Connect with us

এশিয়া

ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে দশটি প্রশ্ন

Published

on

২০১৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনিদের রক্তাক্ত ইতিহাসে আরেকটি বিষাদময় দিন ছিল। সেদিন জেরুসালেমে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন এক রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল গাজা। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হিসেবে, সেদিন ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় নিহত হয় ৫৮ জন। আহত হয় প্রায় তিন হাজার। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর এক দিনে এত বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা আর ঘটেনি।

১৪ মে দিনটি ছিল ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনিদের কাছে দিনটি হচ্ছে নাকবা বা বিপর্যয়ের দিন। সেদিন ইসরায়েলে নিজেদের বাড়ী-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছিল লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। প্রতিবছর দিনটিকে নাকবা দিবস হিসেবে পালন করে তারা।

জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়াকে খুবই বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। দীর্ঘদিনের নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনায় মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয় ফিলিস্তিনিরা।

পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী মনে করে ফিলিস্তিনিরা। আর পুরো জেরুসালেম নগরীর ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায় ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নিয়ে কার্যত ইসরায়েলিদের অবস্থানকেই সমর্থন জানিয়েছে বলে মনে করে ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ আট দশকের সংঘাতের কারণ বুঝতে সাহায্য করবে দশটির প্রশ্নের উত্তর:

Advertisement

১. কীভাবে শুরু এই সংঘাতের?

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্যাপক বিদ্বেষ-নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ইউরোপে বসবাসকারী ইহুদীরা। সেখান থেকেই জাওনিজম বা ইহুদীবাদী আন্দোলনের শুরু। ইউরোপের বাইরে শুধুমাত্র ইহুদীদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন করা তাদের লক্ষ্য ছিল। ওই সময় ফিলিস্তিন ছিল তুর্কী অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। এটি মুসলিম, ইহুদী, খ্রিস্টান-এই তিন ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র ভূমি হিসেবে বিবেচিত।

ইহুদীবাদী আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে দলে ফিলিস্তিনে গিয়ে বসত গাড়তে শুরু করে ইউরোপের ইহুদীরা। তাদের এই অভিবাসন স্থানীয় আরব এবং মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে। তখন সেখানে আরব এবং মুসলিমরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কার্যত তুর্কী অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ে। তখন যে লিগ অব নেশন গঠিত হয়েছিল তাতে ব্রিটেনকে ফিলিস্তিন শাসন করার ম্যান্ডেট দেওয়া হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় প্যালেস্টাইন নিয়ে আরব এবং ইহুদী উভয় পক্ষের কাছে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতির কোনটিই রক্ষা করেনি দেশটি। পুরো মধ্যপ্রাচ্য তখন ভাগ-বাটোয়োরা করে নিয়েছিল ব্রিটেন আর ফ্রান্স। পুরো অঞ্চলকে ভাগ করে নিজেদের প্রভাব বলয়ে ঢোকায় এই দুই বৃহৎ শক্তি।

Advertisement

ফিলিস্তিনে তখন আরব জাতীয়তাবাদী এবং ইহুদীবাদীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হয়। পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ইহুদী এবং আরব মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো।

এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাখ লাখ ইহুদীকে হত্যা করার পর তাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চাপ বাড়তে থাকে। ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে থাকা অঞ্চলটি তখন ফিলিস্তিনি আর ইহুদীদের মধ্যে ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল।

তবে পরদিনই মিশর, জর্দান, সিরিয়া এবং ইরাক মিলে ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে থাকা অঞ্চলে অভিযান চালায়। এটি প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ ছিল। এটি স্বাধীনতার যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত ইহুদীদের কাছে।

ফিলিস্তিনে আরবদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ যে অঞ্চলটি বরাদ্দ করেছিল যুদ্ধের পর তার অর্ধেকটাই চলে যায় ইসরায়েল বা ইহুদীদের দখলে।

সেখান থেকে ফিলিস্তিনের জাতীয় বিপর্যয়ের শুরু। একেই নাকবা বা বিপর্যয় বলে তারা। পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি। তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদী বাহিনী। আরব আর ইসরায়েলিদের মধ্যে এটা ছিল প্রথম যুদ্ধ। তাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের শুরু মাত্র।

Advertisement

১৯৫৬ সালে সুয়েজ খাল নিয়ে সংকট তৈরিরে সময় মিশরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ইসরায়েল। সেই সংকটে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছু হটতে হয় ব্রিটেন, ইসরায়েল আর ফ্রান্সকে। যুদ্ধের মাঠ কোন কিছুর মীমাংসা হয়নি সেই সংকটে।

এরপর ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ হয়। ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত চলা যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল পরবর্তীকালে। ওই যুদ্ধে বিপুলভাবে জয়ী হয় ইসরায়েল। গাজা এবং সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয় তারা। যা ১৯৪৮ সাল থেকে মিশরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এদিকে জর্দানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীরও দখল করে নেয় তারা। সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে গোলান মালভূমি। বাড়ি-ঘর ফেলে পালাতে হয় আরও পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে।

আরব-ইসরায়েল সংঘাতের ইতিহাসে পরের যুদ্ধটি ইয়োম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের এই যুদ্ধে একদিকে ছিল মিশর-সিরিয়া, অন্যপক্ষে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে সিনাই অঞ্চলে কিছু হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করে মিশর। তবে ইসরায়েলকে হটানো যায়নি গাজা বা গোলান মালভূমি থেকে।

ওই যুদ্ধের ছয় বছর পর ঐতিহাসিক সন্ধি হয়। প্রথম কোন আরব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে মিশর। পরে তাদের পথ অনুসরণ করে জর্দান। তাই বলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হয়নি। বহু দশক ধরে ইসরায়েলের দখল করে থাকা গাজা ভূখন্ড ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনিদের কাছে ফিরিয়ে দিল তারা। সেখানে ২০০৮, ২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বড় ধরণের যুদ্ধ হয়।

২. মধ্যপ্রাচ্যে কেন ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা হয়?

Advertisement

বাইবেলে বর্ণিত পিতৃপুরুষ আব্রাহাম এবং তার বংশধরদের জন্য পবিত্রভূমির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আজকের আধুনিক ইসরায়েল সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করে ইহুদীরা। অবশ্য প্রাচীনকাল থেকেই ওই ভূমি নিয়ে সংঘাত চলছে। আসিরিয়ান, ব্যাবিলোনিয়ান, পার্সিয়ান, ম্যাসিডোনিয়ান এবং রোমানরা সেখানে অভিযান চালিয়েছে, সংঘাতে জড়িয়েছে। সেখানে জুডেয়া বলে একটি প্রদেশ তৈরি করেছিল রোমানরা।

তবে এই জুডেয়া প্রদেশের ইহুদীরা কয়েকবার বিদ্রোহ করেছে। রোমান সম্রাট হাড্রিয়ানের আমলে ১৩৫ খ্রিস্টাব্দে বিরাট জাতীয়তাবাদী ইহুদী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। তিনি তা দমন করেন। এরপর তিনি জুডেয়া এবং রোমানদের অধীন সিরিয়াকে যুক্ত করে এক নতুন প্রদেশ তৈরি করেন। এর নাম দেওয়া হয় সিরিয়া-প্যালেস্টাইন।

এসব যুদ্ধ-বিগ্রহের ফলে সেখানে মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় ইহুদীদের সংখ্যা। ইহুদীদের ব্যাপক হারে হত্যা করা হয়। অনেকে নির্বাসিত হয়। অনেক ইহুদীকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

অষ্টম শতকে ইসলামের উত্থানের সময় ফিলিস্তিন জয় করলো আরবরা। অবশ্য এরপর সেখানে অভিযান চালায় ইউরোপীয় ক্রুসেডাররা। ১৫১৬ সালে শুরু হয় তুর্কি আধিপত্য। এরপর ওই অঞ্চলটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এক নাগাড়ে শাসন করে তারা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ব্রিটিশদের হাতে ফিলিস্তিনকে তুলে দেয় জাতিসংঘ। সেখানে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসন চলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপে যে ইহুদী নিধনযজ্ঞ চলে তার শিকার হয় লাখ লাখ ইহুদী। তখন একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এর স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে।

Advertisement

তবে আরব আর ইহুদীদের মধ্যে বিরোধের কোন সমাধান করতে পারছিল না ব্রিটিশরা। বিষয়টি নিয়ে তারা জাতিসংঘে যায়। পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করে জাতিসংঘ।

১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনকে ভাগ করার এক পরিকল্পনা অনুমোদন করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। পরিকল্পনায় একটি আরব এবং একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল আর জেরুসালেম নগরীর জন্য একটি বিশেষ কৌশল নিতে বলা হয়।

ইসরায়েল পরিকল্পনাটি মেনে নিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছিল আরবরা। এই পরিকল্পনাকে তাদের ভূমি কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছিল আরবরা। কিন্তু ফিলিস্তিনের ওপর ব্রিটিশ ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিল ইহুদীরা। পরের দিনই জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন জানায় ইসরায়েল। যা গৃহীত হয় এক বছর পর। ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৬০টি।

৩. ফিলিস্তিনরা আলাদা দুটি ভুখন্ডে ভাগ হয়ে আছে কেন?

১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিন-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি সুপারিশ করেছিল একটি আরব রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে পশ্চিম গ্যালিলি, সামারিয়া এবং জুডেয়ার পার্বত্য অঞ্চল। তবে এর মধ্যে পড়বে না জেরুসালেম নগরী এবং মিশর সীমান্ত পর্যন্ত ইসডুডের উপকূলীয় সমভূমি।

Advertisement

কিন্তু আজকের ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের বিভাজন মূলত প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিরতির রেখা বরাবর নির্ধারিত হয়েছে। ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীর (৫,৯৭০ বর্গ কিলোমিটার) এবং গাজা ভূখন্ড (৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার) হচ্ছে দুটি প্রধান ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকা। দুই ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের সবচেয়ে নিকটবর্তী দুটি এলাকার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার।

জর্দান নদী এবং ডেড সীর পশ্চিম তীরে জেরুসালেম পর্যন্ত বিস্তার হওয়ায় ওয়েস্ট ব্যাংককে পশ্চিম তীর নামে ডাকা হয়। জেরুসালেম নগরীকে রাজধানী বলে দাবি করে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি উভয়েই।

পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি সরকার। এই ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের মূল শক্তি বা দল ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি দল ফাতাহ। আর গাজার সঙ্গে রয়েছে ইসরায়েলের ৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। মিশরের সঙ্গে গাজার সাত কিলোমিটার সীমান্ত আছে। গাজার অপরদিকে রয়েছে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূমধ্যসাগর উপকূল।

এখন গাজা নিয়ন্ত্রণ করে হামাস। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী দল। অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তিকে স্বীকৃতি দেয় না হামাস।

৪. ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিরা কখনো শান্তি চুক্তি করেছে?

Advertisement

ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার পর পশ্চিম তীর এবং গাজায় দানা বাঁধতে থাকে ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। সেখানে বিভিন্ন দলে সংগঠিত হয়ে সংগ্রাম শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। গাজা নিয়ন্ত্রণ করতো মিশর আর পশ্চিম তীর ছিল জর্দানের নিয়ন্ত্রণে। ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবির তৈরি হয় অন্য কিছু আরব দেশেও।

১৯৬৭ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু আগে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গেনাইজেশন (পিএলও) গঠন করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ফাতাহ। পিএলও গঠিত হওয়ার পর ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ শুরু করে এর বাহিনী। প্রথমে জর্দান থেকে হামলা চালায় তারা। এরপর লেবানন থেকে। ইসরায়েলের নানা টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনিরা। কিছু টার্গেট ছিল ইউরোপেও। বিমান, দূতাবাস থেকে শুরু করে হামলা চলে ইসরায়েলি অ্যাথলীটদের ওপর।

একের পর এক ইসরায়েলি টার্গেটে হামলা করছিল ফিলিস্তিনিরা। আর টার্গেট করে পাল্টা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছিল ইসরায়েল। দুইপক্ষের যুদ্ধ চলে বহু বছর।

এরপর ১৯৯৩ সালে একটি শান্তি চুক্তিতে সই করে পিএলও এবং ইসরায়েল। এটি অসলো শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত। সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের পথ পরিহার করে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে এবং শান্তির অঙ্গীকার করে পিএলও। তবে ওই চুক্তি কখনোই মানেনি হামাস।

চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে দখলদারিত্ব অবসানের অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কখনোই বাস্তবায়ন করেনি ইসরায়েল বরং অধিকৃত এলাকায় ইহুদী বসতি গড়ে তোলে তারা।

Advertisement

এই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি শান্তি চুক্তির অধীনেই গঠিত হয়েছিল প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল অথরিটি বা ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি সরকার। সরাসরি ভোটে এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অন্যতম উৎস হলেও অসলো শান্তি চুক্তিতে জেরুসালেম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ঘোষণা দেন, আর এই শান্তি চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য নয় তারা। কারণ এই চুক্তি মেনে চলেনি ইসরায়েল। তিনি বলেন, একটি দখলদারি শক্তি হিসেবে সবকিছুর দায়িত্ব বর্তাবে ইসরায়েলের কাঁধেই।

৫. ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের বিরোধের মূল বিষয় কী?

একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেরি, পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি নির্মাণ চালু রাখা এবং ফিলিস্তিনি ও ইহুদী এলাকার মধ্যে নিরাপত্তা প্রাচীর তৈরি করা-শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে ফেলেছে। যদিও পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত।

কিন্তু উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তির পথে এসবই একমাত্র বাধা নয়। ২০০০ সালে ক্যাম্প ডেভিডে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। সেখানে এর ব্যর্থতার আরও অনেক কারণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেই বৈঠকে আরও অনেক বিষয়ে একমত হতে পারেনি তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক এবং ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত।

Advertisement

মতপার্থক্যের বিষয়:

জেরুসালেম: জেরুসালেমের ওপর সার্বভৌম দাবি করে ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয় তারা। এরপর থেকে জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে। তবে এর কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। অন্যদিকে পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিনিরা।

সীমান্ত এবং এলাকা নিয়ে বিরোধ: ফিলিস্তিনিরা চায় ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগে যে সীমান্ত ছিল, তার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হবে। তবে এটা মানতে নারাজ ইসরায়েল।

ইহুদী বসতি: ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে নিয়েছিল সেখানে অনেক ইহুদী বসতি গড়ে তুলেছে তারা। আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এসব বসতি। কেবল পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমেই বসতি গেড়েছে পাঁচ লাখের বেশি ইহুদী।

ফিলিস্তিনি শরণার্থী: ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের ভেতর বাড়ীঘরে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করে যাচ্ছে তারা। পিএলও'র হিসেবে এই ফিলিস্তিনি এবং তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছয় লাখ। কিন্তু এই অধিকারের স্বীকৃতি দিতে চায় না ইসরায়েল। তাদের শংকা, বিপুল সংখ্যাক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে ফিরে গেলে তাদের রাষ্ট্রের ইহুদী চরিত্র আর ধরে রাখা যাবে না।

Advertisement

৬. ফিলিস্তিন কি দেশ?

২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর ভোটের মাধ্যমে একটি প্রস্তাব পাশ হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। এতে ফিলিস্তিনিদের নন মেম্বার অবজারভার স্টেট বা পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এতে এখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় ফিলিস্তিনিরা। জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠাগুলোর কাজেও অংশ নিতে পারে তারা।

অবশ্য ২০১১ সালে একটি পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল ফিলিস্তিন। কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আপত্তির কারণে সফল হয়নি সেই চেষ্টা।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের বাইরে ফিলিস্তিনি পতাকা

জাতিসংঘের স্বীকৃতি না মিললেও ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটির ৭০ ভাগ সদস্য রাষ্ট্রই। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের বাইরে ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্বীকৃতিও মিলে।

Advertisement

৭. যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান মিত্র কেন? ফিলিস্তিনের সমর্থক কারা?

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের পক্ষে খুবই ক্ষমতাধর একটি লবি রয়েছে। সেখানে জনমতও ইসরায়েলের পক্ষে। ফলে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে ইসরায়েলের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া কঠিন। ২০১৩ সালে ২২টি দেশে একটি জরিপ চালিয়েছিল বিবিসি। জরিপে দেখা যায়, পুরো পশ্চিমা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে একমাত্র দেশ, যাদের জনমত ইসরায়েলের পক্ষে সহানুভূতিশীল।

শুধু তাই নয়, ঘনিষ্ঠ সামরিক মিত্র এই দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য পায় ইসরায়েল। সাহায্যের একটা বড় অংশই খরচ হয় ইসরায়েলের জন্য সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য।

জেরুসালেমের প্রাচীন নগর প্রাচীরে ইসরায়েলি এবং মার্কিন পতাকা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

এদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে খোলাখুলি সমর্থন যোগানোর মত একটি বড় শক্তিও নেই। এক সময় মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু মিশরের সেনাবাহিনী ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর আর কোন সমর্থন পায় না হামাস। এখন হামাসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিরিয়া, ইরান এবং লেবাননের হিযবুল্লাহ গোষ্ঠী। বিশ্বের আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু এই সহানুভূতি কাজে পরিণত হয় কম। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অস্থিরতার কারণে ফিলিস্তিনি ইস্যুর ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ সরে গেছে।

Advertisement

৮. ফিলিস্তিনে সর্বশেষ দফা সহিংসতার পেছনে কারণ কি?

কিছুদিন তুলনামূলক শান্তির পর ২০১৮ সালের ১৪ মে থেকে গাজায় ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ৫৮ ফিলিস্তিনি। আহত হয় তিন হাজারের বেশি।

গেল ছয় সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাদের গুলি এবং বোমায় নিহত হয়েছে একশোর বেশি ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী। ফিলিস্তিনিরা এই বিক্ষোভের নাম দিয়েছে গ্রেট মার্চ টু রিটার্ন। অর্থাৎ নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার মিছিল।

গাজার ইসলায়েলি সীমান্তে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে কিশোর

১৪ মে ছিল ‌ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী। ফিলিস্তিনিরা সেই দিনটি পালন করে নাকবা বা বিপর্যয় হিসেবে। কারণ ওই দিনই বাড়িঘর ফেলে ইসরায়েল থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল প্রায় সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে। আর ঠিক এই স্পর্শকাতর দিনেই জেরুসালেমে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এটি ফিলিস্তিনিদের ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।

Advertisement

৯: তাহলে কি এখন আরেকটি ইন্তিফাদার শুরু দেখছি?

এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দুটি গণঅভ্যুত্থান বা ইন্তিফাদা ঘটিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। প্রথমটি ১৯৮০’র দশকে। পরেরটি ২০০০র এর শুরুর দিকে। ১৯৮৭ সালের প্রথম ইন্তিফাদার সময় কার্যত ছিল নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা। পাথর ছুড়ে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মোকাবেলা করছে ফিলিস্তিনি তরুণ এবং কিশোররা। এই দৃশ্য অনেক ছবিতেই দেখা গেছে।

২০০০-২০০৫ সাল পর্যন্ত অনেক বেশি রক্তাক্ত ছিল দ্বিতীয় ইন্তিফাদা। সেই সময় নিহত হয় তিন হাজার ফিলিস্তিনি। এক হাজার সেনা হারাতে হয় ইসরায়েলিদেরও।

ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে পাথর ছুঁড়ে লড়ছে ফিলিস্তিনি তরুণরা

সম্প্রতি গাজায় যে বিক্ষোভ দেখা গেছে তা ধূমায়িত হতে থাকা ক্ষোভ এবং হতাশার বহিপ্রকাশ। শান্তি প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতিতে ব্যাপকভাবে হতাশ ফিলিস্তিনিরা। শতাধিক নিহতের পর এখন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তৃতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় কী না, সে প্রশ্ন উঠছে। এটি গাজা থেকে পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে যেতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

Advertisement

১০. দুইপক্ষের মধ্যে টেকসই শান্তি আসবে কীভাবে?

ফিলিস্তিনিদের দিক থেকে দেখলে, প্রথমেই ইসরায়েলকে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকার করে নিতে হবে। এতে হামাসও থাকবে। গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে ফিলিস্তিনিদের চলাফেরার ওপর থেকে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, এজন্য আগে সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে সহিংসতা ছাড়তে হবে এবং রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এরপর রয়েছে সীমানা এবং ভূমি নিয়ে বিরোধ। রয়েছে ইহুদী বসতি এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার অধিকারের প্রশ্নও। এসব প্রশ্নেও দরকার হবে দুই পক্ষের সমঝোতার।

তবে সমস্যা হচ্ছে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বদলে গেছে অনেক কিছু্ই। বিশেষ করে আরব এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে অনেক যুদ্ধের পর বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলোর চেহারাই পাল্টে গেছে। ইসরায়েল যেহেতু অধিকৃত অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণে, তাই এর ভিত্তিতেই দরকষাকষি করতে চায় তারা। তবে ফিলিস্তিনিদের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমানার ভিত্তিতেই তাদের রাষ্ট্র হবে। আর পশ্চিম তীরে ইসরায়েল যে অবৈধ বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে তা নিয়ে নীরব লড়াই চলছেই।

তবে সবচেয়ে জটিল বিষয় মনে হয় জেরুসালেম নগরীর প্রতীকি গুরুত্ব।

Advertisement

পূর্ব জেরুসালেম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী বোনাতে চায় পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস উভয়েই। যদিও ১৯৬৭ সাল থেকে এটি দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। এই বিরোধের নিরসন ছাড়া একটা চূড়ান্ত সমাধান কোনদিনই সম্ভব হবে না। অন্যান্য বিরোধের ক্ষেত্রে আপোসের জায়গা থাকলেও জেরুসালেমের বেলায় নেই।

মৃতপ্রায় শান্তি প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে, তা মনে হচ্ছে না। সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পুরনো বিরোধের মীমাংসার জন্য এত কম চেষ্টা আর কখনো দেখা যায়নি। আর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কেউই যে চুক্তিতে পৌছাতে দরকারি কোন ছাড় দেবে তা কেউই বিশ্বাস করে না।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

এশিয়া

যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইসরায়েল, মানছে না যুক্তরাষ্ট্রের কথাও

Avatar of author

Published

on

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা হলেও তেমন কোনো আশানুরূপ সাড়া আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিলেও তা উপেক্ষা করেছে দখলদার বাহিনী।  শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে।

তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। তাই আজ রোববার (৫ মে) আবারও আলোচনায় বসবেন তারা।

আরব বিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে— যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

Advertisement

গতকাল হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেয়া হবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

মক্কায় প্রবেশে অনুমতি লাগবে সৌদির বাসিন্দাদের

Avatar of author

Published

on

পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদির বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে। হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে  বলে  সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এসপিএ জানায়, হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাদের কাছে পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের অনুমতি,মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের বৈধ অনুমতি থাকবে না তাদের মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো সপ্তাহে  সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এটি ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। এই কার্ডের মাধ্যমে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এতে করে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।

প্রসঙ্গত, এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

অবশেষে পেঁয়াজ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুললো ভারত

Avatar of author

Published

on

পেঁয়াজ

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর প্রায় ৬ মাস পর নিষেধাজ্ঞা জারির পর অবশেষে তা তুলে নিলো ভারত। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গেলো বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

বিস্তারিত আসছে…

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ7 mins ago

ঢাকাসহ সারা দেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট

সাম্প্রতিককালে দেশের তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন...

হাইকোর্ট হাইকোর্ট
আইন-বিচার15 mins ago

আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে : হাইকোর্ট

সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান-১ শাখায় অভিযুক্ত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানের...

অপরাধ28 mins ago

‘মিল্টনের অপকর্মের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না’

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের কৃতকর্মের ব্যাপারে তার স্ত্রী মিঠু হালদার জানতেন এবং তিনি এ ব্যাপারে...

আন্তর্জাতিক1 hour ago

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ 

মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য এসে প্রতারণার শিকার হয়ে দুর্ভোগে থাকা বাংলাদেশিদের সাহায্য করবে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা। শনিবার (৪ মে) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম...

ছুরিকাঘাতে হত্যা ছুরিকাঘাতে হত্যা
অপরাধ1 hour ago

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভোরে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী ওই যুবকের গলা...

দুর্ঘটনা1 hour ago

সুন্দরবনে আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে বিমান বাহিনী

সুন্দরবনে আগুন নিভানোর কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। সকাল ১২ টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ শুরু...

অপরাধ1 hour ago

৬২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা থেকে ৬২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪৮০ বস্তা ভারতীয়...

অপরাধ1 hour ago

৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর...

জাতীয়2 hours ago

জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী

সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, যা ১৫ আগস্টের পর হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। বললেন প্রধানমন্ত্রী...

মিল্টন-সমাদ্দার মিল্টন-সমাদ্দার
আইন-বিচার3 hours ago

মিল্টন সমাদ্দারের আরও ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি

মানবপাচার আইনের এক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন...

Advertisement
বাংলাদেশ7 mins ago

ঢাকাসহ সারা দেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট

হাইকোর্ট
আইন-বিচার15 mins ago

আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে : হাইকোর্ট

অপরাধ28 mins ago

‘মিল্টনের অপকর্মের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না’

আন্তর্জাতিক31 mins ago

অস্ত্রোপচারে কয়েদির পেট থেকে বের করা হলো মোবাইল

আওয়ামী লীগ43 mins ago

সত্য কথায় যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: কাদের

আন্তর্জাতিক1 hour ago

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ 

ছুরিকাঘাতে হত্যা
অপরাধ1 hour ago

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা

দুর্ঘটনা1 hour ago

সুন্দরবনে আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে বিমান বাহিনী

অপরাধ1 hour ago

৬২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ

অপরাধ1 hour ago

৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

ঢাকা5 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

অপরাধ4 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী
আন্তর্জাতিক3 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

দেশজুড়ে4 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

তথ্য-প্রযুক্তি2 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

টুকিটাকি6 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ঢালিউড3 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ3 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

ঢালিউড3 days ago

‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’

ঢালিউড3 days ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত