Connect with us

জাতীয়

দুই সপ্তাহ ঘরে থেকে ৫০ বছর ভালোভাবে বাঁচুন: আইজিপি

Published

on

সুস্থ দেহে বেঁচে থাকার জন্য হলেও লকডাউনের মধ্যে দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। 

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, চলমান লকডাউন দুই সপ্তাহ অনেক বেশি দিন না। এ দুই সপ্তাহের কারণে আপনি যদি ৫০ বছর বাঁচতে পারেন, তাহলে দুই সপ্তাহ ঘরে থাকতে হবে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করবেন কি-না, সেই সিদ্ধান্ত আপনার নিজের। দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। জরুরি কাজ একটু কমান। এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।

বেনজীর বলেন, গুলশান এলাকায় অনেক ট্রাফিক বেড়ে গেছে৷ প্রত্যেকেরই জরুরি কাজ। এই মহামারীতে যদি ১৮ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালের বেড দেওয়া সম্ভব না।

তিনি আরো  বলেন,  আইসিইউয়ের জন্য বিশেষায়িত ডাক্তার, নার্স দরকার হয় এবং বিশেষায়িত মেডিকেল স্টাফ দরকার। আপনি চাইলে আইসিইউ বেড কিনতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বানাতে পারবেন না। সম্ভব হলে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ট্যাংক বসিয়ে লাইন করে দেয়া উচিত। তাতে করে একটি ট্যাংক থেকে অনেক রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে। আমরা আমাদের হাসপাতাল করেছি। একসময় আমাদের আইসিইউ ছিল ১০টি। এখন সেটি ৫০টিতে উন্নিত করেছি। এর বাইরেও আমরা প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লাইন দিয়ে অক্সিজেন দিয়েছি। যেটাতে অনেক কম খরচ হয়। আপদকালীন সময়ে সাশ্রয় হয়।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে ফের নির্বাচিত আফসানা বেগম

Published

on

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এবারের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আফসানা বেগম।

তিনি জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিনের মেয়ে।

জানা যায়, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় আফসানার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাংলাদেশে তাদের আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। তার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের সিভিক মেয়র ছিলেন। তিনি ছিলেন জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা। আফসানা লেবার পার্টির লন্ডন রিজিয়ন শাখার সদস্য। দলটির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সহ সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আবাসন বিভাগে কর্মরত।

জয়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, কট্টরপন্থার বিরোধিতা বা অভিবাসী অধিকারের পক্ষে কথা বলা হোক- আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সমস্যাই হোক না কেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসের জনগণের পক্ষে দাঁড়াব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন আফসানা বেগম। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এমপি আফসানা বেগম।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইকেবানা’ উপহার পাঠালেন হলি আর্টিসানে বাবা হারানো মেয়ে

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ‘ইকেবানা’ উপহার পাঠিয়েছেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানি নাগরিক হিরোশি তানাকার মেয়ে আতসুকো তানাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবনে এই উপহার গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এই উপহার এবং আতসুকো তানাকার একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেন।

‘ইকেবানা’ হলো ফুল, পাতা, শাখা- প্রশাখার নান্দনিক ও শৈল্পিক উপস্থাপন। সৌন্দর্যের পাশাপাশি জাপানিজ এ শিল্পকলার পেছনে লুকিয়ে থাকে দার্শনিক ভাবধারা।

গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠিতে আতসুকো তানাকা লিখেছেন, এই উপহারটি (ইকেবানা) তার মা নিজের হাতে তৈরি করেছেন। এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রতীক।

উপহারের ফুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, ১ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত। তিন বাংলাদেশির একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। জঙ্গিদের গুলিতে সেদিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন।

জাপানি নাগরিকের মধ্যে ৬ জনই ছিলেন ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্পের পরামর্শক। আতসুকো তানাকার বাবা হিরোশি তানাকা তাদেরই একজন।

এছাড়া পরবর্তীতে হোলি আর্টিসানে জিম্মিদের উদ্ধারে পরিচালিত কমান্ডো অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

আতসুকো তানাকা তার চিঠির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং চলতি বছরের শুরুতে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

গেলো নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় প্রসঙ্গে আতসুকো বলেন, আপনার এই অর্জন আপনার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার ‘ভিশনের’ ওপর বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রমাণ।

Advertisement

গেলো ৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন উল্লেখ করেন তানাকা।

আতসুকো তানাকা ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে উল্লেখ  করেন।

আতসুকো বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) যে চিঠি পাঠিয়েছেন সে চিঠি আমার হৃদয়ের ক্ষত নিবারণের অনেক বড় উৎস।

আতসুকো তানাকা বলেন, তার মা একজন পেশাদার শিল্পী এবং তিনি নিজের হাতে এটি (ইকেবানা) বানিয়েছেন।

ফুলের এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রশান্তি দিবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রতীক (টোকেন)।

Advertisement

বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি কামনা করেন তানাকা।

আতসুকো বাংলাদেশে ‘শান্তি  শিক্ষা’ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাইকা বাংলাদেশ অফিসে এক সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশ কিভাবে পাঠ্য কারিকুলামে ‘শান্তি শিক্ষা’ সংযুক্ত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কারিকুলামের এই শান্তি শিক্ষাকে সক্রিয় ভাবে প্রসারে মি. ইচিগুচি একটি শান্তি রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরামর্শ দেন বলে জানান আতসুকো তানাকা।

তানাকা বলেন, পুরস্কার বিজয়ী প্রবন্ধ ঢাকা মেট্রোতে প্রদর্শন করা হবে। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের শান্তির বিষয়ে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সমাজ সেবাতেও উৎসাহিত করবে।

তানাকা আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোতে প্রদর্শিত এই প্রবন্ধ তার বাবার মতো হোলি আর্টিসানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মাকে প্রশান্তি দিবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল চেষ্টায় সফলতা কামনা করে চিঠি শেষ করেন আতসুকো।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আজ সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

পদ্মা সেতুর সব কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানতে আজ মাওয়ায় সমাপনী অনুষ্ঠানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাওয়ায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

২৩ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সেখানেই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করবেন তিনি।  যে স্বপ্ন ধারণ করে গড়ে উঠেছিল পদ্মা সেতু, সেই স্বপ্নের বাস্তবতা এখন প্রচণ্ডভাবে দৃশ্যমান আজ পদ্মার বুকে। সেতুর দুই তীরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র, শিল্প স্থাপন এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রস্তুত এখন মাওয়া। চারদিকে সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় এখন পদ্মা তীরের মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত