Connect with us

ক্রিকেট

সৌম্য-শান্তকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

Published

on

তিন হাফ সেঞ্চুরিতে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহের পর ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদেই পড়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারকে দলীয় এক রানে কাইল মায়ার্সের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। এরপর দলীয় ১১ রানে টাইগার শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত করেন গ্যাব্রিয়েল। এবার এনক্রুমান বোনারের ক্যাচ বানিয়ে নাজমুল হোসাইন শান্তকে ফেরান গ্যাব্রিয়েল। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ রান। তামিম ইকবাল ৮ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। 

উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম সেশন নিজেদের করে নেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেলের ৬৬ রান। পরে তাইজুলের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৬৬ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান, আর কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই ৫০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কক্ষপথে আনেন রাহি ও সৌম্য সরকার। ৭ রান করা শেন মোসল। রাহিকে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল স্ট্যাম্পে টেনে বোল্ড হয়ে যান ৩৮ বলে ৭ রান করা শেন মোসল। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন ব্রেক থ্রুর আশায়। প্রথম বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন সৌম্য। প্রথম স্লিপে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২২ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৭ রান করা অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

Advertisement

আগের ম্যাচের রেকর্ডবয় কাইল মায়ার্সকে ৫ রানে আউট করেন রাহি। স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন এনক্রুমাহ বোনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড, গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬২ রান। অনেক চেষ্টা করেও যখন জুটি ভাঙতে পারছিলো না তখন দায়িত্ব তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ২৮ রান করা ব্ল্যাকউডকে কট অ্যান্ড বোল্ডের মাধ্যমে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। এর আগে ৭৭ বলে ৫ চারে ২৮ রান করেন তিনি। 

দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে এনক্রুমাহ বোনারকে মিথুনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান মিরাজ। তার আগে অবশ্য ২০৯ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর জসুয়া ডি সিলভা ১৮৭ বলে ১০ বাউন্ডারির সাহায্যে ৯২ রান করে তাইজুলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। সিলভার বিদায়ের ১২ রান পর আলজারি জোসেফ ১০৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ৮২ রান করে রাহির বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২ রান পর দলীয় ৩৯৮ রানে রাহি ওয়ারিক্যানকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। এরপর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল ইসলাম। 

বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম ৪টি করে এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট লাভ করেন। 

এস

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

Published

on

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।

সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের খুশিটা হয়তো বাড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আরও ।

তবে এই ঈদের দিনেও যারা ভোর বেলা উঠেই বাংলাদেশের খেলা দেখা শুরু করেছিলেন তারা হয়তো ঐ সময়টায় কোন ভাবেও খুশি হতে পারেননি।  ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক তানজিদ তামিম। পরের ওভারেই বোল্ট নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। চতুর্থ ওভারে ক্যাচ তুলেও ফিল্ডার নিকটে না থাকায় সে যাত্রায়ও বেঁচে যান। তবে লিটনের যেন উইকেটে থাকারই ইচ্ছে ছিলো না। পঞ্চম ওভারে সোমপালের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে।

ষষ্ঠ ওভারে তাওহিদ আউট হয়ে গেলে পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ যখন কিছুটা চাপ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তখনই রান আউট। সাকিব বসে পড়লেন। মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে প্যাভিলিয়নের পথে মাহমুদউল্লাহ।

Advertisement

রিয়াদের বিদায়ের পর ১৭ রান করে ফেরেন সাকিবও। তার ইনিংসটি বাংলাদেশের  সর্বচ্চো । এরপর তাজিম হাসান ৩,  জাকের আলী ১২, রিশাদ হোসেন ১৩, তাসকিন আহমেদ ১২ এবং মোস্তাফিজ ৩ রানে রান আউট হলে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

এতো কম রান করে বাংলাদেশ এর আগে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে বোলিংয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় নেপাল।  কিন্তু পাঁচ উইকেট হারানোর পর ৫২ রানের জুটি গড়েন কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

কুশল মাল্লাকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ জুটি ভেঙ্গে দিলে ম্যাচ আর বেশিদূর নিতে পারেনি নেপাল। ৮৫ রানেই হারিয়ে ফেলে সব কয়টি উইকেট। তানিজমের ৪ ও মোস্তাফিজের ৩ উইকেটের সাথে সাকিব আল হাসান ২ টি ও তাসকিন ১ টি করে উইকে নেন।

গ্রুপ সিডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ডি-১ হয়ে আগেই নিশ্চিত করেছে সুপার এইট।  বাংলাদেশ নিশ্চিত করলো ডি-২ হিসেবে।  এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খেলবে সুপার এইটের গ্রুপ ‘এ’ তে।  যেখানে টাইগাররা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে।

সুপার এইটে সময়সূচিটাও নির্ধারিত আগে থেকেই।  সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২১ জুন।  প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার । অ্যান্টিগাতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ছয়টায়।

Advertisement

এমন এক আজব সূচি করেছে আইসিসি।  অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটে প্রথম ম্যাচ খেলে পরের দিনই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ ২২ জুন আবার খেলবে টাইগার। প্রতিপক্ষ ভারত। অনুষ্ঠিত হবে  অ্যান্টিগাতেই। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।

সুপার এইটে বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ খেলবে ২৫ জুন। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টে  সকাল সাড়ে ছয়টায়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

Published

on

নেপালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু বাংলাদেশের। পাওয়ারপ্লেতেই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট।

সেন্ট ভিনসেন্টে ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান তানজিদ তামিম। এর পরের ওভারেই বোল্ট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। পঞ্চম ওভারে আউট হন লিটন কুমার দাস (১০)। টিকতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ ওভারে ফিরেছেন মাত্র ৯ রান করে।

৪ উইকেট হারিয়ে টাইগার হাল ধরেছেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান। সাকিব অপরাজিত ১৪ রানে। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৮ রান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

Published

on

সুপার এইট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। খেলায় টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। অর্থাৎ টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামছে বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে।

আগের ম্যাচের একাদশ থেকে কোন পরিবর্তন আসেনি বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত