করোনা ভাইরাস
ডেল্টা ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১শ’ দেশে: ডব্লিউএইচও
ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনটি ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১০০টি দেশে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলেছে, আগামী মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার করবে করোনার অতিসংক্রামক এই ধরন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, সামনের কয়েক মাসে পুরো বিশ্বেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে পাওয়া গেছে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার এই ধরন ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি।
গেল মঙ্গলবার প্রকাশিত করোনার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা ১শ'র উপর হওয়ার কথা। কারণ ভাইরাসের ধরন চিহ্নিতকরণে যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা অনেক দেশেই নেই। ফলে আসল সংখ্যা সামনে আসছে না।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে প্রতিদিনের সংক্রমণ বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর আসছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যই এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সংক্রমণ রুখতে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। করোনা মহামারির শুরু থেকেই এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ডেল্টাই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যেসব স্থানে টিকাকরণের হার কম, সেখানে করোনার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে।
সতর্ক করে ডব্লিউএইচও বলেছে, আগামী কয়েক মাসে করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাবে ডেল্টা। সংস্থাটির প্রধান বলেন, আমি জানি বিশ্বব্যাপী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগ রয়েছে। এটা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও উদ্বিগ্ন। এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনার ধরনগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।
জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ শিথিল করার কারণে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে অনেক দেশেই। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলফা ভ্যারিয়েন্ট ১৭২টি দেশ ও অঞ্চলে, বিটা ১২০টি দেশে, গামা ৭২টি দেশে এবং ডেল্টা ছড়িয়ে পড়েছে ৯৬টি দেশে।
এসএন
করোনা ভাইরাস
ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!
মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।
নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—
১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।
২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।
করোনা ভাইরাস
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের
গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
করোনা ভাইরাস
এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%
বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।
বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- বলিউড6 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
- ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
- অপরাধ23 hours ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- জাতীয়4 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
- অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
- আন্তর্জাতিক6 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
- আইন-বিচার4 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ