বিএনপি
গণফোরাম থেকে পদত্যাগ করলেন রেজা কিবরিয়া
অনেক চেষ্টার পরেও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে বিরোধ মেটেনি। সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ড. রেজা কিবরিয়া পদত্যাগ করেছেন।
অনেক চেষ্টার পরেও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে বিরোধ মেটেনি। সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ড. রেজা কিবরিয়া পদত্যাগ করেছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবি, ড. কামালসহ বিবদমান দুই অংশের পাঁচজন করে মোট ১১ জন নেতার সমন্বয়ে দলের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের নাম তালিকায় এক নম্বরে দেওয়ায় ওই বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে। দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ সিনিয়র অনেক নেতা এই ক্রমবিন্যাস মেনে নিতে পারেননি।
তারা মনে করছেন, সংসদ সদস্য হওয়ায় মোকাব্বির খান নিজেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন এবং আগামী কাউন্সিলে তিনি দলের সভাপতি হতে চাইছেন। এমনকি তার সমর্থক বলে পরিচিত আ ও ম শফিকউল্লাহর নামও তাদের আগে দেওয়া হয়েছে বলে ওই অংশ জানতে পেরেছে। এ কারণেই দুই অংশের বিরোধ মীমাংসার ঘোষণা আটকে আছে। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েও পরে তা বাতিল করেন।
গণফোরামের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি মনঃপূত না হওয়ায় ড. রেজা কিবরিয়া কয়েক মাস আগে থেকেই দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি সারা দেশের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। এছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কঠোর বিবৃতি দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি।
কিন্তু তার এসব প্রস্তাবের কোনোটিই দল বা জোট গ্রহণ না করায় তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গণফোরামের দুই অংশের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগে তিনি জড়িত হননি। তা ছাড়া ১১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি দল পরিচালনা করলে সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকাও অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই সব দিক বিবেচনা করে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের কাছে চিঠি দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। তবে চিঠিতে তিনি পদত্যাগের কারণ 'ব্যক্তিগত' বলে উল্লেখ করলেও ড. কামাল হোসেনকে অসম্মান করে কিছু বলেননি।
শুভ মাহফুজ
বিএনপি
গনতন্ত্র ফেরাতে প্রভাব বিস্তার করবেন স্টারমার : ফখরুল
যুক্তরাজ্যের যে ঐতিহ্য, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা, তাদের যে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যেসব দেশে গণতন্ত্রের সংকট রয়েছে, গণতন্ত্রের ডেফিসিট (ঘাটতি) রয়েছে, সেগুলোতে তাদের যে প্রভাব, সেই প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন। বললেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনে লেবার পার্টি একটা ল্যান্ডসাইড ভিক্টরি পেয়েছে। এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, টুইটারের মাধ্যমে স্টারমারকে কংগ্র্যাচুলেট করেছেন। বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষ থেকে আবারও স্টারমারকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
একই সঙ্গে তিনি প্রত্যাশা করেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৃটেনের অর্থনীতি-রাজনীতিতে, যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো তিনি সমধানে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
এসময় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাসুদ পেজেশকিয়ান নির্বাচিত হওয়ায় তাকেও দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব।
আই/এ
বিএনপি
ছাত্রদের কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে আমরা একমত : ফখরুল
সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন রয়েছে। বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহের সঙ্গে আমরা একমত।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য। ব্যাংকিং খাত প্রায় দেউলিয়া, এরকম লুটেরাতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য এরকম পেনশন স্কিমের মতো আরও স্কিম চালু করে জনগণের পকেট শূন্য করতে চায় এই লুটেরা সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা চাপাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের বুলি যদি এতই শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে পেনশন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অতএব জনগণ সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অনৈতিক তথাকথিত পেনশন স্কিমসহ ইত্যকার সকল প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি এবং অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল বাংলাদেশে। তার মাঝে ৩০ শতাংশই ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। বাকি কোটার মাঝে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য এবং এক শতাংশ কোটা ছিল প্রতিবন্ধীদের।
ওই বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল যে কোটা ৫৬ শতাংশ না হয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। তাদের দাবির মুখে সে বছর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কিন্তু ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পাবার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং গেলো ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গেলো বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকালে কোটার পক্ষের এক আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করেনি আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত না করায় পূর্বের নিয়মানুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আপাতত বহাল রয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের পর গেলো ৬ জুন থেকেই তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝে কিছুদিন আন্দোলন চললেও ঈদুল আজহার কারণে ২৯ জুন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ৩০ জুন থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন তারা।
অন্যদিকে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়েছে।
এসি//
বিএনপি
দলীয় কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে টিকটকে এলো বিএনপি
তরুণদের কাছে দলের বার্তা তথা দলীয় এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এবার শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম-টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের ক্রু স্টাফ মাহফুজ কবির মুক্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাহফুজ কবির মুক্তা বলেন, টিকটকের প্রধান ভিউয়ার হচ্ছে দেশের টিনেজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা খোলা হয়েছে। টিকটকে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। গেলো ০৩ জুলাই রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গেলো বছরের ২ জুন টিকটকে অ্যাকাউন্ট খোলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আই/এ
- ঢাকা5 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- অপরাধ7 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- ঢাকা7 days ago
স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
- ফুটবল6 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
- দুর্ঘটনা6 days ago
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- রংপুর6 days ago
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
- ব্যাংক6 days ago
সোমবার বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন
- পরামর্শ7 days ago
প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও