Connect with us

ঢাকা

গাজীপুরে ঋণের চাপে চা বিক্রেতার আত্মহত্যা

Avatar of author

Published

on

চা বিক্রেতা

গাজীপুরের শ্রীপুরে ঋণের চাপে নিজ দোকানে এক চা বিক্রেতা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত ব্যক্তি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার জলিল পাড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন (৫০)। তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের জুলহাস মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে জৈনা বাজারে চা বিক্রি করতেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ২টার পর নিজ দোকানে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর থানাধীন চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া।

নিহতের বড় ছেলে আব্দুর রহিম (২৫) জানান, গত ১০ বছর যাবত তার বাবা আমজাদ হোসেন শ্রীপুরে আছে। প্রায় ৭-৮ বছর জৈনা বাজারে চা বিক্রি করেন। তার সঙ্গে ছেলে সহযোগিতা করে। তিনি কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত সুদে টাকা ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাদের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য কয়েক দিন যাবত ঋণ দাতারা তাকে চাপ দিচ্ছিলেন।

মঙ্গলবার রাত ২টায় কেনাবেচা শেষে বাবা-ছেলে দোকানেই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত ৪টার দিকে ছেলের ঘুম ভাঙলে সে তার বাবাকে গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে।

Advertisement

এসআই মিন্টু মিয়া জানান, বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চা বিক্রেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

শিশু

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রাম রোডের ফ্লাটে বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবে আমেনা আক্তার নামে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর বারোটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আমেনা ফেনী সদরের শিলুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে তাজুল ইসলাম পরিবার নিয়ের ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি বাসায় বসবাস করতেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শিশু আমেনা ছিল সবার ছোট।

শিশুর মা খোদেজা আক্তার বলেন, তিনি নাস্তা বানাচ্ছিলেন। এসময় সবার অগোচরে শিশু আমেনা খেলতে খেলতে বাথরুমের পানিতে পড়ে যায়, তবে সেটি তারা কেউই খেলায় করেননি। নাস্তা বানানো শেষে তিনি মেয়ে আমেনাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বাথরুমের বালতির পানিতে উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন কন্যা আমেনাকে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান আমেনা আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশু আমেনার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ছেলের শখ পূরণে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন বাবা

Published

on

ছেলের-হেলিকপ্টারে-বিয়ে

ছেলের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা মোল্লা। শুক্রবার (১৮ মে) এ ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের।

মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষকের ছেলে আবু মুসা শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভাটেরচর গ্রামে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, মো. মোস্তফা মোল্লা ছেলের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ বাড়িতে আনার উদ্যোগ নেন। বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জের মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদারে মেয়ে খাদিজা আক্তার ওরফে ময়নার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল আজ।

তাকে ঘরে তুলে আনতে ঢাকা থেকে ১ লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ওই হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে যান বর আবু মুসা। বিকেলে বউ নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে।

ভাটেরচর গ্রামের যুবক জোবায়ের ও সায়মন শাহাদাত নামে দুই যুবক জানান, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টারে চড়ে কেউ বিয়ে করতে যাননি। এ জন্য হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে তারা এসেছেন। মাঠে হেলিকপ্টার নামার পর থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এ অঞ্চলে এমন বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কেউ হেলিকপ্টারে বিয়ে করেনি।

Advertisement

কনে খাদিজা আক্তার ময়না বলেন, সচরাচর হেলিকপ্টারে বিয়ে হয় না। বর আমাকে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে।

কনের বাবা মো ফিরোজ শিকদার বলেন, মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের ইচ্ছাতে হেলিকপ্টারে বরযাত্রী এসেছে। আমরাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। খুব ভালো লাগছে।

বরের ছোট ভাই ইসা বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি আমারও খুব বেশি ইচ্ছা ছিল ভাইকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাব। সেই ইচ্ছাটা আজ পূরণ হলো। ওদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সবাই দোয়া করবেন।

গজারিয়া থানা ওসি মো. রাজিব খান বলেন, একটি বিয়ের জন্য ভাটেরচর গ্রামে হেলিকপ্টার নামবে এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

Published

on

মরদেহ

রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কাজী মোহাম্মদ আরিফিন (২৭) নামে এক যুবক।

আরিফিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার জলগাঁও গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁও তালতলার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (১৮ মে) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ৯টার দিকে ওই যুবকের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ভোরের দিকে খিলগাঁও তালতলার জামতলার ৭তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান ওই ব্যক্তিটি আর বেঁচে নেই।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি  ওই ব্যক্তি পেশায় রেন্ট এ কারের চালক ছিলেন। পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গতরাতে ২টা থেকে ৩টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন আরিফিন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত