এশিয়া
জাপানে ভারি বৃষ্টি ও কাদাধসে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২০
প্রবল বৃষ্টিপাত ও কাদাধসে বিপর্যস্ত জাপানের মধ্যাঞ্চলের শিজুওকা প্রিফেকচারের আতেমি শহর। এখন পর্যন্ত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। তাদের জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানায়, শিযুওকা জেলার কর্মকর্তারা বলছে, ধারাবাহিক কয়েকটি কাদাধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে গেছে। বিধ্বস্ত ঘরবাড়িগুলো থেকে অন্তত ১০ বাসিন্দাকে টেনে তোলা হয়েছে। কাদাধসের পর প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় নগর কর্মকর্তারা। লোকজনকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রায় ৮০ জন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরে গেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিজুওকা এবং কানাগাওয়া প্রিফেকচারের কিছু অংশে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছে, ইতোমধ্যে কিছু নদী বন্যার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরো জুলাই মাসের গড় বৃষ্টিপাতের চাইতে বেশি বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে আতামি।
উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে সেনাবাহিনী, ফায়ার ব্রিগেডের এক হাজার সদস্য। আজ আতামি শহরে আত্মরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৩০ জন সদস্য অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। তবে ভারি কাদামাটিতে ডুবে আছে বেশিরভাগ স্থাপনা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে শহরটির তিন হাজারের মতো সংযোগ।
এনএইচকে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, কাছাকাছি স্থানে কাদাধসের পর অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানের দিকে ছুটে যান তিনি। আরেকজন বলেন, চোখে দেখার আগে কাদাধসের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। সেগুলো বাড়িঘর এবং নানা পরিষেবার খুঁটিগুলো ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
জাপানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর এলাকাগুলোতে। আজ রোববারও আতেমি ও আশপাশের শহরগুলোয় ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টা এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে।
দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছে, একটি দীর্ঘস্থায়ী মৌসুমী বৃষ্টি বলয়ের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে শিযুওকা ও কানাগাওয়া জেলায়।
ভারি বৃষ্টির কারণে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় টোকিও এবং ওসাকার মধ্যে বুলেট ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে জাপানে বন্যা ও ভূমিধসে দুই শতাধিক মানুষ মারা যায়।
এসএন
আন্তর্জাতিক
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ
পবিত্র কাবা শরিফের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ঐতিহ্য অনুযায়ী গেলো ২২ মে কাবা শরিফ ঢেকে দেয়া হয় কারুকার্যমণ্ডিত কাপড়ের কিসওয়া বা গালিফ দিয়ে।
বৃহপ্সতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গিলাফটি বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তোলন করা হয়। হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কিসওয়া কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ময়লা হওয়া থেকে রক্ষা করে। এ জন্য প্রতিবছর হজের আগে কাবা শরিফকে গিলাফ বা কিসওয়া দিয়ে ঢাকা হয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, ১০টি ক্রেন ও ৩৬ জন বিশেষ কর্মীর সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে আড়াই মিটার চওড়া ও চারদিকে ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্যের কিসওয়া দিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ ঢাকার কাজ।
জানা যায়, বিশেষভাবে তৈরি এই গিলাফে প্রতি মিটারে দশ ধাপে লাগানো হয় ৯৯০০ সুতা। কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করা হয়। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন।
কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো তৈরির বিশেষ কারখানা মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। নতুন গিলাফ তৈরি করতে দরকার হয় ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা।
প্রসঙ্গত, গিলাফ পরিবর্তনের কাজটি আগে হজের দিন করার রীতি থাকলেও বর্তমানে ১ মহররম হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হচ্ছে।
আই/এ
এশিয়া
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ায় তিন দেশের ওপর ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নেতানিয়াহু বলেন, এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে এবং তারা ইসরায়েলে কোনো শান্তি চায় না।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে শয়তান আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা আবারও ঘটবে।
নরওয়ে বলছে, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের কারও সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এজন্য তারা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইহুদিরা বসতি স্থাপন করেই যাচ্ছে।
আগামী সপ্তাহে দেশ তিনটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে এ পথে হাঁটছে না ফ্রান্স।
প্যারিসে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজের সঙ্গে আলোচনার পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেজোর্ন বলেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য শর্তগুলো পূরণ হয়েছে, তা মনে করে না ফ্রান্স। এটি কেবল একটি প্রতীকী ইস্যু বা রাজনৈতিক অবস্থানের প্রশ্ন নয়। দুই দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কূটনৈতিক হাতিয়ারও।
এশিয়া
গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ: মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে আসার হুমকির মিসরের
৭ মাস ধরে চলা গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে চলা যুদ্ধে প্রায় শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র— তিন দেশ; কিন্তু অতিসম্প্রতি মিসর এই ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক সংবাদের প্রতিবাদে এই হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এই দেশটি। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য মিসরের গোয়েন্দা বিভাগ যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তে ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন এনে চুক্তির বিকৃতি ঘটিয়েছে।
এই দাবির প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় মিসরের সরকারি তথ্য পরিষেবা বিভাগের প্রধান দিয়া রাশওয়ান বলেন, ‘মিসরের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় সংশয় করা কিংবা একে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলে তা গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে তো বটেই, উপরন্তু (এমন করা হলে) মিসর পুরো সংকট থেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।’
গেলো মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সংলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে হয়েছে, সম্প্রতি হামাস যে যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তিটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে— সেটি মূল চুক্তি নয়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে যেসব শর্ত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির বিকৃতি ঘটিয়েছেন মিসরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, তারপর সেটি হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে, এই খবর ‘ফাঁস’ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের কমকর্তারা মিসরের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, দোষারোপ করেছিলেন এবং গোটা শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য চেয়ে মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।
শুক্রবারের বার্তায় দিয়া রাশওয়ান বলেন, ‘কিছু মহল মিসরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে। যারা এসব করছে, তারা জানে না যে মিসর কিন্তু এই যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে, নিজের ইচ্ছেয় নয়।’
গেলো ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামি জিহাদের ১ হাজারের বেশি সশস্ত্র সেনা। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যো করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। চলমান সেই অভিযানে গেলো ৭ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৯ হাজার। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
টিআর/
- বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- বলিউড5 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
- ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
- অপরাধ22 hours ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- জাতীয়3 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
- অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
- আন্তর্জাতিক5 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
- আইন-বিচার4 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ