ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে গাজাবাসী

ফিলিস্তিনে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটের মুখে পড়েছে অবরুদ্ধ গাজাবাসী। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটিতে কোনো পয়ঃনিষ্কাশন কেন্দ্র না থাকায় স্যুয়ারেজের ময়লা সরাসরি মিশছে সাগরে। মানুষের বর্জ্য আর কারখানার নোংরা পানিও মিশছে সাগরে। সেই সাগরের পানিতেই গোসলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে গাজাবাসী। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে তারা।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলের ক্রমাগত দখলদারিত্বে অবরুদ্ধ গাজা পরিণত হয়েছে ক্ষুদ্র এক উপত্যকায়। পুরো অঞ্চলে নেই কোনো উপকূল, বন্দর বা বিনোদন কেন্দ্র। একদিকে মাছ ধরা বন্দর আর অন্যদিকে বিনোদনের একমাত্র স্থান গাজার এই উপকূল।

উম্মে মাজিদি নামে গাজার বাসিন্দা বলেন, সাগরের এই তীর ছাড়া আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বিনোদন বলতে সেখানে গোসল আর বেড়ানো। কিন্তু স্যুয়ারেজের লাইন থেকে ময়লা সরাসরি পড়ে সেখানে। গাজার কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ, স্যুয়ারেজের লাইন এখান থেকে আপনারা সরিয়ে ফেলুন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোসনি মুহান্না বলেন, ইসরায়েলি হামলার জন্য গাজায় বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ থাকে। তাই বাসিন্দারা গোসল করতে সাগরে যায়। কিন্তু সুয়্যারেজের লাইন সরাসরি মেশায় সাগরতীরের পানি ভয়াবহ দূষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে গোসল বা কাপড় পরিষ্কার করলে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

পাশাপাশি গাজায় কমছে স্বাদু পানির সরবরাহও। ২০ লাখ মানুষের ভূখণ্ডটিতে প্রতি বছর স্বাদু পানির চাহিদা প্রায় ২০ কোটি ঘনমিটার। অথচ সর্বোচ্চ ছয় কোটি ঘনমিটার সরবরাহ আছে।

স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছে গাজাবাসী। তা না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে আরো একটি সংকটে পড়বে যুদ্ধকবলিত ভূখন্ডের বাসিন্দারা।

 

এসএন

Recommended For You