Connect with us

রাজশাহী

যমুনাতে পানি বাড়ছে, নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত

Published

on

গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে দিন-রাত টানা বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে সামান্য বিরতি হলেও ফের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাস্তা-ঘাট। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানালো এ বৃষ্টি আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আষাঢ় মাসের শেষ দিকে এসে বৃষ্টি ধারা কমছেই না। সামনে আবার শ্রাবণের ঝর ঝর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ভারি বৃষ্টি ও উজানের পানিতে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গেলো ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সদর, কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বীজতলা, সবজিবাগান, পাট ও তিলক্ষেত।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী কয়েক দিন এ পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হয়নি।

Advertisement
Advertisement

রাজশাহী

ছোট ভাইদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো বড় ভাইয়ের

Published

on

পাবনা সদর উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ডুবন্ত দুই ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে তাদের বড় ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, আলাল প্রামানিকের দুই ছেলে নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হোসেন (১৪) ও গোহাইল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন (১০) এবং তাদের প্রতিবেশি নূর হোসেন (১০)।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরিয়া ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে কয়েকজন আর্জেন্টিনার পতাকা টানাচ্ছিল। রোদের সময়ে পতাকা টানাতে নিষেধ করা হলে তখন তারা গাছ থেকে নেমে বাড়ি থেকে গামছা নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। এসময়ে ছোট দুইজনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই ছাব্বিরেরও মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করে। অপর তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নিহত দুই শিশুর বাবা  বলেন, তিনি এখন কেমন করে বাচবেন! তিনি একেবারে শেষ হয়ে গেলেন। দুই ছেলে একই সঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। একজন বাবার পক্ষে এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি  সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, অল্প কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুতে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়েছে। পুরো গ্রাম এখন শোকে কাতর। এমন মৃত্যু তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।

Advertisement

সদর থানার ওসি জানান, একসঙ্গে গোসলে নেমে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সন্তানদের দেখে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৭

Published

on

গ্রেপ্তার

রাজশাহীর বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (২২ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।

অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফা।

ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় ২০০ জনকে। মামলা দায়েরের পর রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় চেয়ারম্যান মেরাজসহ ৭ জনকে। গ্রেপ্তারের পর রোববার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গেলো শনিবার সকাল ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পুলিশ ফাঁকা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে রাতেই এক পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Advertisement

এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই মেয়র আক্কাস ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু সহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতংকে রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

বেপরোয়া বাস কেড়ে নিলো দুই পথচারীর প্রাণ

Published

on

বাস চাপায় নিহত

বগুড়ার কাহালুতে বাসচাপায় দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন রত্না বেগম (৩৫) ও সৈকত আহমেদ টুনু (৩২)। এদের মধ্যে রত্না বেগম ঈদের কারণে লোহাজাল এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন এবং পেশায় কৃষক সৈকত বাজারে দুধ বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন।

রোববার (২৩ জুন) সকাল বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার বিবিরপুকুর বাজার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম।

ওসি জানান,  সকালে বিবিরপুকুর বাজারে একটি চাতালের সামনে রত্না বেগম তার এক আত্মীয়কে অটোতে তুলে দিতে এবং সৈকত দুধ বিক্রি করতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় বগুড়া থেকে নওগাঁগামী একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে দুজনেই ছিটকে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত