Connect with us

আইন-বিচার

নারী কোটা মানেনি কোনো রাজনৈতিক দল : আপিল বিভাগ

Avatar of author

Published

on

নেতা

৩৩ শতাংশ নারী কোটা রাখার শর্ত মানেনি কোন রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের মামলার শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগ বলেন, নির্বাচন কমিশন বার বার নোটিশ দিয়েও শর্ত মানাতে পারেনি দলগুলোকে। এসময় আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কেনো নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে চায়না ইসি। নতুন দল দিতে সমস্যা কোথায়?

এসময় ইসি জানায় অদ্ভুত অদ্ভুত নাম নিয়ে নিবন্ধন নিতে আসে দলগুলো। মানেনা শর্তও। পরে আপিল বিভাগ নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেন। বহাল রাখা হয় হাইকোর্টের আদেশ।

এর আগে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রায় দেন হাইকোর্ট, যা আপিল বিভাগেও বহাল রাখা হলো। সে বছরেরই ১৪ জুন নির্বাচন কমিশন এক নোটিশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন ও চালান জমা না দেয়াসহ কয়েকটি কারণে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধিত না করার বিষয়টি জানালে, ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আইন-বিচার

মেয়রের চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

Published

on

রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলির চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল নিহতের অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

নিহত আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলির দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় অভিযুক্তরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। এছাড়াও মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন।

অভিযুক্তদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার তার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, ২৩ জুন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার পর থেকে মেয়রকে অফিস করতে দেখা যাচ্ছে না। এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একদিন পর মামুনুল হকের জামিন

Published

on

মামুনুল-হকের-জামিন

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) সাক্ষী গ্রহণের ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হক অসুস্থ থাকায় ডাক্তার তাকে বিশ্রামের কথা বলেছিলেন। যার কারণে জেরার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা তার পক্ষে সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের সময় নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সেই পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এক হাজার টাকা বন্ডে মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিপক্ষ ইচ্ছা করেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। রায় তাদের বিপক্ষে যাবে এজন্য দেরি করছেন। যার কারণে আসামি সময় মতো উপস্থিত থাকেন না। ২৫ জুন ধার্য তারিখে সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু আসামি আসেননি। তাই আদালত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

Advertisement

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালান ও তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে।

এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সমাজকর্মী হত্যা মামলা: ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

Published

on

২০১১ সালে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার ছোট ধুশিয়া এলাকায় সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থদণ্ডও করা হয়।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মাসুম, তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোস্তফা, আব্দুল কাইয়ুম, কাইয়ুম ও তবদল হোসেন। তবদল হোসেন ছাড়া বাকিরা পলাতক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সমাজকর্মী নুরুল হক এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতেন এবং সমাজের সালিশ করতেন। মামলার প্রধান আসামি মাসুমের সাথে স্থানীয় ফরিদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মাসুম দীর্ঘদিন ধরে ফরিদ মিয়ার ১২ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করে আসছিলেন। পরে নূরুল হক সালিশের মাধ্যমে ফরিদ মিয়ার ১২ শতক জায়গা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মাসুমের বিপক্ষে রায় দেন। এই রায়ে ক্ষুব্ধ হন মাসুম।

২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লা থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সবুজপাড়া শিলদাই রাস্তায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নুরুল হকের ওপর হামলা করে। মাসুম ভল্লম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নুরুল হকের বুকে ৪ বার মারাত্মকভাবে জখম করে। তাজুল ইসলাম, মোস্তাফা, সুমন মাস্টারসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে নুরুল হকের শরীরের বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় নুরুল হক। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

Advertisement

এই ঘটনায় নিহত নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত