Connect with us

ময়মনসিংহ

ভালুকায় খাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিলাইজুরি খাল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জসিম মিয়া (২৫)।

Published

on

ময়মনসিংহের ভালুকায়  বিলাইজুরি খাল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জসিম মিয়া (২৫)। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।

আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মায়ের মসজিদ এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের ওই খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মায়ের মসজিদ এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের বিলাইজুরি খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ খালের পানি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত যুবক মায়ের সাথে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আরিফ মিলের ৪ নম্বর গেটসংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে তিনি বড়শি নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরিবারের সদস্যরা জানান, জসিম একজন মৃগী রোগী ছিলেন। খালের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

শুভ মাহফুজ

Advertisement
Advertisement

ময়মনসিংহ

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তির অভিযোগ, তোপের মুখে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা

Published

on

ময়মনসিংহ-প্রিপেইড-মিটারে-সমস্যা

ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান সার্বিক বিদ‍্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রিপেইড মিটার নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

এ সময় উপস্থিত গ্রাহকসহ সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা প্রিপেইড মিটারে হয়রানি ও বিদ‍্যুৎ কর্মচারীদের ঘুম বাণিজ্যের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশীজনরা এই অভিযোগ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।

এ সময় প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি ও অসন্তুষ্টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, সাংবাদিক নিয়ামুল কবীর সজল, নারীনেত্রী সৈয়দা সেলিমা আজাদ, সুজন সম্পাদক আলী ইউসুফ, রাইস মিল সমিতির সভাপতি লিলুর রহমান, শিক্ষক আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ।

Advertisement

সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। স্মার্ট মিটারের নামে হয়রানি সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে টাকা লোড করতে গ্রাহককে ২০ থেকে ৩২০টি ডিজিট চাপতে হয়। একাধিকবার ভুল হলে লক হয়ে যায় মিটার। একই সঙ্গে টাকা লোড করার সঙ্গে সঙ্গে কেটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বিল।

এছাড়াও বিদ‍্যুৎ জটিলতার কোনো কাজে কর্মচারীদের ডেকে নিলেও টাকা না দিলে তারা কাজ করে না। এটা এখন প্রকাশ্য ঘুষে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রিপেইড মিটার সহজীকরণ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও নাগরিক নেতারা।

পরে গ্রাহকের নানা অভিযোগের জবাব দেন পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিত দেবনাথ ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-২) ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায়।

তারা বলেন, প্রিপেইড মিটার জনগণের কল্যাণে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি সরকারের প্রকল্প। প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড দিতে বাটন চাপাচাপি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা স্বীকার করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও লোড কম-বেশি নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, গরমকালে গ্রাহকের লোড বেশি হলে (৩ কিলোওয়াট থেকে ৮ কিলোওয়াট) আবেদনের মাধ্যমে শীত মৌসুমে লোড কমানোর সুযোগ রয়েছে। প্রিপেইড মিটারে একজন গ্রাহক যখন যেমন লোড চাইবেন, তখন তাই পাবেন। আর সে অনুযায়ী প্রতি কিলোওয়াটে ৪২ টাকা কেটে যাবে। এছাড়াও প্রতিমাসে মিটার ভাড়া ৪০ টাকা এবং ১০ ভাগ ভ্যাট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক শ্রেণী অনুযায়ী বিদ্যুতের বিল কেটে নেওয়া হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন এর আওতায় ময়মনসিংহ এক লাখ ১৮ হাজার ৫৪০টি পোস্ট-পেইড মিটারকে প্রিপেইড মিটারে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় এই হয়রানি ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

পুকুরে নেমে প্রাণ গেলো জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর

Published

on

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে পুকুরে গোসল করতে নেমে রিফাত মিয়া (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে রিফাত। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিফাত মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার দিঘারপাড় এলাকার আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিফাত মিয়া এবছর শেরপুর ভিক্টোরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে দুই দিন আগে তার বড় ভাই বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লাভলু মিয়ার বাসায় বেড়াতে আসে। পরে চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে গোসল করতে নামে রিফাত। এক পর্যায়ে পানিতে ডুব দিয়ে আর না উঠলে তার বন্ধুরা খুঁজতে থাকে। পরে তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন।

বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ তুহিনুল হক গণমাধ্যমে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টায়ও উদ্ধার করতে পারিনি। পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা পর রিফাত মিয়াকে উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী রিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবক মিললো মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ

Published

on

রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিমকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিমের পরনের শার্ট খুলে দেখা যায়, সেলিমের পেটে ডান পাশে বড় অস্ত্রোপচারের দাগ। দাগের বিষয়ে সেলিম কোনো উত্তর দেননি। শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী ভিড় করে তাকে দেখতে এসে কেউ কেউ বলছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সেলিমের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি করা হয়েছে।

সেলিম (৪০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।

স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

গেলো শুক্রবার সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। সেলিম এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে বাড়িতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেলিম শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা গণমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

Advertisement

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত