Connect with us

অর্থনীতি

২০২৩ তে কেমন যাবে দেশের অর্থনীতি

Avatar of author

Published

on

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আর মহামারি পরবর্তী সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটার ফল হিসেবে চলতি বছরের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভুগতে হয়েছে। একদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে ডলার সংকটে আমদানি এবং ব্যাংকিং খাতেও ছিল সংকট।

একই সাথে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এবং ই-কমার্স খাতের অনিয়ম নিয়েও আলোচনা ছিল বছর জুড়ে। এছাড়া রপ্তানি এবং বৈদেশিক আয়ের ট্রেন্ডও ছিল কিছুটা নেতিবাচক। এসব পেরিয়ে নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চ্যালেঞ্জগুলো কী হবে? আশা জাগানো খবর কি আসবে কোন খাতে?

অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম

২০২২ সাল শুরু হয়েছিল অর্থনীতিতে মহামারি উত্তর স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মাধ্যমে। কিন্তু সারা দুনিয়াতে তখন শুরু হয়ে গেছে মূল্যস্ফীতি, যা থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশও।

এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর সহসাই বিশ্বজুড়ে বেড়ে যায় জ্বালানি তেল এবং খাদ্য পণ্যের মূল্য। মূল্যস্ফীতির গ্রাফ আরো ওপরে উঠতে থাকে। এরপর খুব দ্রুতই অর্থনীতির নানা খাতে সংকট দেখা দিতে থাকে। এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখে এক পর্যায়ে জুলাই মাসে বাংলাদেশের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছে সাড়ে চারশো’ কোটি ডলার ঋণ চায়। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, ব্যাংকে ডলার সংকটসহ ২০২২ সালে যেসব সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ, তার খুব একটা পরিবর্তন হবে না ২০২৩ সালে।

Advertisement

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন বছরে নানা খাতে উন্নতি হলেও, সংকট পুরোপুরি কাটবে না। বাংলাদেশে ২০২৩ সাল শুরু হচ্ছে কিছুটা উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবে চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল আট দশমিক ৯১ শতাংশ।

কিন্তু মনসুর বলেন, এ বছর এটা কমে আসবে, কারণ বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্য কমছে, ফলে বাংলাদেশেও সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।

তবে তিনি বলেন, “ডলারের সংকট দ্রুতই কাটবে না। যদিও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের যে ভারসাম্যহীনতা সেটা কমে আসছে। কিন্তু আমাদের অনেক সমস্যার জের টানতে হবে, আমদানির ঋণপত্র বা এলসি স্থগিত হয়েছিল সেগুলো সমাধান করতে হবে। আবার ডলার সংকটের কারণে অনেকে আমদানি করতে পারছেন না, যেটা অর্থনীতির জন্য ভালো না।”

তৈরি পোশাক এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আশা জাগাবে

Advertisement

চলতি বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা রকম উত্থান-পতন ঘটেছে। ডলার সংকটে পণ্য এবং বিদ্যুৎ আমদানিতে সংকট দেখা দেয়।
ফলে সরবরাহেও ঘাটতি দেখা দেয় অনেক খাতেই।

এক পর্যায়ে সরকার কৃচ্ছতা সাধনের উদ্যোগ হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের দিকে যায়।

বিলাসদ্রব্য আমদানি সীমিত করে এবং জরুরি প্রয়োজন না হলে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। রপ্তানিতে অনেক খাত ঋণাত্মক হয়ে পড়লেও, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি ১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বছরই প্রথমবার রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুও এ বছর উদ্বোধন হয়েছে, বছরের শেষে মেট্রোরেলের আংশিক উদ্বোধন হয়েছে। এসব বিষয়ই হয়ত সামনের বছর অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি আনতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ মনে করেন, পরবর্তী বছরে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকার মধ্যেও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং তৈরি পোশাক খাত দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করবে।

Advertisement

তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর প্রভাব পড়েছে, যার একটা ফল সামনের বছরেও দেখা যাবে।

সামনের বছর এ খাতে আরো নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং তার ফল আমরা দেখতে পারবো।” “এছাড়া এতো সংকটের মধ্যেও আমাদের তৈরি পোশাক খাত তাদের বাজার ধরে রেখেছে।

এর একটা বড় কারণ আমরা একেবারে বেসিক পণ্য তৈরি করি, যার চাহিদা কমার কোন কারণ নাই। ফলে এ খাতে রপ্তানির অগ্রগতি চলমান থাকবে।”

বছরের শেষে সহনীয় হবে অর্থনীতি

ডলার সংকট ছাড়াও ২০২২ সালে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ঋণ প্রদান এবং আদায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ শোনা গেছে। নতুন বছর এসব সমস্যা মিটে যাবে—এমনটা মনে করেন না বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

তবে, ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা মনে করেন বছরের শেষ নাগাদ এ পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে।

বেসরকারি খাতের ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়রা আযম বিবিসিকে বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলার গতি হয়ত এ বছরও কমই থাকবে, তবে তিনি মনে করেন পরিস্থিতি আস্তে আস্তে সহনীয় হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, “আমরা হয়ত এ বছরও কম এলসি খুলতে পারবো, কিন্তু ব্যাংক হিসেবে আমরাও ম্যানেজ করবো, ব্যালেন্স করবো বিষয়টা।

হয়ত অনেক কম খুলবো কিন্তু আমরা ম্যানেজ করবো। আমার মনে হয় তারল্যের একটু সংকট আছে, বৈদেশিক মুদ্রারও সংকট আছে। ডলার তো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ৯০ শতাংশ ইউএস ডলার, সে কারণে আমাদের সমস্যাটা বেশি হয়।

কিন্তু আমরা সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো বলেই আমি মনে করি।”

Advertisement

বাংলাদেশে নতুন বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সব সময়ই একটা উর্ধমুখী ট্রেন্ড দেখা যায়, তার একটা প্রভাব থাকবে অর্থনীতিতে।

যদিও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বার্ষিক হার নতুন বছরে ছয় শতাংশ বা তার আশেপাশেই থাকবে বলে বলছে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আর্থিক খাতের সংস্কার এবং সুশাসন নিশ্চিত না হলে অর্থনীতির সংকট কাটানো যাবেনা। সূত্র- বিবিসি।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অর্থনীতি

বাংলাদেশকে ৮ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

Published

on

বিশ্বব্যাংক

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সেবা ও সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দু’টি প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে তারা, যা স্থানীয় মুদ্রায় আট হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৬৫ টাকা ধরে)।

বুধবার (২৯ মে) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা দিতে এই অর্থ অনুমোদন করে। ২০১৭ সাল থেকে সহিংসতার কবলে পড়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকটগুলোর মধ্যে একটি।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, আমরা প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করি। আমরা স্থানীয় আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপের বিষয়টিও উপলব্ধি করি। এই সংকট ইতোমধ্যে সাত বছরে পদার্পণ করেছে এবং তাদের স্বল্পমেয়াদি ও জরুরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। আমরা এই জটিল সংকট মোকাবিলায় এবং রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

সংকটের সাত বছরে পদার্পণের এই সময়ে ৩৫ কোটি ডলারের “ইনকুলুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন (আইএসও)” প্রকল্প এবং ৩৫ কোটি ডলারের “হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অফ লাইভস (হেল্প)” প্রকল্প দুটি বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের “আইডিএ-২০ উইন্ডো ফর হোষ্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস”-এর আওতায় অনুদান হিসেবে এই অর্থায়ন করা হবে।

Advertisement

“ইনকুলুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন” প্রকল্পটি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জীবিকা ও অপরিহার্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডার সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবার জন্য বিনিয়োগ করবে। প্রকল্পটি ১২ বছরের কম বয়সী তিন লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষা দেয়াসহ মানব পুঁজি উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।

আইএসও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার এস. আমের আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাস্তুচ্যুতির যে সংকট মোকাবিলা করছে, সেটি আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী হোক আর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীই হোক, শেষ পর্যন্ত মানুষকে সহায়তার চ্যালেঞ্জ। আইএসও প্রকল্প অস্থায়ী কাজ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবা প্রদানে বিনিয়োগ করতে, সুরক্ষা দিতে এবং মানব পুঁজি ব্যবহার করতে উভয় জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করবে।

“হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)” প্রকল্প রোহিঙ্গা এবং আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ছয় লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মৌলিক সেবাসমূহ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাবে এবং তাদের সহিষ্ণুতা বাড়াবে। পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন; জলবায়ুসহিষ্ণু সড়ক; নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের জরুরি বিনিয়োগ চাহিদা ও মেটাতে সাহায্য করবে, যা উৎপাদনশীল জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি সরকার এবং জনগণ উভয় পর্যায়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষতা তৈরিতেও গুরুত্ব দেবে।

হেল্প প্রকল্পের বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার স্বর্ণা কাজী বলেন, দুর্যোগ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী খুব ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করে এবং তারা সামান্য মৌলিক সেবা পেয়ে থাকে। তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীও চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের সীমিত সম্পদের ওপর বাড়তি চাপ অব্যাহত রয়েছে। “হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)” প্রকল্পটি অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামোর সহিষ্ণুতা জোরদারে বিনিয়োগ করবে এবং এগুলোকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণ করতে ও টেকসই রাখতে কাজ করবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে থাকা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু এবং তাদের অর্ধেকের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দু’টি প্রকল্পই নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ওপর সংকটের ভিন্ন ধরনের প্রভাবকে বিবেচনায় রেখেছে। জেন্ডার- ভিত্তিক সহিংসতা; নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার-স্পর্শকাতর ও জলবায়ু সহিষ্ণু স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, নিরাপত্তার জন্য সৌর বিদ্যুতের সড়ক বাতি এবং কমিউনিটিভিত্তিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর নারীদের জন্য প্রশিক্ষণসহ নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে প্রকল্প দু’টিতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম রয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধু সেতুর সার্ভিসিংয়ে ১২৮ কোটি টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ

Published

on

বঙ্গবন্ধু-সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতুর পট বিয়ারিং এবং শক ট্রান্সমিশন ডিভাইস বা সিসমিক ডিভাইস প্রতিস্থাপন করতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪ টাকা।

সোমবার (২৭ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য পট বিয়ারিং এবং শক ট্রান্সমিশন ডিভাইস বা সিসমিক ডিভাইস প্রতিস্থাপন (সরবরাহ, ইনস্টলেশন, পরীক্ষা ও কমিশনিং) শীর্ষক কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

তিনি জানান, যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে সেকেন্ড হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন। এতে মোট ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৮ সালে উন্মুক্ত করা সেতুর লাইফ সার্ভিস ২৫ বছর অতিক্রম করেছে। সার্ভিস লাইফ টাইম চলে গেছে। এখন সার্ভিস করা দরকার। এজন্য পট বিয়ারিং এবং শক ট্রান্সমিশন ডিভাইস বা সিসমিক ডিভাইস প্রতিস্থাপন করতে হবে।

Advertisement

সচিব জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের আওতায় ভারতের অর্থায়নে কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে সরকার (নির্মাণ তত্ত্বাবধান, প্রকিউরমেন্ট সহায়তা)।

সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বাংলাদেশের সেরাম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের মেইনহার্ট প্রাইভেট লিমিটেড, কোরিয়ার পিয়ংঘওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট লিমিটেড, বাংলাদেশের দেব কনসালট্যান্টস লিমিটেড, তারেক হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড (সাব-কনসালট্যান্ট) ও নলেজ ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট (কেএমসি) লিমিটেড (সাব-কনসালট্যান্ট)। এতে মোট ব্যয় হবে ৪১ কোটি ০৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৭ টাকা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সেতুর উদ্বোধন করেন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

একনেকে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

Published

on

প্রধানমন্ত্রী,-একনেক

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গা উন্নয়নসহ ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একনেক সভা। এতে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

সভাশেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, সভায় রোহিঙ্গা উন্নয়নসহ ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১১টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

এছাড়া প্রকল্পের বাস্তবায়নে গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে বহুমুখী চিন্তা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী রোববারের (২ জুন) মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে হবে। পাশাপাশি যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত