Connect with us

রংপুর

কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে পঞ্চগড়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা

Published

on

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পঞ্চগড়ে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহ প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মতো। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা বাজার মনিটরিং করছেন। 

জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। 
আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসায়। মানুষ যেন অকারণে বাইরে অবাধ চলাচল না করে সেজন্য মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা সদরসহ উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের হাট-বাজার গুলোতে সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে জেলায় শপিংমল, বিপনী বিতানগুলোও বন্ধ রয়েছে। 

জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। রিক্স্যা-ভ্যান ও মোটরবাইক চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রিক্স্যা-ভ্যানে যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। সড়ক-মহাসড়কে পন্যবাহী ট্রাক, ঔষুধ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত গাড়ি, ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ছাড়া কোন অন্য কোন পরিবহন চোখে পরেনি। ফলমুল সহ নিত্যপন্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করেছেন দোকানিরা। 

এদিকে লকডাউনে বাইরে বের হতে না পেরে আয় বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগে পরেছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কঠোর লকডাউন চলায় মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাবে খালি ভ্যান নিয়ে বসে আছেন অনেক রিক্সা-ভ্যান চালক।  

Advertisement

কঠোর লকডাউন চলায় মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাবে খালি ভ্যান নিয়ে বসে আছেন অনেক রিক্সা-ভ্যান চালক।

আজিজুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালক জানান, একদিকে বর্ষাকাল অন্যদিকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। মানুষ তো বাইরে বের হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের তো না খেয়ে মরতে হবে। সরকার যদি আমাদের দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খেয়ে ফিরে চলতে পারবো।

এস

Advertisement

রংপুর

দেবীগঞ্জে স্কেভেটরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেল চালকের

Published

on

স্কেভেটর

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে স্কেভেটরের (মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) নিচে চাপা পড়ে রিফাত ইসলাম (২৩) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে তিনটায় উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া এলাকায় কাঁচা রাস্তার পাশে এই দুর্ঘটনা  ঘটে। নিহত রিফাত ইসলাম দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকার বারেক আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে দেবীগঞ্জ থেকে স্কেভেটর পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রোবট গাড়িতে করে স্কেভেটরটি টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় মন্ডল পাড়া এলাকায় পৌঁছালে রোবট গাড়িটি কাঁচা রাস্তার উঁচু নিচু স্থানে আটকে যায়।

এ সময় রোবট গাড়ির উপরে থাকা স্কেভেটরটি চালু করে রোবট গাড়িকে ধাক্কা দেয়ার সময় স্কেভেটরটি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। এতে করে স্কেভেটরের নিচে চাপা পড়ে চালকের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। স্কেভেটরটি পরিবহন করা রোবট গাড়ির চালক পরিবারের লোকজনকে মুঠোফোনে দুর্ঘটনার কথাটির খবর জানিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ভোরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিস এবং থানায় খবর দেন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্কেভেটরের নিচে চাপা পড়া মরদেহটি বের করেন। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

Advertisement

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ ফারুক রানা বলেন, ভোর ছয়টার সময় আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। স্কেভেটর পরিবহন করা রোবট গাড়িটি ঘটনাস্থলে ছিলো না। দুর্ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে, অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

Published

on

মৃত্যু

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে  শিপন মিয়া (২৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মুক্তিনগর বেলতলী গ্রামে এঘটনা ঘটে। মৃত্যু শিপন মিয়া ওই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন,  আজ বুধবার বেলতলী  মাঠে বোরো ধান কাটতে যান শিপন।  দুপুরে  হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়। শিপনসহ আরও একজন মাঠেই ধান কাটছিলেন।  এক পর্যায়ে ঝড় বৃষ্টি হয় শুরু হয়। ঝড় বৃষ্টির সময়  কাটা ধানের আটি গোছানোর সময়  বজ্রপাতে শিপন মারা যান। পরে মরদেহ স্থানীয় লোকজন নিহতের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কেএস/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু

Published

on

পানি

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় পুকুরের পানিতে গাছের গুড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে লিপন (৬) ও মেহেদী হাসান (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিপন ওই এলাকার রাশেদের ছেলে ও মেহেদী হাসান মাঈদুলের ছেলে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকার পাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বাবলু মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পানিতে গাছের গুড়িতে উঠে শিশু দু’জন খেলছিল। খেলতে খেলতে একসময় গাছের গুড়ির নিচে পরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ওই পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত