Connect with us

আন্তর্জাতিক

তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি, হতাহতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা

Avatar of author

Published

on

তুরস্কে

৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধসে পড়েছে অসংখ্য ভবন। সেখানে আটকে পড়া হতাহতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডি ও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা।

ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ‘লেভেল ৪’ সংকেতও জারি করেছে দেশটির সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭.৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ .৭। দুই বারই কম্পন এক মিনিট বা তারও বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খারমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারমানমারাস ছাড়াও দেশটির মালাতিয়া, সানিল, দিয়ারবাকির এবং ওসমানিয়া প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে ব্যাপক হারে।

Advertisement

গাজিয়ানতেপের বাসিন্দা এরদেম বলেন, ‘আমি আমার চল্লিশ বছরের জীবনে এত বড় আকারের ভূমিকম্প দেখিনি।’

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং সরকারি উদ্ধারকর্মী বাহিনীর সব সদস্য তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ।

তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ভরে উঠেছে ভূমিকম্পের ফলে গাজিয়ানতেপসহ বিভিন্ন শহরে ধসে পড়া ভবনের ভিডিওচিত্রে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।

তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ইউরোপ

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে

Published

on

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।ফলে এই চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখান হওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। গেলো বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা এসব করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জানান, চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ভারতীয় মশলা বিক্রি নিষিদ্ধ করলো নেপাল

Published

on

ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মশলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড থাকায় এই দুই ব্র্যান্ডের মশলা আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেপাল। এর আগে ক্যান্সার সৃষ্টির উপাদান ও ইথিলিন অক্সাইড থাকায় একই সিদ্ধান্ত নেয় হংকং ও সিঙ্গাপুর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে  ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর মশলা আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কোম্পানির মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা  নিশ্চিত করেছেন।

নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান জানান, মূলত এই দুটি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার খবরে নেপাল এটিকে নিষিদ্ধ করে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন  বাজারে এই মশলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি কতটা তা জানতে পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই এটি নিষিদ্ধ করেছে, তাদের পদক্ষেপের পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ভারতে এই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ,এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রপ্তানি করা হয়। ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি বর্বরতা। ইসরায়েলের হাময়ায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গেলো ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে  নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৫ হাজার ৩৫২৭২ জনে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত ও আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গেলো ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে  অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

Advertisement

আই/এ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত