লাইফস্টাইল
যত্নে রাখুন বাড়ির গিজারটি
শীতে জুবুথুবু হয়ে আছে পুরো দেশ। চলছে হাড় কাঁপানো শীত। এমন আবহাওয়ায় গোসলের সময় ঠান্ডা পানির কথা ভাবলেই সকলের গায়ে জ্বর আসে। শুরু হয় গোসলের আগে পানি গরম করার ঝক্কি। আর গ্যাসে পানি গরম করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আর তাড়াহুড়ো থাকলে তো কথাই নেই। পানি গরম করাটাও হয়ে ওঠে একটি বড় সমস্যা। তাই এই সময়ে মুশকিল আসানের অন্যতম হাতিয়ার হল গিজার অথবা ইলেক্ট্রিক ওয়াটার হিটার।
বাজারে এখন নানান আকারের এবং দামের গিজার পাওয়া যায়। সাধারণত লিটার ভেদেই এর মূল্য নির্ধারিত হয়। গ্যাস অথবা ইলেক্ট্রিক, বেছে নিতে পারেন যে কোনও ধরনের ওয়াটার হিটার। যদিও বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ইলেক্ট্রিক গিজারের ব্যবহারই বেশি দেখা যায়। গিজার যেহেতু একটি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, তাই কেনার সময় অবশ্যই এর সুরক্ষা সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন।
শীতকালেই যে শুধু গরম পানির প্রয়োজন হয় তা নয়। প্রায় সারা বছরই পরিবারের শিশু ও প্রবীণ সদস্যদের গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহার হয়। আর চটজলদি গরম পানি করে নিতে গিজারের জুড়ি মেলা ভার। তবে শীতকালেই এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। তবে, নিরাপদে গিজার ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ। কী ভাবে করবেন গিজারের রক্ষণাবেক্ষণ, রইল তারই কিছু টিপস-
নতুন গিজার লাগানোর সময় সঠিক ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ হয়েছে কি না অথবা গিজারের পাইপের সংযোগ ঠিক হয়েছে কিনা সেই দিকে নজর রাখুন। পাইপগুলি আয়রনের হলে বেশি ভাল হয়।
আজকাল বেশিরভাগ গিজার এমনভাবে তৈরি যে পানি গরম করার পরে সেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যাদের পুরনো গিজার রয়েছে, তাদের নিজেদের বন্ধ করতে হবে। ফলে খেয়াল রাখতে হবে কখন গিজার বন্ধ করবেন।
গিজারে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পানি গরম হয়ে যায়। খেয়াল রাখুন তা হচ্ছে কি না। না হলে বুঝবেন গিজারে কোনও গোলযোগ হয়েছে।
পানি গরম হয়ে গেলে গিজারটি বন্ধ রাখুন। এতে যেমন বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে, তেমনই গিজারটিও দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে।
পানি গরম হয়ে গেলে সম্পূর্ণ পানি গিজার থেকে বের করে নিন। পানি মজুত হতে থাকলে গিজারে আয়রন জমে গিয়ে তা দ্রুত বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ত্রুটিযুক্ত গিজার থাকলে তা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। না হলে এটি ব্যবহারের ফলে বিপদ ঘটতে পারে।
বাথরুমে একটি এগজস্ট ফ্যান লাগাতে ভুলবেন না। গিজারে একটি গ্যাস রয়েছে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। তাই গিজার লাগালে বাথরুমে একটি এগজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে। ফ্যান লাগালে গ্যাস জমতে না পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই গ্যাস শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
বাথরুমে সবসময় গিজারটি এত উঁচুতে রাখুন যাতে আপনার ছোট বাচ্চারা কোনওভাবে পৌঁছতে না পারে। বেশি উচ্চতায় এগুলি ফিট করা হয় মূলত শিশুদের নাগালের বাইরে রাখার জন্য।
লাইফস্টাইল
শরীর হিমশীতল রাখতে ৫ মশলার বাজিমাত
গ্রীষ্মের সময় খাবারে তেল মশলা এড়িয়ে চলা উচিত। বেশিরভাগ মানুষই তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তবে জানেন কী, রান্নাঘরের বেশ কয়েকটি মশলাই হয়ে উঠতে পারে গরমের বিরুদ্ধে অস্ত্র। প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া এই সাধারণ মশলাগুলি শরীরের একাধিক উপকারের পাশপাশি শরীরে ঠান্ডা রাখে।
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রায় প্রত্যেকেরই। প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। ফলে এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মশলায়।
জিরা
জিরা প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে। রান্নার অপরিহার্য এই মশলা শরীরের জন্যেই অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়।
মৌরি
গরমের মৌসুমে মৌরি খুবই উপকারী। মৌরির একটি শীতল প্রভাব আছে। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটি শরীরকে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো উপাদানও মৌরিতে পাওয়া যায়।
ধনে
একাধিক গুণে সমৃদ্ধ ধনেও। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে এটি শরীরকে ডি-হাইড্রেশন থেকেও রক্ষা করে। ধনে বীজের নির্যাসটিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক। এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এলাচ
শরীর ঠান্ডা রাখতে এলাচেরও জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডিটক্সিফাইও করে এলাচ। এলাচের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
পুদিনা
পুদিনা শুধুমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি গরমে খাওয়া খুবই ভাল। কারণ পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
লাইফস্টাইল
চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ
অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।
থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”
পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।
প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
চুলের অযত্ন: চুলে রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।
বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
কেএস/
লাইফস্টাইল
দাঁতের কালো কালো ছোপ দূর করতে যা যা করবেন
অনেক চেষ্টার পরও দাঁতের কালো ছোপ যাচ্ছে না? খরচের ভয়ে স্কেলিং করাতে পারছেন না? সমস্যা নেই। এবার ঘরোয়া উপায়েই দাঁত হবে সুন্দর। ফিরে পাবেন হারানো উজ্জ্বলতা। শুখু মাথায় রাখুন কয়েকটা টিপস।
ঝকঝকে সাদা দাঁত সবারই চাই। কিন্তু সারাদিন বিভিন্ন খাবার খাওয়া, আর তারপর ভালো করে মুখ না ধোয়া বা নিয়ম মেনে ব্রাশ না করার ফলে সাদা দাঁতে পড়তে থাকে হলুদ-কালো ছোপ।
- এই দাগ ছোপ দূর করতে এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হলুদ গুঁড়া। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে ব্রাশ করুন। এরপর পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে নিন। ফিরবে দাঁতের উজ্জ্বলতা।
- লনণ ও তেলের মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোঁটা সরষের তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁতে ঘষুন। ফল পাবেন নিমেষেই।
- ঝকঝকে দাঁত পেতে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এক চিমটি লবণের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, এই মিশ্রণই কাজ করবে ম্যাজিকের মতো, দাঁত হবে সাদা।
- এছাড়া দাঁত সাদা করতে কমলা লেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্ত হবে। দূর হবে মুখের দুর্গন্ধও।
কেএস/
- আইন-বিচার7 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি7 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়6 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- অপরাধ7 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড4 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার5 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন