প্রবাস
আমার প্রথম জীবনের মৃত্যু হয়েছে, এখন দ্বিতীয় জীবন : তসলিমা নাসরিন
আলোচিত-সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সম্প্রতি ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু জীবন যাপন করছেন। এ বিষয়ে তিনি ফেসবুকে জানিয়েছিলেন আগেই। আজ শুক্রবার ফের একটি স্ট্যাটাস দিয়েয়েছেন নিজের ফেসবুকে। তা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
যে জীবনটি আমি যাপন করছি, সে জীবনটি আমার দ্বিতীয় জীবন। আমার প্রথম যে জীবন ছিল সেটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু এমনিতে হয়নি। মৃত্যুকে ডেকে আনা হয়েছে। পরিকল্পনায় ছিল একটি লোক আর তার দুই সহকর্মী। তিনটে মাত্র লোক, জিহাদিরা এতকাল ধরে যা পারেনি, তা পেরেছে। জিহাদিরা যদি আমাকে হত্যা করতো, তাহলে আমার এতটা দুঃখ হতো না। কারণ দীর্ঘকাল থেকেই জানি তারাই আমার আততায়ী। দুঃখ বেশি হচ্ছে কারণ হতাকারীরা জিহাদি নয়। কী কারণ তাদের ছিল তবে আমাকে হত্যা করার? এর মধ্যে বড় দুটো কারণ আপাতত যা মনে হচ্ছে তা হলো ম্যালপ্র্যাকটিস এবং মার্কেটিং।
অনেকে বলছে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে। আমার মতো নিরীহ, নির্বোধ কী করে বড় বড় শক্তিমান মানুষের বিরুদ্ধে আদালত অবধি যাবে! সেই ক্ষমতা তো আমার নেই। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কোনও শক্তিও আমার নেই।
এই দ্বিতীয় জীবনটি সম্পূর্ণই অন্যরকম। আমার প্রথম জীবনের মতো দুরন্ত, দুর্বিনীত নয়। এই দ্বিতীয় জীবনটি অনেকটা রিহ্যাবের পচানব্বই বছর বয়সী জরাগ্রস্ত মহিলাদের মতো। এই জীবনটি আমার জন্য নয়। কিন্তু এই জীবনটিই এখন আমার জন্য বরাদ্দ করেছে আমার হত্যাকারীরা। যতই প্রাণপণে আমি মনের শক্তি অর্জন করতে চাইছি দু’বেলা করে, ততই ব্যর্থ হচ্ছি।
আমার কী হয়েছিল? আমার শরীরের ওপর দিয়ে কি কোনও ট্রাক বা ট্রেন চলে গিয়েছিল? হাড়গোড় গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল? না। আমার শরীরের কোনও হাড় কোথাও বাজেভাবে ভেঙেছিল? না। আমি কি হাঁটতে পারছিলাম? আমি হাঁটতে পারছিলাম। আমি কি বসতে পারছিলাম? আমি বসতে পারছিলাম। আমার কি হিপ জয়েন্ট ফুলে উঠেছিল? না। জয়েন্টে ব্যথা ছিল? না। আমার কি কোনও জয়েন্ট ডিজিজ ছিল? না। কী ছিল আমার তবে? শুরুতে হাঁটুতে ব্যথা ছিল, পরে সে ব্যথাও ছিল না। অকারণ উদ্বেগ ছাড়া কিছুই ছিল না আমার। উদ্বেগটি আমার ভেতরে তৈরি হয়নি। সিরিঞ্জে ভরে ইঞ্জেক্ট করা হয়েছে। আর আমার উদ্বেগই ছিল ম্যালপ্র্যাকটিসের জন্য চমৎকার পুঁজি। কী করা উচিত ছিল আমার? উচিত ছিল রেস্টে থাকা কিছুদিন। এক সপ্তাহ, দু’সপ্তাহ। অথবা তারও চেয়ে কিছু বেশি। গাইডলাইন ফলো করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটি ফলো করতে কে দেবে আমাকে!
আমার প্রথম জীবনটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই দ্বিতীয় জীবনটির দিকে তাকালে আমার শ্বাসকষ্ট হয়, বড় অসহায় বোধ করি। দ্বিতীয় জীবনটি আমার প্রাপ্য ছিল না।
আমার প্রথম জীবনটির নাম ছিল জীবন, আমার দ্বিতীয় জীবনটির নাম ”মৃত্যু”। আমি বেশ কিছুদিন হলো মৃত্যু যাপন করছি। আমাকে হয়তো আরও বহুদিন মৃত্যুযাপন করতে হবে।
প্রবাস
দুবাইয়ে পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আল-কুসাইস ক্যাটল মার্কেটে পশুর বাজার জমে উঠেছে। আর একদিন পর কোরবানির ঈদে নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।
দুবাইয়ে অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। আমদানিকৃত দেশ হচ্ছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় পশু আমদানি।
বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০০ দিরহাম থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০০ দিরহাম থেকে শুরু।
দুবাইয়ের বাংলাদেশি প্রবাসীরা জানান, ঈদের দিনে দেশকে মিস করলেও প্রবাসী সহকর্মীদের সাথে আনন্দ উপভোগে দেশে পরিবারের সাথে না থাকার অভাব কিছুটা ভোলা যায়।
এএম/
প্রবাস
বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা ম্যাচ: নাসাউ স্টেডিয়াম যেনো এক টুকরো বাংলাদেশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যে ছিল তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা। নিউইয়র্কের ৩৪ হাজার ধারণ ক্ষমতার নাসাউ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি দর্শকদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের সব পথ যেন মিশে গিয়েছিলো নাসাউ কাউন্ট্রি মাঠে।
গ্যালারিতে যেদিকে চোখ যায় শুধু দুটি প্রিয় রং-লাল ও সবুজ। সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে যৌবন গর্জন। নাসাউ রূপ নেয় মিরপুরে। শুধু নিউইয়র্ক নয়,যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব অঙ্গরাজ্য থেকে খেলা উপভোগ করতে বাংলাদেশি দর্শকরা ভিড় করেন নাসাউ স্টেডিয়ামে।
গ্যালারি থেকে টাইগারদের উৎসাহ দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ‘বাংলাদেশ বাংলাদশ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দর্শকদের লুঙ্গি ড্যান্সও ছিলা উল্লেখ করার মতো। স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিলো বাংলাদেশিদের মিলন মেলায়। নাসাউ স্টেডিয়াম হয়ে যায় এক টুকরো বাংলাদেশ। যতক্ষণ ম্যাচ চলছিলো, ততক্ষণ আনন্দ আর উম্মাদনায় মেতে ওঠেন বাংলাদেশি দর্শকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশি বোলারদের পারফরমেন্সে এবং পরে তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটিংয়ে সবাই ধরেই নিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা জয় পাবেন।
তবে নিয়মের গেরোয় যত রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হল বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত ঠিক সেই রানেই হেরে যাওয়ায় যন্ত্রণাটা আরও বাড়ল। আর যে ওভারে সেই রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হয় বাংলাদেশ, তার ঠিক পরের ওভারেই ‘টাইগার’-দের বিপক্ষে যায় একটা মারাত্মক ‘ক্লোজ’ এলবিডব্লুয়ের সিদ্ধান্ত। ‘আম্পায়ার্স কল’র কারণে আউট হয়ে যান তোহিদ হৃদয়। ওই সিদ্ধান্তটা যদি বাংলাদেশের পক্ষে যেত, তাহলেও ম্যাচটা জিতে যেতে পারতেন ‘টাইগার’রা।
তবে নিয়মের গেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে গেল বাংলাদেশ। তার জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হল মাহমুদুল্লাহ, শাকিব আল হাসানদের।
তাদের পাশাপাশি বিষন্ন মনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশি দর্শকদেরও। তবে টাইগাররা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভাল করবেন- এমন আশায় ফিরে গেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে-নিজ গন্তব্যে।
এমআর//
প্রবাস
দুবাইয়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপিত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীসহ বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে “রবীন্দ্র-নজরুল ও বৈশাখ” শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি কবির জন্মজয়ন্তীর এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা।
গেলো শনিবার (৮ জুন ) বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে কনস্যুলেট হল রুমে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তাসমিন জান্নাত নিপা ও বাংলাদেশ কমিউনিটির ইয়াসমিন মেরোনা, জসীম উদ্দীন পলাশ, বঙ্গ শিমুল ও রুহিন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি পরিবেশন করেন। উপস্থিত দর্শকদের তাদের গান মুগ্ধ করে।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও আশফাক হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীবৃন্দ গান পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করেন।
কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়ে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই দুই সাহিত্যিককে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে খ্যাতিমান দুই আলোকিত ব্যক্তি।
তিনি বলেন, প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্ম বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে সে জন্যই তাঁদের এ আয়োজন।
আই/এ
- পর্যটন3 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম3 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- অপরাধ3 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া5 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি4 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর4 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- বলিউড2 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- জাতীয়4 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন