Connect with us

জাতীয়

একনেকে ৬৬৫১ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

Published

on

প্রায় ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (৮ জুন) একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি প্রকল্প নতুন এবং একটি সংশোধিত। নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘বরিশাল (দিনারেরপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটিতে ১ হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি ১ হাজার ১০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

Advertisement

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটি ২১৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ কাজ’ প্রকল্পটি ৬৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারাজ, বুড়িবাঁধ ও ভুল্লিবাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটির খরচ ২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ প্রকল্পটির খরচ ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)’ প্রকল্পটির খরচ ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে 

Advertisement

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটির খরচ ১ হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্পটি হলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প। এটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পটির খরচ ৩৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এর মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

Advertisement

চট্টগ্রাম

বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: পলক

Published

on

কল ড্রপ কমিয়ে এনে বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট ও ড্রাইভ টেস্ট কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসে। এই পর্যটন নগরীকে বিশ্বের কাছে আরও আর্কষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানের আইকনিক রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছেন। যার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এসব কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য। এরফলে বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারসেবা, সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন সবকিছু কক্সবাজারে হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন একটা উদ্দেশ্য, ইন্টারনেটের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট কার্যক্রমে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিটিআরসির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজ, আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট শেষে প্রতিমন্ত্রী রামুতে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Published

on

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

Advertisement

দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

একটি ব্যাংকের এমডির পদ নিয়ে যত সমস্যা। নামি দামি নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন? এই পদে কী মধু আছে? তবে তা শ্রমিকদের মামলা আর অডিট রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মাসেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কীভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এত লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদের বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এলো। আমি শুধু তাদের বলেছি- এই এমডি পদে কী মধু আছে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে ২০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেছিলেন।

Advertisement

পরে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনীর কথা শুনব না, দেখাও করব না, বলে দিয়েছিলাম তাদের। এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল। মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশবাসী পাশে ছিল বলেই জ্ঞানীগুণীদের বাধা সত্ত্বেও সব অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সবাই না করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জটিল স্থাপনা আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি৷’

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত