Connect with us

বাংলাদেশ

দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহ বাড়ল লকডাউন

Published

on

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোববার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনে সংক্রমণের হার কমছে, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। গেল কয়েকদিনের এই অর্জন আবার হারাতে চাই না। তাই চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল থেকে আরো এক দফা শুরু হওয়া লকডাউন শেষ হবে ২৪ মে ভোর ৫টায়।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গেল রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গেল ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে সেসময় লকডাউনে খোলা থাকে সরকারি অফিস, জরুরি সেবা, হাসপাতাল, ফার্মেসি, নিত্যপণ্যের দোকানগুলো।

গেল এক মে দ্বিতীয় দফায় আরও সাতদিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ৯ মে আরেক দফায় লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। আগামীকাল সোমবার এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিন আবারও লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা এলো।

এর আগে শুক্রবার দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কমেছে। রাজ্যে এখন লকডাউন মানার ধৈর্য হয়তো থাকবে না। এরপর আমাদের লকডাউন বাড়াতে হবে।

এদিকে গেল কয়েকদিন ধরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমেছে ভারতে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ১১ হাজারের বেশি করোনা রোগী। তবে প্রতিদিন মৃত্যু বেড়েই চলেছে। দেশটিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে চার হাজার ৯০ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ছাড়িয়েছে দুই লাখ ৭০ হাজার। মোট শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি পৌঁনে ৪৭ লাখের বেশি।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

দুর্ঘটনা

কোরবানির ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০৯, নিহত ৪৫৮

Published

on

ঈদুল আজহায় সারাদেশে সর্বমোট ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আরও ১৮৪০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, গেলো ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ১৮৪০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ৬ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়। সবমিলিয়ে দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হন।

ঈদের আগে গেলো ১০ জুন থেকে ঈদ পরবর্তী ২৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ঈদে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম, পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ১৪ দিনে হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০৭৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে এসেছেন ৪৭৮ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ শতাংশ বাসায় বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫৩.১৭ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত বেড়েছে ২৩৮.২৩ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

এসময় তিনি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমাতে চায় বলেও অভিযোগ করেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং একের পর এক ক্যু হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৬ জুন) স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই দৃশ্যমান ও টিকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযুগী হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

কাউকে আক্রমণ করবে না বাংলাদেশ তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের মামলার ২ আসামির আবেদন

Published

on

হাইকোর্ট

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া অর্থপাচার মামলার অন্যতম দুই আসামি মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী এই আবেদন করেন।

বুধবার (২৬ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

এর আগে গেলো ১২ জুলাই গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই আদেশ দেন।

গেলো ২ জুন অভিযোগ গঠনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানির পর আদেশের জন্য রেখেছিলেন আদালত। ড. ইউনূসসহ আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

পরে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণ দুই মাস পেছাতে আবেদন করেছিলাম। আদালত একমাস সময় দিয়ে ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রেখেছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

Advertisement

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গেলো বছর ৩০ মে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউনূস ও নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। তবে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয় একদিন আগেই।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। সেটেলমেন্ট চুক্তিতেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। ‘ভুয়া’ সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় স্থানান্তর করা হয় ২০২২ সালের ১০ মে।

পরে ২২ জুন অনুষ্ঠিত ১০৯তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়েই ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দি সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

Advertisement

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ‘অসৎ উদ্দেশে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত