অপরাধ
শাহজালালে স্বর্ণের বারসহ একজন গ্রেফতার
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুটি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মো. আবু বকর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইলেক্ট্রিশিয়ান কর্মচারী।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা কাস্টমস প্রিভেনটিভ কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টমস হাউসের প্রিভেন্টিভ টিমের ডেপুটি কমিশনার মো. আব্দুস সাদেক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানতে পারেন, বিমানবন্দরে আউট সোর্সিংয়ে কর্মরত একজন কর্মচারীর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হবে। পরে প্রিভেন্টিভ টিমে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে নজরদারী করতে থাকে। তখন ইলেকট্রিশিয়ান মো. আবু বকর গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম কালে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। তাকে থামানো হয় এবং তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
পর্রবর্তীতে তার নিকট কোন স্বর্ণবার আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বর্ণ থাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন। এসময় তাকে আর্চওয়ে (স্ক্যান) করানো হলে তার দেহে ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর তার প্যান্টের ভেতর লুকিয়ে রাখা ১১৬ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণবার ও একটি আইফোন-১২ প্রো বের করে দেন ।
জব্দ কারা স্বর্ণ ও আইফোনের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। উদ্ধারকৃত স্বর্ণবার ও আইফোন রাষ্ট্রীয় গুদামে জমা দেয়া হবে এবং এসব পণ্যের বিষয়ে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চোরাচালানের অভিযোগে আটক ইলেকট্রিশিয়ানকে থানায় সোপর্দ করে ফৌজদারী মামলা করার পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এএ
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ১৫৩৫ পিস ইয়াবা, ৬২.৫ গ্রাম হেরোইন, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
কেএস/
অপরাধ
ছাদ ফুটো করে কারাগার থেকে পালালো ৪ ফাঁসির আসামি
বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে দেয়াল পার হয়ে পালিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি। তবে সকালে তাদের কারাগারের আশপাশের এলাকা থেকে আবারও ধরা হয় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ আসামি হলেন- কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মো. আমির হামজা (৩৮), বগুড়ার ফরিদ শেখ (২৮) ও মো. জাকারিয়া (৩১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে খবর আসে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে চারজন মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। এই খবর পাওয়া মাত্র বগুড়া সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্নস্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সদরবাড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষি বাজার থেকে চারজনকে আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই চারজনই কারাগার থেকে পালানো সেই চার আসামি। এরপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।
সকালে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, পৃথক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি একই কনডেম সেলে ছিলেন। সেখানে থেকেই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে তারা নিজেদের বিছানার চাদর ছিড়ে দড়ি বানান। এরপর কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে সেলের বাইরে বের হন। আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে কারাগারের বিল্ডিং থেকে নিচে নামেন। এরপর কারাগারের পূর্ব পাশে করতোয়া নদীর ব্রিজের নিচে দিয়ে ওই চারজন পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই খুব দ্রুততম সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
টিআর/
অপরাধ
মতিউর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক-বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের আটটি ব্যাংক হিসাব ও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শেয়ার বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
চিঠিতে যাদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফান।
এতে, আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এলে তাকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
আই/এ
- বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ7 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
- বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
- টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
- বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
- অপরাধ1 day ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা