Connect with us

লাইফস্টাইল

মাছ হলুদের মাখামাখি…

Avatar of author

Published

on

হলুদ

মাছের রেসিপি রান্নার আগে সবচেয়ে জরুরি কাজ হল মাছের টুকরোগুলি ভাল করে ধুয়ে তাতে লবণ আর হলুদ মাখিয়ে রাখা। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই মাছ রান্নার আগে এই নিয়মটি মেনে চলা হয়। অনেকে আবার যে দিন রান্না করবেন, তার আগের দিন রাতে মাছে লবণ-হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দেন। তাতে নাকি রান্নার স্বাদ বাড়ে। রান্নার আগে মাছ, মাংস ম্যারিনেট করা খুব সাধারণ একটি বিষয়। তবে শুধু যে এতে স্বাদের বদল ঘটে, তা নয়। এর আরও অনেক উপকার রয়েছে।

রান্নায় লবণ, হলুদের ভূমিকা অপরিহার্য। এই দু’টি উপাদান ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ। অনেকেরই ধারণা, হলুদ শুধু রান্নায় রং আনে। কিন্তু তা নয়, রান্নার স্বাদও বাড়ায়। হলুদের গুণে সুস্বাদু হয় যে কোনও রান্না। বাড়িতে মা কিংবা বাড়ির বড়রা যখন রান্না করেন, তখন একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, মাছ ছাড়াও বেগুন বা অন্য কোনও সব্জি ভাজার আগে লবণের সঙ্গে সামান্য হলুদ মাখিয়ে নিচ্ছেন। কারণ হলুদ তেল কম শোষণ করে। আগে হলুদ মাখিয়ে রাখলে কম তেলে ভেজে নেয়া যায়।

হলুদ যে কোনও কাঁচা খাবারই দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। আগের রাতে মাছ কিনে এনেছেন, পরের দিন রান্না করবেন। মাছ নষ্ট হয়ে যাবে কি না, তা চিন্তা না করে বরং মাছে হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তা হলে ফ্রিজের বাইরে রাখলেও নষ্ট হবে না।

হলুদ

হলুদের গুণেই সতেজ থাকবে মাছ। কাঁচা কোনও খাবার সতেজ রাখতে লবণও দারুণ সাহায্য করে। লবণ মাখিয়ে রাখলে যত দেরিতেই রান্না করুন না কেন, মাছ নষ্ট হবে না।

মাছে হলুদ মাখানোর আরও একটি কারণ রয়েছে। হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। কাঁচা মাছে কোনও জীবাণু থাকলে হলুদের সংস্পর্শে এসে সেগুলি মারা যায়। লবণও সংক্রমণ প্রতিরোধী। যে কোনও ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু থেকে মাছ দূরে রাখতে লবণের ভূমিকা অনবদ্য। অনেকেই মাছ ফ্রিজে রাখেন। কৃত্রিম আবহাওয়ায় মাছে জন্ম নেয়া কিছু জীবাণু সহজেই দূর করে লবণ এবং হলুদ।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

পরামর্শ

মেদ ঝরানোর পাশাপাশি পুদিনা পাতার আরও যে গুণাগুণ

Published

on

পুদিনা যে শুধু স্বাদে অতুলনীয় তা নয়, গুণেও পিছিয়ে নেই এই পাতা। ওজন ঝরাতে অনেকেই নিয়ম করে খান চিয়া বীজ এবং পুদিনা পাতা ভেজানো পানি। তাই বলে শুধু পুদিনা পাতার পানি খেলে যে কোনও সুফল পাওয়া যাবে না, তা একেবারেই নয়। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি পুদিনা পাতার পানি আরও অনেক উপকার করে। সেটা কি জানা আছে?

পুদিনা পাতার বাকি গুণগুলি কী? জেনে নিন-

শরীর আর্দ্র রাখে

শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেয় না পুদিনা পাতা। তাই গরমে বেশি করে পুদিনা পাতা খাওয়া জরুরি। পুদিনা পাতার পানি এক্ষেত্রে সেরা বিকল্প। শরবতেও দিতে পারেন পুদিনা। এ ছাড়া পুদিনা দিয়ে তৈরি করতে পারেন পরোটা, ‘পুদিনা রাইস’ ও কিন্তু মন্দ লাগবে না খেতে।

হজমের গোলমাল ঠেকাতে

Advertisement

হজমজনিত সমস্যা জীবনেরই অঙ্গ। স্বস্তি পেতে ওষুধের বিকল্প কিন্তু হতেই পারে পুদিনা পাতা। পুদিনায় রয়েছে মেনথল-এর মতো উপাদান। যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, পেটের অন্যান্য সমস্যারও অবসান ঘটায় পুদিনা।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

রোগবালাইের সঙ্গে ল়ড়াই করার জন্য চাই প্রতিরোধ শক্তি। পুদিনা কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা রোগের জীবাণুকে সহজে শরীরে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয় না। ধারাবাহিক ভাবে যদি পুদিনাপাতার জল খেতে পারেন, উপকার পাবেন।

ত্বকের যত্নে

পুদিনা শুধু শরীর নয়, ত্বকেরও যত্ন নেয় সমান ভাবে। ত্বক আর্দ্র রাখে। শুষ্ক হয়ে যেতে দেয় না। ত্বকের টানটান রাখতেও পুদিনার ভূমিকা আছে। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বক সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে গোড়া থেকে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

রাতে ঘুমানোর আগে যে কাজটি করেন সব সুখী দম্পতি

Published

on

সঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রত্যেকেই চেষ্টা চালান। নিজের মনের মতো গড়েন ভালোবাসার ঘর। একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতেও ভুলেন না তারা। তবে সেটাই কি এক সুখী দম্পতির পরিচয়? নাকি দাম্পত্যে সুখ অটুট রাখতে ভাবতে হয় আরও অনেক দিক!

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রত্যেক দম্পতিকেই বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাহলেই সম্পর্কে সুখ অটুট থাকে আর সেরকম সমস্যাও হয় না। সেই পাঁচটি কাজ হচ্ছে-

ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিহার করুন

সঙ্গীর পাশে শুয়ে শুধু শুধু মোবাইল স্ক্রিন স্ক্রোল করবেন না। এতে আপনাদের সম্পর্কেই খারাপ প্রভাব পড়বে। হয়তো আপনার সঙ্গী সামান্য সময়ের প্রত্যাশা করে রয়েছেন আর আপনি মোবাইল দেখে যাচ্ছেন, তারপরেও কী ভাবে সব ঠিক থাকবে বলুন?

প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে বিরতি দিন। তার পরিবর্তে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটান।

Advertisement

মনের কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে

ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুজনে মুখোমুখি বসে কিংবা শুয়ে দুটো মনের কথা বলুন। সারাদিনের ভালো-মন্দ সময় নিয়ে আলোচনা করুন। সঙ্গীর কোন কাজটি আপনার সেদিন বেশ ভালো লেগেছে, সে কথা তাকে জানান। দেখবেন মুহূর্তেই পরিস্থিতি বদলে যাবে।

সঙ্গীর সামান্য প্রশংসা করুন

সঙ্গীর মন রাখতে টুকটাক প্রশংসা করতেই পারেন। তাই না? এতে তার মুখেও হাসি ফোটে আর আপনাদের সম্পর্কের রোমান্সও অটুট থাকে। আপনি হয়তো জানেন না, অধিকাংশ সুখী দম্পতিই কিন্তু এই বিশেষ নিয়মটি মেনে চলেন।

‘ভালোবাসি’ শব্দের অনেক জোর

Advertisement

সারাদিন আপনারা দুজনেই খুব ব্যস্ত ছিলেন। তাই একে অপরের জন্যে আলাদা করে সময় বের করতে পারেননি। কিন্তু রাতে শোওয়ার আগে তো একটু সময় পেয়েছেন। এই সময়ে তাকে দুটো মনের কথা বলতে ক্ষতি কী! তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঙ্গীকে তিন শব্দের সেই বিশেষ লাইনটি আরও একবার বলে ফেলুন…‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। বিশ্বাস করুন এই বাক্যের অনেক অনেক জোর!

ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে ধরুন

যৌনতার বাইরেও সম্পর্কে ভালোবাসার ছোঁয়ার গুরুত্ব রয়েছে। সঙ্গীর স্নেহের পরশে কখনও থাকে বিশ্বাস আবার কখনও ভরে থাকে ভরসা। তাই প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে ধরতে কিংবা ভালোবেসে তার হাতটি ধরতে ভুলবেন না।

এই ৫ নিয়ম খুবই সামান্য, হয়তো আমাদের জীবন থেকে খুব বেশি সময়ও নেয় না। তাই এগুলো মেনে চলুন। দেখবেন পরিস্থিতি বদলে যাবে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

ঘুমের সময়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া বড় বিপদের কারণ হতে পারে

Published

on

মুখ

মুখ হাঁ করে ঘুমনোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। ট্রেনে-বাসে অনেককেই দেখবেন মুখ হাঁ করে ঘুমোতে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নাক দিয়ে নয়, মুখ দিয়ে চলে। চিকিৎসকেরা বলেন, ঘুমের সময়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

ঘুমের সময়ে মুখ হাঁ হয়ে যায় কেন?

স্লিপ অ্যাপনিয়া: ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তখন দমবন্ধ হয়ে আসতে থাকে। শ্বাসের গতি অনিয়মিত হয়ে যায়। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে সমস্যা হয়। আর ঘুমিয়ে পড়ার পর এমনিতেই ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল থাকে, সুতরাং হঠাৎ যদি শ্বাস প্রক্রিয়া বাধা পেয়ে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে।

হাঁপানি: অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রেও অনেকে মুখ দিয়ে শ্বাস নেন। তখন ঘুমের মধ্যে মুখ হাঁ হয়ে যায়।

সর্দি-কাশি-সর্দি, জ্বর হলে বা গলায় কফ জমলে তখন শ্বাসনালি মিউকাস জমে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রেও মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে দেখা যায় অনেককে।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, যারা সব সময়েই মুখ হাঁ করে ঘুমোন, তাদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকতে পারে। রাতে ঘুমের মধ্যে মনে হয় শ্বাস আটকে গিয়েছে। আসলে শরীরে মেদ বেড়ে গেলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভয়ের কারণ আছে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, স্থূলত্ব বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকিও বেশি। কারণ, শরীরের ভিতরে জমে ওঠা মেদের বাধায় বাতাস ভাল ভাবে ঢুকতে পারে না। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘুমন্ত অবস্থায় দম বন্ধ হয়ে আসতে থাকে। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার দরকার হয়। ঘুমের মধ্যে আপনা-আপনিই মুখ হাঁ হয়ে যায়।

কী কী রোগের ঝুঁকি থাকে?

একটানা মুখ দিয়ে শ্বাস নেন যারা, তাদের অনেকেরই ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে বিষম খান অনেকে, বুক ধড়ফড় করে। অনেকে আবার বুকে চাপ অনুভব করেন। এই সবই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়তে থাকে। যদি দেখেন দিনের পর দিন একটানা ঘুম হচ্ছে না, মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হচ্ছে, তখনই বুঝতে হবে, সেটা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। অতিরিক্ত ওজন, অধিক ধূমপান, মদের নেশা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এই ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই রোগের লক্ষণ দেখে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত