রাজশাহীতে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ০৩

রাজশাহীতে অসহায় বা বিদেশগামী মানুষের সাথে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জনান।

সার্টিফিকেট জালিয়াতি চক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্যরা হলেন, রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস সহায়ক তারেক আহসান (৪১), তার সহযোগী রাজশাহী বক্ষব্যধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা (৩৮)।

পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরেফিন জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি জানতে পারে একটি চক্র বিদেশগামী মানুষদের করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে জিম্মি করে আসছে। চক্রটি বিদেশগামী মানুষদের থেকে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। করোনা পরীক্ষা সার্টিফিকেটে নেগেটিভ দেওয়ার নামে।

চক্রটির মূলহোতা ছিলেন- তারেক আহসান। তার সহযোগি রফিকুল ইসলাম। এই দুইজন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এর পরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি করোনার নমুনা দেওয়া মানুষগুলোকে ফোন করে বলতেন আপনার করোনার রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেওয়া হবে। এনিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে টাকার বিষয়টি মেলাতেন তিনি। পরে টাকা বিকাশের মাধ্যেমে নিতেন তিনি।

তিনি বলেন, যে সকল বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন, তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় থাকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার। তাই বেশি চাপে থাকতেন। এই সুযোগটি কাজে লাগাতো এই চক্রটি। চক্রটি গত চার মাস থেকে এই প্রতারণা চালিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বিদেশগামী মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরেফিন জুয়েল আরও জানান, বুধবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে এক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির থেকে ১০০টি করোনা নমুনার সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকা তিন থেকে চারজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

Recommended For You