চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩৫ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪ হাজার ৪৫৪ জনে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি জানান, গতকাল চট্টগ্রামে ১১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৬২ জন ও উপজেলার ৫৭ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫২ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৪ জন, জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি ল্যাবে ১২ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে আটজন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে পাঁচজন ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৩ জন সঙক্রমিত হয়েছে।
মুনিয়া
চট্টগ্রাম
আরাকান আর্মির গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির গুলিতে আহত জেলে মোহাম্মদ হোসেন আলী (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। জেলে মো. হোসেন আলী হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামের মৃত আব্দুশ শুক্কুরের ছেলে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে টেকনাফ থানার আওতাধীন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন সিরাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতের স্বজনদের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন সিরাজী বলেন, গেলো ২২ মে নাফনদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে জেলে হোসেন আলী আহত হন। হোসেন আলীর সঙ্গে থাকা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। হোসেন আলীর ডান পায়ের হাঁটু এবং বাঁম পায়ের গোড়ালিতে গুলি লাগে।
সীমান্তের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রায় ৪ মাস ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নেয়। এর জেরে সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণে এপারের লোকজন আতঙ্কে আছেন।
চট্টগ্রাম
১৭ টাকার দ্বন্দ্ব নিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দিনমজুরের
চায়ের দোকানে মাত্র ১৭ টাকা বকেয়া পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন মাহমুদুল হক (৩৩) নামে এক দিনমজুর। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।
মাহমুদুল হক ছদাহা ইউনিয়নের পূর্ব আজিমপুর এলাকার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদিউল আলমের ছেলে।
বাবা বদিউল আলম জানান, তার ছেলে মিঠার দোকান এলাকার এক মাছের খাদ্যপ্রস্তুতকারী কারখানায় দিনমজুরের কাজ করছিল। কারখানার পার্শ্ববর্তী ফেরদৌসের চায়ের দোকানে চা পান বাবদ তার ছেলের কাছে ১৭ টাকা বকেয়া ছিল। এ পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে রোববার তার ছেলের সঙ্গে চায়ের দোকানি ফেরদৌসের ছেলে রায়হানের বাগবিতণ্ডা হয়। পরদিন একই বিষয় নিয়ে ফের কথাকাটাকাটি হলে রায়হান তার ছেলেকে রড দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। পরে তার বড় ছেলে এনাম ওই দোকানে গিয়ে পাওনা টাকা পরিশোধ করে ঝগড়া মিটিয়ে দেয়। মঙ্গলবার দুপুরে মাহমুদুল আবারও ওই চায়ের দোকানে গেলে মীমাংসার বিষয়টি উপেক্ষা করে রায়হান মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ২০/২৫ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য নিয়ে এসে তার ছেলেকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেরানিহাট আশ-শেফা হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
মাহমুদুলের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে জানিয়ে ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন বদিউল।
ওসি প্রিটন সরকার বলেন, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এসি//
চট্টগ্রাম
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যে জেলায়
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। এসময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব।
তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
এএম/
- অপরাধ7 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- টুকিটাকি6 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- বাংলাদেশ1 day ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- বলিউড2 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- ঢালিউড2 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ4 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া1 day ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস