Connect with us

জাতীয়

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন শফিউদ্দিন আহমেদ

Published

on

সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এর আগে গত ১০ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়াহিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সালে মোজাম্বিকে ১৬ মাস শান্তিরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৪-১৬ পর্যন্ত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসামান্য কর্মদক্ষতা প্রদর্শনের জন্য এসআরএসজি কর্তৃক সাইটেশন প্রাপ্ত হোন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমআইএসটি হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজে এমফিল সম্পন্ন করেন।

Advertisement

জেনারেল শফিউদ্দিন বর্তমানে বিইউপিতে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তার কর্মজীবনে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়াদি, শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সম্পর্কিত বিভিন্ন সেমিনার, সম্মেলন, কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছেন। দেশ ও বিদেশের জার্নালে তার স্বনামধন্য আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য দেশসমূহ মোজাম্বিক, সোয়াজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, চায়না, ইউএসএ, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, নেপাল, কুয়েত, মালদ্বীপ, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, মরক্কো, কঙ্গো, জার্মানি, ফ্রান্স, কেনিয়া, ইউনাইটেড আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড।

সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, ১৯৬৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুলনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর নবম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।

সামরিক কর্মজীবনে স্টাফ, প্রশিক্ষক এবং কমান্ড নিযুক্তিতে কর্মরত ছিলেন। জেনারেল শফিউদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশনসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী অপারেশনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মাল্টিন্যাশনাল ফোর্স কমান্ডার হিসেবে প্রথম বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন কমান্ডের অনন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন অফিসার। কমিশন পরবর্তী Counterinsurgency অপারেশন এলাকায় যোগদানপূর্বক তিনি তার সামরিক কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে Counterinsurgency অপারেশন এলাকার পদাতিক ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বিভিন্ন ফরমেশন সদর দপ্তরে সিনিয়র অপারেশনাল এবং প্রশাসনিক স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ প্রশিক্ষক হিসেবে ক্যাডেট কলেজ ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সদর দপ্তর আর্টডকের চিফ অব ডকট্রিন ডিভিশন এবং সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ সালের ৭ মে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সফলতার সঙ্গে ডিভিশন কমান্ড শেষে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন জাতিসংঘ সদর দপ্তর কর্তৃক মিনুস্কাতে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত লাভ করেন।

Advertisement

লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন বর্তমান পদবিতে পদোন্নতি লাভের পূর্বে এনডিসি এর এসডিএস (আর্মি-১) এবং লজিস্টিকস এরিয়ার জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেনারেল শফিউদ্দিন গত ২৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে জিওসি হিসেবে আর্টডকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জেনারেল শফিউদ্দিন দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। তিনি চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (এনডিইউ)'তে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে তিনি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ কোর্স, এনডিইউ, চায়না সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

Advertisement

জাতীয়

পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

Published

on

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চে উঠেন তিনি।

পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভাপতির বক্তব্য রাখবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপরই প্রধান অতিথির ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আগমণে প্রস্তুত এখন মাওয়া। চারদিকে সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করলেন পদ্মা তীরের মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমণে উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ।

আজ থেকে ২৩ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেখানেই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করবেন তিনি। এখন দিনরাত  পদ্মার বুক চিরে চলছে ট্রেন ও যানবহন । যে স্বপ্ন ধারণ করে গড়ে উঠেছিল পদ্মা সেতু, সেই স্বপ্নের বাস্তবতা এখন প্রচন্ডভাবে দৃশ্যমান আজ পদ্মার বুকে। সেতুর দুই তীরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র, শিল্প স্থাপন এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

Advertisement

সেতুর সড়ক ও রেল পথের সুফল ছাড়াও হাইভোল্টের লাইনে রামপাল ও পায়রার বিদ্যুৎ আসছে রাজধানী ঢাকায়। মিলছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং ফোন সুবিধাও। নদী শাসনে বন্ধ এখন পদ্মার ভাঙ্গন। দ্যুতি ছড়াচ্ছে সেতুর ৫টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। আর সেতু জুড়ে ৭৬০ মিলিমিটার ব্যসের গ্যাস লাইনও প্রস্তুত। সব কাজই শেষ এখন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ফের পুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

Published

on

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি সই করা প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে তার পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে আগামী ১২ জুলাই ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশ-এর পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রথম দফায় আইজিপি হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়েছিল সরকার।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

Advertisement

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। গত বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে ফের নির্বাচিত সুনামগঞ্জের মেয়ে আফসানা

Published

on

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এবারের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আফসানা বেগম।

তিনি জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিনের মেয়ে।

জানা যায়, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় আফসানার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাংলাদেশে তাদের আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। তার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের সিভিক মেয়র ছিলেন। তিনি ছিলেন জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা। আফসানা লেবার পার্টির লন্ডন রিজিয়ন শাখার সদস্য। দলটির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সহ সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আবাসন বিভাগে কর্মরত।

জয়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, কট্টরপন্থার বিরোধিতা বা অভিবাসী অধিকারের পক্ষে কথা বলা হোক- আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সমস্যাই হোক না কেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসের জনগণের পক্ষে দাঁড়াব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন আফসানা বেগম। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এমপি আফসানা বেগম।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত