Connect with us

ক্রিকেট

শেষ দিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

Published

on

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ম্যাচ জিততে পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ৭ উইকেট। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার আরও ২৮৫ রান। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩৯৫ রানের টার্গেটে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১১০ রান করেছে ক্যারিবীয়রা।
 
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ ১৩২ রান। মাঠে আছেন বোর্নার ২১ রানে ও মায়ার্স ৪৯ রানে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিন অধিনায়ক মমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২২৩ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ১৭১ রানের লিড নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের বড় টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। মমিনুল ১১৫ রান করেন।

চতুর্থ দিনে পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা টপকানোর লক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে সফররত উইন্ডিজ। এমন সমীকরণের ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং তোপে পড়েছে ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৩৯ রানে জন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এর ৯ রান পর দলীয় ৪৮ রানে আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে লেগ শর্টে ইয়াসির আলী দুর্দান্ত ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মিরাজ। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় মুসেলেকে এলবির ফাঁদে ফেলে মিরাজ দিনের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান।

এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুতে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিককে ব্যক্তিগত ১৮ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন কর্ণওয়াল। এটি ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কর্ণওয়ালের ৩য় উইকেট। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মুমিনুল হক-লিঠন দাসকে সঙ্গে নিয়ে করে ১৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এর মধ্যে লিটন দাস টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ অর্ধশত তুলে নেন। দলীয় ২০৬ রানের সময় ওয়ারিক্যানের বলে পয়েন্টে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে অবশ্য ১১২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৬৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন। 

লিটনের বিদায়ের পর আর মাত্র ৮ রানই ক্রিজে টিকে ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম। গ্যাব্রিয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক মুমিনুল। অবশ্য তার আগে তিনি ১৮২ বল খেলে ১০ চারের সাহায্যে ১১৫ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। এটি ছিল টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ১০ম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের মাঠে ৭তম সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

মুমিনুলের বিদায়ের পর দলীয় ২২২ রানে তাইজুলকে বোল্ড করেন ওয়ারিক্যান। এক রান পরেই দলীয় ২২৩ রানে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজকেও বোল্ড করে ফেরান ওয়ারিক্যান। মিরাজের বিদায়ের সাথে সাথে মুমিনুল ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। হাতে এখনো পুরো একদিন রয়েছেন।

ক্যারিবীয়দের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কর্ণওয়াল ও ওয়ারিক্যান। বাকি ২টি উইকেট নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।

এর আগে তৃতীয় দিনে তাইজুল, নাইম ও মিরাজের ঘূর্ণিতে পুরোপুরি কুপোকাত হয় ক্যারিবীয়রা। স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান সংগ্রহ করতেই অলআউট হয় তারা। এরপরই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে চেপে ধরেন ক্যারিবীয়দের দীর্ঘদেহি ক্রিকেটার রাহকিম কর্ণওয়াল। প্রথম ওভারেই তামিম ও শান্তকে কোন রান করতে না দিয়েই ফেরত পাঠান তিনি। 

তৃতীয় দিনের ৬ ওভার বাকি থাকতে গ্যাব্রিলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগের ইনিংসে অর্ধশত রান করা সাদমান ইসলাম।

এএ

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

প্রতিটি ম্যাচ শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারলে ফল আসবে: শান্ত

Published

on

‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’- বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে, যা সাধারণ দর্শকরা দেখছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পেজ থেকে ভিডিওগুলো প্রকাশ পাচ্ছে। আজ (২৯ মে) যে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের অভিব্যক্তি, ভাবনা, অধিনায়কত্ব; সবকিছু নিয়ে কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন আসে সবসময়। দর্শকেরা মুখিয়ে থাকেন। দলের সম্ভাবনা নিয়ে অধিনায়ক কী বক্তব্য দেয়, তার দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকেন গণমাধ্যমগুলো। এটি জানা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক কী ভাবছেন, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।

নাজমুল হোসেন বলেন, “সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।“

তবে অধিনায়কের দায়িত্বটা আলাদাভাবে বুঝিয়ে দেন শান্ত, “কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কি না—এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই। তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।“

Advertisement

তিন সংস্করণের অধিনায়ক হয়েছেন শান্ত। সময়টা খুব বেশি দিন হয়নি। উপভোগ করতে চান দায়িত্বটা। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে অধিনায়ক হওয়ার পর, তেমনটি মনে করতে চান না শান্ত।

বাংলাদেশ সময় আগামী ২ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামী ৮ জুন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

খেলায় মনোযোগ ধরে রাখতে ২-৩ মাস ফোন বন্ধ রাখেন স্যামসন

Published

on

ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সানজু স্যামসন সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। স্যামসনের গল্পটা এমন যে, সুযোগ হলে তখন আলাদা করে লিখতে হয়। তার সম্ভাবনা ও যোগ্যতা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না। এবার সুযোগ পেয়ে নিজের অভিব্যক্তি দারুণভাবে প্রকাশ করেছেন তিনি।

মনোযোগ ধরে রাখার জন্য নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিয়েছেন স্যামসন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন স্যামসন। মৌসুমটা খুব ভালো কেটেছে তার ব্যাট হাতে। তিনি ১৫ ইনিংস খেলে ৫৩১ রান সংগ্রহ করেছেন। ভারতের হয়ে ২০১৫ সালে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের।

স্টার স্পোর্টসের একটি ভিডিওতে স্যামসন বলেন, “এটা খুবই আবেগীয় একটা ব্যাপার ছিল। এটা এমন কিছু, যা আমি খুব বেশি আশা করিনি, সত্যি বলতে। আমি জানতাম নির্বাচিত হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম না। আমি জানতাম আইপিএলে বিশেষ কিছু করতে হবে সুযোগ পেতে হলে।”

নিজের ফোন থেকেও দূরে থেকেছেন স্যামসন। তিনি বলেন, “আমি আমার ফোন দূরে রেখেছি। আমার মনে হয় আমি ফোন থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আমার ফোন বন্ধ ছিল গত ২-৩ মাস থেকে। আমাকে খেলায় পুরোপুরি মনোযোগী হতে হতো।”

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

তৃতীয় ম্যাচও পরিত্যক্ত, বৃষ্টির জয় ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে

Published

on

পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের আর একটি ম্যাচ বাকি। এখন পর্যন্ত হওয়া ৩ ম্যাচে ২ টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো বৃষ্টির কারণে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড জয়ী হওয়ায়, ১-০ তে এগিয়ে আছে তারা। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য মূলত আয়োজন করা হয়েছে সিরিজটি। তবে প্রস্তুতি খুব বেশি একটা হলো না বলতে হয়। আগামী ৩০ মে দুই দল মুখোমুখি হবে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে।

ইংল্যান্ডের ওভালে সিরিজের শেষ তৃতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দলের। তবে ম্যাচ শুরুর আগে থেকে হওয়া বৃষ্টিতে মাঠ বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আউটফিল্ড থাকে ভেজা। ফলে ম্যাচ শুরু করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরিত্যক্ত করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে একই ফলে গড়ায়। শুধুমাত্র দ্বিতীয় ম্যাচটিতে ফলাফল আসে। তবে সেদিনও পুরো ম্যাচ খেলা হয়নি একই কারণে। ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতেছে ২৩ রানে।

পাকিস্তান যতটুকু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, ইংল্যান্ড খেলেছে অনেক কম। ফলে সর্বশেষ ওডিআই বিশ্বকাপে বাজে পারফর্ম করা ইংল্যান্ডের জন্য এবারও কঠিন হয়ে উঠবে কি না বিশ্বকাপ তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

আগামী ২ জুন থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত