অপরাধ
ডা. সাবিরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো খোলাসা হয়নি
Published
3 years agoon
By
জাকির হোসাইন** সন্দেহভাজন, সহকর্মী ও স্বজনদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ
** সন্দেহভাজনদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি
রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) হত্যাকান্ডের রহস্য এখনো খোলাসা হয়রি।
হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। বারো দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি তারা। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন, প্রত্যক্ষদর্শী, সহকর্মী ও অনেক স্বজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো ক্লু (সূত্র) মেলেনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ছেড়ে দেয়া হলেও এদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রাখছেন গোয়েন্দারা।
গত ৩১ মে সকালে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে ডা. সাবিরার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অবশ্য ওই ফ্ল্যাটে প্রথমে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। পরে যায় কলাবাগান থানা পুলিশ। তার শরীরে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন দেখে পুলিশ তখন জানায়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের এই নারী চিকিৎসককে।
এ ক’দিনে ঘটনার আলামত বিশ্লেষণ ও অন্যান্য তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে কাজী সাবিরাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ফজরের নামাজের আগে তাকে খুন করা হয়। প্রথমে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ওই কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনো কারণে স্বজনদের হাতে খুন হতে পারেন সাবিরা। তবে এখনই সেটা নিশ্চিত করে বলতে চাইছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি একটি বিরল ঘটনা। থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, ডিবি, সিআইডি ও র্যব কাজ করছে হত্যাকাণ্ডটি তদন্তে। এখন ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ও জটিল হলেও বলা যায়, ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সাবিরাকে। খুনি ফ্ল্যাটের সব তথ্যই জানত। এমনকি তার কাছে ফ্ল্যাটের মূল দরজার নকল চাবিও ছিল। ফলে পালাতে সুবিধা হয় খুনির। এক্ষেত্রে বাড়িটির দারোয়ানের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করাও খুনির বাড়তি সুবিধার জায়গা ছিল।
সূত্র জানায়, ডা. সাবিরার কক্ষের দরজায় অটোলক সিস্টেম ছিল। হত্যাকারী তার কক্ষ থেকে বেরোনোর সময় বাইরে থেকে দরজা টান দিয়ে লক করে যায়। যার কারণে দরজাটি ভেঙে পুলিশকে সাবিরার কক্ষে ঢুকতে হয়।
ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগার বিষয়ে সূত্র জানায়, আগুন ধরলে নিচ থেকে জ্বলার কথা, কিন্তু কাউকে যদি আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তখন তা ওপর থেকে জ্বলতে পারে। সাবিরার মরদেহ বিছানায় উপুড় হয়ে ছিল। বিছানায় শুইয়ে দেয়ার পরে আগুন শরীরের ওপর থেকে ধরানো হয়। তার কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ থাকার কারণে আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি।
আরেকটি সূত্র বলছে, সাবিরার বাসায় পোড়া সিগারেটের দুইটি অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। এটিকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসাবে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। সিগারেটের অবশিষ্টাংশ দুইটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সিগারেটের অবশিষ্টাংশ দুইটি উদ্ধার হলেও কক্ষে সিগারেটের ছাঁই রাখার কোনো পাত্র পাওয়া যায়নি। ডা. সাবিরা নিজে নাকি অন্য কেউ ধুমপান করেছেন, সেটা বের করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পাঁচ দিন আগে থেকে ভোরে হাঁটতে বের হতেন সাবিরার সহ-ভাড়াটিয়া মডেল কানিজ সুবর্ণা। এই কানিজ সুবর্ণাকেই সন্দেহ করছে সাবিরার স্বজনরা। এই নারী চিকিৎসকের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল কলাবাগান থানায় যে হত্যা মামলা করেছেন, তাতেও কানিজ সুবর্ণার দিকে সন্দেহের কথা উল্লেখ রয়েছে।
কেবল কানিজ সুবর্ণা নন, গত ৬ জুন দিনভর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাবিরার আরেক সহ-ভাড়াটিয়া নুরজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নুরজাহান হত্যার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে ছিলেন।
সাবিরার আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন মোটামুটি সবাইকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর আত্মীয় থেকে শুরু করে দ্বিতীয় স্বামী ও তার আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদের ফের ডাকা হচ্ছে। ডা. সাবিরা যে হাসপাতালে চাকরি করতেন সেই হাসপাতালের কয়েকজন সহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া মডেল কানিজ সুবর্ণার বন্ধু মাহাথির মোহাম্মদ স্পন্দন, বাড়ির দারোয়ান রমজান আলী ও গৃহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ডা. সাবিরার এক স্বজন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজের কর্মস্থল গ্রিন লাইফ হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল সাবিরার। সেখান থেকে কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কাদের সঙ্গে কোথায় যাওয়ার কথা ছিল, তা এখনো জানা যায়নি। সাবিরা আট থেকে নয় বছর ধরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চাকরি করছেন। বছর পাঁচেক আগে তার চাকরি স্থায়ী হয়। কাজ করতেন রেডিওলজি বিভাগে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে কয়েকটি হাসপাতালে চাকরির পর সর্বশেষ তিনি যোগ দেন গ্রিন লাইফ হাসপাতালে।
২০০৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর হয়। এরপর ২০০৫ সালে শামসুর আজাদ নামের একজন ব্যাংকারকে বিয়ে করেন তিনি। দুই সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সংসারের ছেলের বয়স ২১ বছর। তিনি গত কয়েক মাস ধরে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। ছেলেটি থাকেন তার নানীর সঙ্গে আর মেয়েটি থাকে তার বাবার সঙ্গে। সাবিরার মা থাকেন কলাবাগানে। বর্তমান স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ডা. সাবিরা আলাদা থাকতেন বলে জানা গেছে।
যদিও পারিবারিকভাবে বলা হচ্ছে, কর্মস্থল গ্রিন লাইফ হাসপাতালে যাতায়াতের সুবিধার্থে সাবিরা কলাবাগানের ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন। তবে দ্বিতীয় সংসারের ১০ বছরের মেয়েটি মাঝে মাঝে তার কাছে এসে থাকত।
সাবিরার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর কলাবাগান থানায় মামলা করেন তার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি করা হয়।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সাবিরা খুন হয়েছেন, এমনটা ধরে নিয়েই মামলা হওয়ার আগে থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সাবিরার গলায় ও শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে মনে হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি-না, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি-না জানার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হলেও ডা. সাবিরার পারিবারিক কিছু বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। এ কারণে তদন্তে বিষয়টি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে, এখনো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত করে কিছু বলার সময় আসেনি।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় সাবিরার গলা ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে তার মুখমণ্ডল ও শরীরের কিছু অংশ আগুনে পোড়ানো ছিল। সাবিরার মরদেহটি বিছানায় উপুড় হয়ে পড়েছিল, বিছানার কিছু অংশও ছিল পোড়া।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিকভাবে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. সাবিরার মামা হারুন অর রশীদ মৃধা ও মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েলের সঙ্গে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া মেলেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট-কলাবাগান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জাগো নিউকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ক্লু উদঘাটন করা যায়নি। তবে আমরা আরও কিছু নতুন লোককে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসছি। ডা. সাবিরার আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন মোটামুটি সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর আত্মীয় থেকে শুরু করে দ্বিতীয় স্বামী ও তার আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদেরও আবার ডাকা হচ্ছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ডা. সাবিরা যে হাসপাতালে চাকরি করতেন সেই হাসপাতালের কয়েকজন সহকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ আরও বিকৃত করার এক প্রক্রিয়া সেখানে ছিল। তার ব্যবহৃত বিছানাপত্র এবং অন্যান্য আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, যেন লাশটি বিকৃত হয়ে যায়। সাবিরার বাসার দুই সহ-ভাড়াটিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
তবে সাবিরার ফ্ল্যাট বা ওই বাসার গলি ও আশপাশের কোনো ভবনেরও সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে জানান সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে একাধিক লোক থাকার সম্ভাবনাই বেশি, তবে এটা এখনই সঠিকভাবে বলা যাবে না। বাসার যে মূল গেট সেটি, কিন্তু ভাঙা হয়নি। তার মানে হলো গেটটা ভেতর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে, তারপর ঢুকেছে খুনি। এ অবস্থায় আমার কাছে মনে হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে কোনো পরিচিতজন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সাবিরা হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে খুব বেশি সময় লাগবে না।’
অন্যরা যা পড়ছেন
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে ১০ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
ইউরোপে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, যা জানালো ঢাকার ইইউ প্রধান
মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গেলো বুধবার (১ মে) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদের অংশের মোদির খাল থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ জেলে হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫)।
গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, খালের মুখে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উচ্চ পর্যায়ে অবগত করা হয়েছে। বিজিবির হস্তক্ষেপে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এএম/
অপরাধ
রিমান্ডে নিয়ে মিল্টনের সব অপকর্ম বের করবো: হারুন
Published
6 hours agoon
মে ২, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীমানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নেয়ার পর তার সব অপকর্ম তদন্ত করে বের করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো রয়েছে সবগুলো তদন্ত করে বের করা হবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের পর চিকিৎসা ও সিটি করপোরেশনের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে মৃত সনদ দিতেন মিল্টন। সেই সিলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আরও দুজন ব্যক্তি থানায় রয়েছে মামলা করার জন্য। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা রুজু হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে তার স্ত্রীকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর যদি কেউ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সে অস্বীকার করতে পারেনি।
এর আগে বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।
এসি//
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।
জাতীয়
নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে...
নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা
নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে...
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
মিরপুর মডেল থানার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির...
চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাইয়ে ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে...
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা...
প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই দায়িত্ব থেকে বাদ : ইসি আলমগীর
উপজেলা নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলেই প্রমাণ ছাড়াই তাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে।অ...
আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে: ড. ইউনূস
আমি নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে। এরকম অনেক কটু কথা বড় বড় প্রোগ্রামে...
রিমান্ডে নিয়ে মিল্টনের সব অপকর্ম বের করবো: হারুন
মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলায়...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব : প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, যাতে নির্বাচনটা না হয়। আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির ওপর আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি...
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা
হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেলো টাইগ্রেসরা, সিরিজ হাতছাড়া
প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে দুবাইয়ে বহু ফ্লাইট বাতিল
ফের কমলো স্বর্ণের দাম
পাহাড়ে একের পর এক অপহরণ, ৩ জনকে উদ্ধার করলো এলাকাবাসী
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো ইরান
শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী
ভারতকে ১১৮ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
বিয়েতে পাওয়া স্ত্রীর উপহারে স্বামীর অধিকার নেই
রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধে মাইকিং
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- দুর্ঘটনা6 days ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
- বাংলাদেশ6 days ago
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
- আবহাওয়া5 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- টুকিটাকি3 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- বাংলাদেশ6 days ago
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- ঢাকা2 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- খুলনা4 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- আন্তর্জাতিক6 days ago
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত