অর্থের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শেখ সোহান

Advertisement
Advertisement

ঢাকা

এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!

Published

on

ঢালিউডের স্বর্ণালী সময়ের জনপ্রিয় একটি সিনেমার নাম “ছুটির ঘণ্টা” । বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছুটির আগে টয়লেটে তালা দিলে, তাঁর অজান্তেই এক শিক্ষার্থী সেখানে আটকে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। মাদারীপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকটা তেমনই ঘটেছে।  টয়লেটে ৬ ঘণ্টা আটকে ছিল প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। পরে  তালা ভেঙে ওই শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম।

স্থানীয়রা জানান, রাফিন নামে প্রথম শ্রেনির ওই শিক্ষার্থী দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে যায় । শ্রেনিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে শ্রেণিকক্ষে থাকা সবাই বাড়িতে চলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের দপ্তরি খোকন খান শ্রেনিকক্ষ ও শৌচাগারের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান।

স্থানীয়রা আরও জানান, এদিকে স্কুল ছুটির পরও রাফিন বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শুনতে পান তালাবদ্ধ স্কুলের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। তিনি দৌড়ে স্কুলের কাছে ছুটে যান। টয়লেটের ভেতর একটি শিশু আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আল মামুন জানান, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।

Advertisement

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করছেন। ওই শিশু মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিশুটির বাসায় গিয়ে কথা বলেছে। এ ঘটনায় কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

Published

on

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে সুমন ও নাহিদ নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মাহবুব ও মুকুল নামে আরও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর ১২টায় কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে  ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেনের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন শ্রমিক সুমন ও নাহিদ। এ সময় দুজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাদের উদ্ধার করতে নামেন আরও দুই শ্রমিক মাহবুব ও মুকুল। কিন্তু তারাও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাঁরা চারজনকে উদ্ধার করে কাশীয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন ও নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার

Published

on

গ্রেপ্তার

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে এসি ল্যান্ডের দায়ের করা মামলায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল চার টায় সৈয়দপুর পৌরশহরের দিনাজপুর সড়কে প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসের সামনে ভ্রামমান আদালত বসিয়ে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারনা করার অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় এসি ল্যান্ড আমিনুল ইসলাম।

অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের আদেশ আক্রোশমূলক ও বিধি মোতাবেক হয়নি দাবি করে প্রার্থী ফয়সাল দিদার জরিমানার অর্থ পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ তাকে আটক করে।

প্রায় ২০ ঘন্টা সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকার পর এসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর ৩২ ধারায় মামলা করেন।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে আটকের পর রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন কর্মী সমর্থকরা। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপু ঘোড়ার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহন। এই ঘটনায় এসিল্যান্ড ও রির্টানিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলাম ক্যামেরায় কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Advertisement

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, মোবাইল কোর্টে জরিমানা না দেয়ায় আটকের পর এসিল্যান্ডের দেয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দিপুকে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

 

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত