Connect with us

দক্ষিণ আমেরিকা

সাইবার হামলার জবাবে অস্ত্র ব্যবহারে বাইডেনের হুঁশিয়ারি

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার জবাবে অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তোলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমার মনে হয় এর শেষ হওয়া দরকার। সাইবার বিধি লঙ্ঘনের জবাব অস্ত্র দিয়ে করতে হলে অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে পেন্টাগন।

মূলত রাশিয়াই ছিল বাইডেনের ক্ষোভের লক্ষ্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মস্কোকে দায়ী করেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাইডেন বলেন, রাশিয়া যে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে তারও একটা বিহিত হওয়া দরকার। এরই মধ্যে আগামী বছরের নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছে দেশটি। যা নিশ্চিতভাবেই আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। এ সময় পুতিনকে নিকটতম বন্ধু বলে বিদ্রূপও করেন তিনি।

চীনের যেসব বিষয় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে তা তুলে ধরে বাইডেন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি হয়ে ওঠা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের লক্ষ্য। একইসঙ্গে ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনকে প্রতিষ্ঠা করা।

Advertisement

সম্প্রতি সাইবার হামলার শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন হাই প্রোফাইল কর্মকর্তা ও সরকারি কার্যালয়ের নেটওয়ার্ক। যেগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সংস্থা সোলারওয়াইন্ডস, কলোনিয়াল পাইপলাইন সংস্থা, মাংস প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা জেবিএস ও সফটওয়্যার সংস্থা কাসেয়ার মতো সংস্থাগুলো রয়েছে। এতে বাধাগ্রস্ত হয় জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া। এর পরপরই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ এজেন্ডা হয়ে উঠে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দুই সপ্তাহ আগে চীনের বিরুদ্ধে মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভারে সাইবার হামলার অভিযোগ করে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ হামলায় বিশ্বব্যাপী অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি করা হয়।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ আমেরিকা

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার

Published

on

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।

স্থানীয় সময় বুধবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সময় গাজায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে পেত্রো বলেন, তার দেশ আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

লোকভর্তি জনসমাগমস্থলে পেত্রো তার ঘোষণায় বলেন, আপনাদের সামনে প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কগুলো ছিন্ন করব। পেত্রো তার বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে আখ্যা দেন।

পেত্রো আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেলো বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ‘ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ’।

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ার ৯ সেনা সদস্য নিহত

Published

on

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে নয়জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কলম্বিয়ার উত্তর বলিভার বিভাগে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে নয় সেনা মারা যান। দেশের এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনী লড়াই করছে।

বিধ্বস্ত এই হেলিকপ্টারটি ছিল রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের হেলিকপ্টার। অবশ্য প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেনি। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, হেলিকপ্টারটি গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য নতুন সৈন্যদের সরবরাহ করার সময় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা জানা যায়নি।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বেতনের চেয়ে ঘড়ির দাম বেশি, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান

Published

on

পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তে। ছবি: রয়টার্স

তিনি একটি দেশের প্রেসিডেন্ট। তবে হাতে যে রোলেক্স  ঘড়ি পরেন তার দাম বেতন-ভাতার চেয়ে অনেক বেশি। বেতনভাতা বা আয়ের সঙ্গে ঘড়িটির দাম কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রকাশিত সম্পদ বা বিলাসবহুল ঘড়ির পেছনে সম্ভাব্য দুর্নীতি তদন্তের অংশ হিসেবে তার বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এমনই ঘটনা ঘটেছে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাসভবনে।

এএফপি নিউজ এজেন্সির খবরের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে রোলেক্স ঘড়ির সন্ধানে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান চালায় একদল পুলিশ। প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে এই সম্পদের ঘোষণা না দেওয়ায় তার বাড়িতে হানা দেয়  পুলিশ।

 

প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাসভবনে পুলিশ এবং প্রসিকিউটর অফিসের যৌথ অভিযান স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল লাতিনায় সম্প্রচার করা হয়।  বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে তদন্তকারী দলের এজেন্টদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে একটি স্লেজহ্যামার নিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

রাজধানী লিমার সুরকিলো জেলায় প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় প্রেসিডেন্টকে অবশ্য বাসভবনে দেখা যায়নি।

Advertisement

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘তল্লাশি ও সম্পদ জব্দ করার উদ্দেশ্যেই অভিযান চালানো হয়েছে। আর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের অনুরোধে এই অভিযান চালানোর বিষয়টিতে অনুমোদন দেয়  দেশটির বিচার বিভাগ।

 

অভিযানের বিষয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রেসিডেন্ট দিনা বলেছেন, ‘বাসভবনের কর্মীরা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেছেন। এটি স্বাভাবিক, কোনো ঘটনা ছাড়াই এটি শেষ হয়েছে।

তবে অভিযানের সমালোচনা করেছে পেরুর প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো আদ্রিয়ানজেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেছেন, ‘যে রাজনৈতিক গোলমাল তৈরি করা হচ্ছে, এটি গুরুতর ব্যাপার। এতে বিনিয়োগ এবং সমগ্র দেশ প্রভাবিত হচ্ছে। গত কয়েক ঘণ্টায় যা কিছু ঘটেছে তা বাড়াবাড়ি এবং অসাংবিধানিক।’

পেরুর প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রেসিডেন্টে তার বাসভবনেই ছিলেন। তলব করা হলে তিনি প্রসিকিউটরের অফিসে গিয়ে বিবৃতি দেবেন। প্রধানমন্ত্রী রেডিও স্টেশন আরপিপিকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই নেই!

Advertisement

 

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের হাতে দেখা যায় দামি ঘড়ি। এই ঘড়িটির যে দাম তার তুলনায় প্রেসিডেন্টের বেতন-ভাতা অনেক কম।  ব্ষিয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকে রোলেক্স ঘড়ি পরতে দেখা গেছে।বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রেসিডেন্টের ওই ঘড়ির দাম প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যয়বহুল ঘড়ি পরার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছিলেন, ১৮ বছর বয়স থেকে কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি। ওইসময় ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ঘাঁটাঘাঁটি না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট।

 

প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে (৬১) সব অভিযোগ অস্বীকার করে গত সপ্তাহে বলেন, ‘আমি পরিষ্কার হাতে সরকারি প্রাসাদে প্রবেশ করেছি এবং আমি পরিষ্কার হাতে এখান থেকে বের হব।

Advertisement

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বোলুয়ার্তে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন। সেখানে মাসিক বেতন পেতেন ১ হাজার ডলার। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ডলার ভাতা পান। তাই অনেকে বলছেন, প্রেসিডেন্ট রোলেক্স ঘড়ি কেনার সামর্থ্য রাখেন না।

 

প্রসঙ্গত, বোলুয়ার্তে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো কংগ্রেস ভেঙে দেওয়া এবং ডিক্রি জারি করার চেষ্টা করলে ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে  দায়িত্ব নেন বোলুয়ার্তে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত