Connect with us

ফিচার

রহস্যময় দুই সবুজ শিশুর গল্প!

Avatar of author

Published

on

ঘটনাটি যে সময়কার তখন ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন স্টিফেন (১১৩৫-১১৫৪)। দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে সাফোকের উলপিট নামের একটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে হঠাৎ করেই দেখা যায় দারুণ চাঞ্চল্য। হবেই বা না কেন? চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত দুটি মানব শিশুর গায়ের রঙ যদি হয় সবুজ, তবে সবার পিলে চমকে যাবে বৈকি!

তখন ছিল ধান চাষের সময়। মাঠে কাজ করতে থাকা কৃষকদের সামনে দিয়ে জঙ্গলের পথ ধরে গ্রামের দিকে হেঁটে আসে দুটি ছোট ছেলে-মেয়ে। সাধারণত সবাই জানতো ওই জঙ্গলে নেকড়ে ছাড়া আর কিছু থাকে না। সেই ঘন জঙ্গল থেকে যখন দুটি মানব শিশু বের হয়ে আসে, তখন স্বভাবতই তাদের নিয়ে সবার উৎসাহ একটু বেশিই ছিল। তার উপর তাদের সবুজ গায়ের রঙ এবং উদ্ভট পোশাক দেখে বেশ ভালোই অবাক হয় গ্রামবাসী।

কথা বলতে গিয়ে ঘটে আরেক মুসিবত! এমন এক ভাষায় কথা বলছিল বাচ্চা দুটো যে তার একটি অক্ষরও বুঝবে এমন সাধ্য কার আছে! কোত্থেকেই বা তারা আসলো আর যাবেই বা কোথায়- কিছুই জানা সম্ভব হচ্ছিল না গ্রামবাসীর পক্ষে।

শিশু দুটিকে সাথে সাথেই নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জমিদার স্যার রিচার্ড ডি কেনের কাছে। তবে সেখানে গিয়ে বেশ কিছুদিন কিছু খেতে অস্বীকৃতি জানায় বাচ্চা দুটো। পরবর্তীতে মটরশুঁটি আর কাঁচা শিম এনে দেয়া হলে বেশ আগ্রহ নিয়েই খায় তারা। মজার বিষয় হলো সাধারণ মানুষের সাথে মিশে, তাদের সাথে চলতে চলতে নিজেদের গায়ের সবুজ বর্ণের পল্লব আস্তে আস্তে হারাতে থাকে দুই ভাই-বোন। তবে পরিবর্তিত এই পরিবেশে অভ্যস্ত হতে পারে না ছেলেটি। ধীরে ধীরে যতই সময় এগিয়ে যেতে থাকে ততই যেন বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে বাচ্চাটিকে। দুজনের মধ্যে সে-ই ছিল ছোট। ছেলেটির এই মানসিক বিষণ্ণতা থেকে জন্ম নেয় বিভিন্ন অসুখ এবং খুব দ্রুতই মৃত্যুর মুখে পর্যবসিত হয় বাচ্চাটি।

অপরদিকে মেয়েটি নতুন জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করে এবং অচিরেই খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়। গ্রামে বসবাসরত একটি পরিবার তার দায়িত্ব নেয় এবং তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে শেখার পর তাকে তার অতীত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। সে অবশ্য নিজের সম্পর্কে খুব সামান্যই বলতে পেরেছিল। মেয়েটির সম্পর্কে একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, “Rather loose and wanton in her conduct” অর্থাৎ পরিবেশের সাথে কোনোমতে খাপ খাইয়ে নিলেও তার আচরণে অমনোযোগিতা ও উদাসীনতা বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা যায়।

Advertisement

মেয়েটির কথা থেকে যা যা জানা যায় তা অনেকটা এরকম-

শিশু দুটি ভাই-বোন ছিল।

তারা এসেছিল ‘সেন্টমার্টিন’ থেকে।

সেই জায়গাটি সব সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো।

সেন্টমার্টিনের সব অধিবাসীর গায়ের রঙ সবুজ ছিল।

Advertisement

মতান্তরে জানা যায়, মেয়েটি এমন একটি গ্রামের কথা জানায় যেখানে সর্বদা চোখ ধাঁধানো আলো থাকত। গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে চলা এক নদীর কথাও সে মনে করতে পেরেছিলো।

মেয়েটি গ্রামবাসীকে জানায়, তারা দুই ভাই-বোন একদিন তাদের বাবার গরু খুঁজতে ফসলের ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলো। হঠাৎ করে পাশের গুহা থেকে এক অদ্ভুত ঘণ্টার শব্দ শুনতে পায় তারা। খুব জোরে জোরে ঘণ্টার শব্দ হওয়ায় চমকে যেয়ে শব্দের উৎস খুঁজতে থাকে তারা। গুহার মধ্যে ঢুকে হারিয়ে যায় দুই ভাই-বোন। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় গুহার অপর প্রান্তে এসে পৌঁছায় তারা। প্রখর সূর্যের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় দুজনের।

হতবুদ্ধি অবস্থায় বেশ অনেকক্ষণ গুহার মুখে শুয়ে থাকে বাচ্চা দুটো। আস্তে আস্তে কৃষকদের কাজ করার শব্দ কানে আসলে সেদিকে হাঁটতে শুরু করে তারা। সব কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় গ্রামের লোকজন। কোন সে গ্রাম যেখানে সবুজ গাত্রবর্ণের অধিবাসীরা বাস করে তা খুঁজতে বের হয়ে যায় অভিযাত্রীর দল। কিন্তু মেয়েটির নির্দেশনা মোতাবেক গিয়ে নদী ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায় না তারা। বড় হয়ে মেয়েটি নর্টফোক রাজ্যের কিং’স লিনের এক যুবককে বিয়ে করে যিনি ছিলেন রাজা দ্বিতীয় হেনরির মুখপাত্র। বলা হয়, পরবর্তী জীবনে মেয়েটি ‘আগনেস বাড়ৈ’ নাম ধারণ করে।

অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা দেখলে তা নিয়ে লোকমুখে গল্পের ডালপালা ছড়াবে এটা যেন চিরন্তন সত্যে পরিণত হয়েছে। এই শিশুকে নিয়েও প্রচলিত আছে বেশ কিছু মুখরোচক কাহিনী। কেউ কেউ বলেন বাচ্চা দুটো ছিল নরফোকের এক জমিদার বা আর্লের অভিভাবকত্বে। তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে শিশুদের শরীরে আর্সেনিক প্রয়োগ করে আর্ল। বিষের প্রভাবে দুই অনাথ শিশুর গায়ের রং হয়ে যায় সবুজ। কথাবার্তাও হয়ে যায় অসংলগ্ন। পরবর্তীতে সেখান থেকে পালিয়ে উলপিটে চলে আসে শিশু দুটি।

কারো কারো মতে, বাচ্চা দুটি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগছিল। তৎকালীন সময়ে এই অসুখটিকে বলা হত ‘গ্রীন সিকনেস’। এই রোগের সাথে স্বল্প পরিচিত লোকজন সাদা, কালো আর তামাটে ছাড়া একেবারেই ভিন্ন গায়ের রঙের দুটি শিশুকে দেখে হইচই ফেলে দেয় সর্বত্র। এমনকি তাদের ভিনগ্রহের বাসিন্দা বলতেও ছাড়েননি কেউ কেউ!

Advertisement

রূপকথার গল্পকে হার মানিয়ে দেয়ার মতো বাস্তব এই ঘটনাটি নিয়ে ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন সময় বেশ গুরুত্বসহকারে নানা ধরনের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ঐতিহাসিক পল হ্যারিসের মতে, ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরি ও তার বিরোধী শক্তি রবার্ট ডি বিউমন্টের মধ্যে ১১৭৩ সালের দিকে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে প্রাণ হারান অসংখ্য ফ্লেমিশ বা বেলজিয়ামের অধিবাসী। যুদ্ধস্থানটি ছিল সেন্ট অ্যাডমুন্ডসের উত্তরে। সেই যুদ্ধের সময়ে কোনো এক ফ্লেমিশ পরিবার হয়তো সেন্টমার্টিন গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে উলপিট গ্রামের একটি নেকড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। দিনের পর দিন অন্ধকার ও খাদ্যাভাবে থাকার কারণে বাবা-মা মারা গেলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিশু দুটি। ফ্লেমিশ জামা-কাপড়ের সাথে পরিচয় না থাকায় উলপিটবাসীর কাছে তা উদ্ভট মনে হয়েছিল। আর বেলজিয়ামের সাথে কোনো যোগাযোগ না থাকায় ফ্লেমিশ ভাষা তারা বুঝবে বা জানবে এমন কোনো কারণও নেই। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত না খেয়ে থাকতে থাকতে বাচ্চা দুটোর শরীরে ক্লোরোসিস তৈরি হয়েছিল বলে তাদের গায়ের রঙ গাছের পাতার মতো সবুজাভ হয়ে যায়। সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহে ক্লোরোফিল নিঃসরণের মাত্রা কমে গিয়ে ক্লোরোসিস তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো বাচ্চা দুটোর গায়ের রঙ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্বীকৃত এই কারণগুলো শিশু দুটিকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের জাল গুটিয়ে আনে আস্তে আস্তে। বাস্তব জগতেরই এই দুই বাসিন্দা ভয়ে, আতঙ্কে আর অনাহারে নিজেদের শিশুমনে তৈরি করে নেয় রূপকথার রাজ্যের এক কল্পলোক যেখানে সবার গায়ের রঙই সবুজ বলে মনে করে তারা।

উলপিটের এই রহস্যময় শিশু দুটিকে নিয়ে ইংরেজি সাহিত্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এই সবুজ শিশুদের নিয়ে যেসব গল্প, কবিতা লেখা হয়েছে তার মধ্যে ইংরেজ কবি হার্বার্ড রিডের ‘ইংলিশ প্রোস স্টাইল’ (১৯৩১) ও ‘দ্য গ্রিন চাইল্ড’ (১৯৩৪) এবং কেভিন ক্রসলির ‘দ্য গ্রিন গার্ল’ (১৯৯৪) অন্যতম।

উলপিটের এই সবুজ শিশুদের নিয়ে হাজারো মুখরোচক কাহিনী প্রচলিত আছে। অদ্ভুতুড়ে এই জগতে আসলে কখন যে কোন কারণে কী ঘটে তার মীমাংসা করার মতো ক্ষমতা কি প্রকৃতি আমাদের আজও দিয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও উলপিটে গেলে আজও দেখা মিলবে সবুজ দুই ভাইবোনের। উলপিটের মানুষ তাদের ভোলেনি। পার্ক এবং স্থানীয় গির্জায় গেলে দেখা পাওয়া যায় রহস্যময় সেই দুই শিশুর মূর্তির। মানুষের মুখে মুখে ফেরা মধ্যযুগীয় লোকগাথা কিংবা বাস্তবতার মূর্তিমান প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভাস্কর্যগুলো।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Avatar of author

Published

on

আলিঙ্গন

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আলিঙ্গন

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Avatar of author

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Avatar of author

Published

on

মালিহা-ফাইরুজ

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

মালিহা-ফাইরুজ

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

মালিহা-ফাইরুজ

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়39 seconds ago

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর...

হাইকোর্ট হাইকোর্ট
আইন-বিচার24 mins ago

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।   সোমবার (৬ মে) এ রায় দেন আদালত।   বিস্তারিত আসছে…Advertisement

ভাই ভাই
অপরাধ30 mins ago

নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর শিবপুরে নিজঘর থেকে সোনিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) সকালো উপজেলার বংশিরদিয়া...

ডেঙ্গু ডেঙ্গু
জাতীয়2 hours ago

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসে ৫০ হাজার টাকা পাচ্ছেন কাউন্সিলররা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিমাসে ডিএনসিসির সব কাউন্সিলররা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। বললেন ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশন মেয়র...

অপরাধ2 hours ago

মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব নিচ্ছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন

মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিচ্ছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে...

জাতীয়3 hours ago

সম্পদ বৃদ্ধিতে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে চেয়ারম্যানরা: টিআইবি

জাতীয় নির্বাচনের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়িক প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা (এমপি) পেছনে...

জাতীয়3 hours ago

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাড়ছে ব্যবসায়িক প্রার্থীদের দাপট: টিআইবি

জাতীয় নির্বাচনের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়িক প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে রাজনৈতিক লড়াই হবার কথা থাকলেও সেখানে...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ4 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার  ২৭

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

বাংলাদেশ ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আইন-বিচার4 hours ago

আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ

আবারও পেছানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ...

আমানউল্লাহ-আমান আমানউল্লাহ-আমান
আইন-বিচার5 hours ago

বিদেশ যেতে আপিল বিভাগের অনুমতি পেলেন আমান

চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আপিল বিভাগের  অনুমতি পেয়েছেন ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান। আদেশে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা...

Advertisement
ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী
আন্তর্জাতিক4 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

তথ্য-প্রযুক্তি3 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢাকা6 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

অপরাধ5 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

দেশজুড়ে5 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

পরামর্শ4 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

ঢালিউড4 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

টুকিটাকি7 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ঢালিউড4 days ago

‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’

ঢালিউড4 days ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

উত্তর আমেরিকা2 weeks ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি2 months ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত